পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ‎পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলায় শহীদ ও আহত পরিবারের ২১ জন সদস্যের মাঝে নগদ অর্থ ও ঈদ উপহার সামগ্র বিতরণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।

শনিবার (৭ জুন) সকালে ঈদের নামাজ পরে আহত পরিবারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এ উপহার সামগ্রী তুলে দেন ও তাদের পরিবারের খোঁজ খবর নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ তরিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, “জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান যারা জীবন দিয়ে বা জীবন বাজি রেখে আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন,তারা এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন।

মির্জাগঞ্জ উপজেলায় জুলাই আন্দোলনে নিহত হয়েছেন হৃদয় তরুয়া আর আহত হয়েছেন এমন ব্যক্তি রয়েছেন ২১ জন। তাদের কারও পায়ে গুলি লেগেছিলো, কারো চোখ নষ্ট হয়ে গিয়েছে, কারো মাথায় আটকে রয়েছে গুলি, কেউ এখনো হাসপাতালে ভর্তি, কেউবা জীবিকার তাগিদে পায়ে গুলির ক্ষতচিহ্ন নিয়েও রিকশার প্যাডেল ঘুরাচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে সরকারিভাবে এবং কিছু মহান ব্যক্তির সহায়তায় উপজেলা প্রশাসন মির্জাগঞ্জ তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং ঈদের দিনেও তাদের জন্য জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশনায় উপজেলা প্রশাসন থেকে ঈদ উপহার পৌছে দেয়া হয়েছে।

যারা এলাকায় নেই তাদের কাছেও উপহারের সমপরিমাণ অর্থ পৌছে দেয়া হচ্ছে। ভালো থাকুক জুলাই যোদ্ধা আহত আরিফ, ফয়সাল, তৌহিদ, সাগর, রায়হানরা। দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক। ঈদ উপলক্ষে এই সামান্য উপহার তাঁদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতার প্রতীক। ”তিনি আরও বলেন, “প্রতি বছর যেন এ ধরনের উদ্যোগ আরও বৃহৎ আকারে নেওয়া যায়, সে লক্ষ্যে কাজ করছে প্রশাসন।

আহত পরিবারের এক সদস্য আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, “আমার ছেলে পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দীর্ঘদিন ঘরে পরে আছে। তারঁ চিকিৎসাও চলছে। সরকার আমাদের স্মরণ করছে, এটা আমাদের অনেক বড় পাওয়া।” এ সময়ে বিতরণকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মির্জাগঞ্জের প্রতিনিধিরাও ইউএনও’র সাথে ছিলেন।