কুয়াকাটায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ, ছাত্রলীগ নেতার ভাইয়ের আঘাতে জেলের মৃত্যু

- আপডেট সময় : ১০:১১:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
- / ৩৫৮ বার পড়া হয়েছে
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রাণ গেল শহিদুল ফকির (৪০) নামে এক জেলের। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে লতাচাপলী ইউনিয়নের পশ্চিম খাজুরা গ্রামে ঘটে মর্মান্তিক এ ঘটনা।
নিহত শহিদুল ফকির ওই গ্রামের মৃত আলী ফকিরের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ট্রলার মাঝি ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শহিদুলের ট্রলারে কর্মরত এক স্টাফের কাছে সোহেল ফকির নামের এক যুবকের ২ হাজার ৪০০ টাকা পাওনা ছিল। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে সোহেল ক্ষিপ্ত হয়ে শহিদুলের মাথায় একটি ভারী কাঠের টুকরো দিয়ে আঘাত করেন।
গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুয়াকাটা ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ হোসেন বলেন, “মাথায় গুরুতর আঘাতজনিত রক্তক্ষরণের কারণে হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।”
নিহতের ছেলে সজল জানান, “আমি বাবার হয়ে সেই টাকা পরিশোধ করেছিলাম। তবুও সোহেল আমার বাবাকে গালাগাল করে এবং হঠাৎ মাথায় আঘাত করে হত্যা করে।”
স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্ত সোহেল ফকির নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ক্যাডার নজরুল ফকিরের ছোট ভাই এবং তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
লতাচাপলী ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান হাওলাদার এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, “গত কয়েক মাস ধরে এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের এক শ্রেণির লোক নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। শহিদুলের নির্মম মৃত্যু তারই প্রমাণ। দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”
মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, “লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত সোহেল পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।”
এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে। এলাকাবাসী ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।