ঢাকা ০৩:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ঘন ঘন বৈরী আবহাওয়ায় হুমকিতে মৎস্য পেশা Logo ঋণ বাতিল করে জলবায়ু অর্থায়নের দাবিতে কলাপাড়ায় মানববন্ধন সাইকেল শোভাযাত্রা Logo ‎মির্জাগঞ্জে দাদীর সাথে অভিমানে স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা Logo তিন বছর ধরে ঝুঁলে আছে আয়রণ ব্রিজ, ভোগান্তি চরমে  Logo মৎস্যজীবী দল নেতাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিএনপির মহাসচিবের নিন্দা Logo বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে, উত্তাল সমুদ্রে মাতোয়ারা হাজারো পর্যটক Logo মির্জাগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় বাদী শ্রীঘরে Logo কুয়াকাটায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ, ছাত্রলীগ নেতার ভাইয়ের আঘাতে জেলের মৃত্যু Logo মির্জাগঞ্জে ইউসিবি ব্যাংক পিএলসি’র ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন Logo মহিপুরে পাওনা টাকার জেরে জেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

আমনের বাম্পার ফলনেও পূরণ হয়নি লক্ষমাত্রা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৭:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৪৯ বার পড়া হয়েছে

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এবার আমনের বাম্পার ফলনে কৃষকদের মুখে আনন্দের ঝিলিক ফুটলেও পূরন হয়নি লক্ষ্যমাত্রা। আগাম তরমুজ চাষের জন্য অনেক কৃষক তাদের জমিতে আমন ধান রোপণ করেনি বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ আরাফাত হোসেন।

তিনি বলেন, ‘এবারে আমন ধানের ক্ষেতে তাকালে মনটা জুড়িয়ে যায়। এত সুন্দর ধানের শীষ। পুষ্টিও আছে ধানে। এবারের আবহাওয়া ছিলো পুরোপুরি অনুকূলে। তাই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলেও বাম্পার ফলন হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে ছিলো এবং আমরা সময়মতো সঠিক পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করেছি। নতুন প্রযুক্তি এবং উন্নত জাতের বীজ ব্যবহারের ফলে এবার আমনের ফলন অনেক বেশি হয়েছে।’

কৃষি অফিসের তথ্যমতে, এবার এ উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৩১ হাজার হেক্টর। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে ৩০ হাজার ৭৯৮ হেক্টর৷ সামান্য হেক্টর বাকি থাকলেও তা বাম্পার ফলনে পুষিয়ে যাবে বলে মনে করেন কর্মকর্তারা।

কলাপাড়া উপজেলাটি প্রধানত উপকূলীয় এলাকা। যেখানে লবণাক্ততা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কৃষিকাজ অনেক সময় ঝুঁকির মধ্যে থাকে। তবে এবছর বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পরিমাণ ভালো থাকার কারণে এবং কৃষি উপকরণ সরবরাহের কারণে আমনের ফলন আশানুরূপ হয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয় কৃষকরা।

নীলগঞ্জ ইউনিয়নের দৌলতপুরের কৃষক মো. খলিল ফরাজি বলেন, ‘এবার যে পরিমাণ ফলন হয়েছে, তা গত কয়েক বছরের চেয়ে অনেক বেশি। এই বাম্পার ফলন আমাদের জীবনমানের উন্নতি ঘটাবে এবং পরবর্তী মৌসুমে আরো বেশি আত্মবিশ্বাস নিয়ে চাষাবাদ করতে পারবো।’

আরেক কৃষক মমিন ফরাজি বলেন, ‘আমনের দাম ভালো আছে। এখন মণ ১৪৫০ টাকা দরে বিক্রি করতে পারি। সামনে দাম এমন থাকলে লাভের আশা করি। এবারে যতটুকু ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা ছিলো তা হয়নি, এমন ফলন দেখে সত্যিই আমি অভিভূত। ফসল ভালো হওয়ার ফলে, আমরাই সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবো।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আমনের বাম্পার ফলনেও পূরণ হয়নি লক্ষমাত্রা

আপডেট সময় : ০৯:৩৭:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এবার আমনের বাম্পার ফলনে কৃষকদের মুখে আনন্দের ঝিলিক ফুটলেও পূরন হয়নি লক্ষ্যমাত্রা। আগাম তরমুজ চাষের জন্য অনেক কৃষক তাদের জমিতে আমন ধান রোপণ করেনি বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ আরাফাত হোসেন।

তিনি বলেন, ‘এবারে আমন ধানের ক্ষেতে তাকালে মনটা জুড়িয়ে যায়। এত সুন্দর ধানের শীষ। পুষ্টিও আছে ধানে। এবারের আবহাওয়া ছিলো পুরোপুরি অনুকূলে। তাই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলেও বাম্পার ফলন হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে ছিলো এবং আমরা সময়মতো সঠিক পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করেছি। নতুন প্রযুক্তি এবং উন্নত জাতের বীজ ব্যবহারের ফলে এবার আমনের ফলন অনেক বেশি হয়েছে।’

কৃষি অফিসের তথ্যমতে, এবার এ উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৩১ হাজার হেক্টর। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে ৩০ হাজার ৭৯৮ হেক্টর৷ সামান্য হেক্টর বাকি থাকলেও তা বাম্পার ফলনে পুষিয়ে যাবে বলে মনে করেন কর্মকর্তারা।

কলাপাড়া উপজেলাটি প্রধানত উপকূলীয় এলাকা। যেখানে লবণাক্ততা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কৃষিকাজ অনেক সময় ঝুঁকির মধ্যে থাকে। তবে এবছর বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পরিমাণ ভালো থাকার কারণে এবং কৃষি উপকরণ সরবরাহের কারণে আমনের ফলন আশানুরূপ হয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয় কৃষকরা।

নীলগঞ্জ ইউনিয়নের দৌলতপুরের কৃষক মো. খলিল ফরাজি বলেন, ‘এবার যে পরিমাণ ফলন হয়েছে, তা গত কয়েক বছরের চেয়ে অনেক বেশি। এই বাম্পার ফলন আমাদের জীবনমানের উন্নতি ঘটাবে এবং পরবর্তী মৌসুমে আরো বেশি আত্মবিশ্বাস নিয়ে চাষাবাদ করতে পারবো।’

আরেক কৃষক মমিন ফরাজি বলেন, ‘আমনের দাম ভালো আছে। এখন মণ ১৪৫০ টাকা দরে বিক্রি করতে পারি। সামনে দাম এমন থাকলে লাভের আশা করি। এবারে যতটুকু ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা ছিলো তা হয়নি, এমন ফলন দেখে সত্যিই আমি অভিভূত। ফসল ভালো হওয়ার ফলে, আমরাই সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবো।’