ঢাকা ০১:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo তিন বছর ধরে ঝুঁলে আছে আয়রণ ব্রিজ, ভোগান্তি চরমে  Logo মৎস্যজীবী দল নেতাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিএনপির মহাসচিবের নিন্দা Logo বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে, উত্তাল সমুদ্রে মাতোয়ারা হাজারো পর্যটক Logo মির্জাগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় বাদী শ্রীঘরে Logo কুয়াকাটায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ, ছাত্রলীগ নেতার ভাইয়ের আঘাতে জেলের মৃত্যু Logo মির্জাগঞ্জে ইউসিবি ব্যাংক পিএলসি’র ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন Logo মহিপুরে পাওনা টাকার জেরে জেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ Logo স্বামীর মৃত্যুতে শিশু সন্তান ও বৃদ্ধা শ্বাশুরীকে নিয়ে অসহায় জীবন গীতা রানীর Logo মির্জাগঞ্জে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি গ্রেফতার Logo কলাপাড়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিক শিক্ষার্থীর বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান, আত্মহত্যার হুমকি

মৎস্যজীবী দল নেতাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিএনপির মহাসচিবের নিন্দা

মহিপুর প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৮:০৭:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
  • / ৪৮৪ বার পড়া হয়েছে

Oplus_131072

পটুয়াখালীর মহিপুরে পাওনা টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শহিদুল ফকির (৪০) নামের এক জেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক নেতার ভাইয়ের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়নের পশ্চিম খাজুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শহিদুল ফকির একই গ্রামের মৃত আলী ফকিরের ছেলে। নিহত শহিদুল ফকির বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র সহযোগী সংগঠন মৎস্যজীবী দলের ওয়ার্ড সহ-সভাপতি ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত শহিদুল ফকির একটি মাছ ধরার ট্রলারের মাঝি হিসাবে কাজ করেন। তার ট্রলারের এক জেলের কাছে লতাচাপলী ইউনিয়ন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নজরুল ফকিরের ছোট ভাই সোহেল ফকির (৩৫) নামের এক আ.লীগ নেতা ২ হাজার ৪’শত টাকা পাওনা নিয়ে দ্বন্দ্বের একপর্যায়ে ভারী কাঠ দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার রিয়াজ হোসেন তাঁকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

এ লোমহর্ষক, পৈশাচিক, বর্বরোচিত ও কাপুরুষোচিত ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ (২৭ জুন) বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত হোসেন এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট সরকারের পতন হলেও দেশে এখনও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে পরাজিত শক্তি আওয়ামী লীগের দোসররা।

তারা গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। ষড়যন্ত্রকারীরা ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয়কে কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না বলেই বর্তমান ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিস্থিতিতে দেশব্যাপী খুন-খারাবীর মতো পৈশাচিক ও লোমহর্ষক খেলায় মেতে উঠেছে। পশুর চেয়েও হিংস্রতা ও ভয়াবহ আওয়ামী দুঃশাসন থেকে জনগণ নিস্তার পেলেও দেশ এখনও পুরোপুরি নিরাপদ নয়। খুন-খারাবির মাধ্যমে ঘাপটিমারা আওয়ামী দুষ্কৃতিকারিরা দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আর এ কারণেই জনগণসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে পৈশাচিক কায়দায় হত্যা করা হচ্ছে।

জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল পটুয়াখালী জেলার মহিপুর থানাধীন লতাচাপলি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড শাখার সহ-সভাপতি মোঃ শহিদুল মাঝিকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দ্বারা গুলি করে নির্মমভাকে হত্যা করার ঘটনা সেটিরই নির্মম বহিঃপ্রকাশ। এসব সন্ত্রাসীদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে, এর কোন বিকল্প নেই।

সন্ত্রাসীদের দমণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কঠোর পন্থা অবলম্বন করতে হবে। নইলে সন্ত্রাসীদের দাপটে দেশ আবারো অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে। তাই হামলা ও রক্তাক্ত পথ অনুসরণ করে ষড়যন্ত্রকারীরা যাতে ফায়দা লুটতে না পারে সেজন্য দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আর তাহলেই দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।”

বিএনপি মহাসচিব বিবৃতিতে মোঃ শহিদুল মাঝিকে হত্যাকারী দুষ্কৃতিকারিদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শান্তির জোর আহবান জানান। তিনি নিহতের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং ল পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

মৎস্যজীবী দল নেতাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিএনপির মহাসচিবের নিন্দা

আপডেট সময় : ০৮:০৭:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

পটুয়াখালীর মহিপুরে পাওনা টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শহিদুল ফকির (৪০) নামের এক জেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক নেতার ভাইয়ের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়নের পশ্চিম খাজুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শহিদুল ফকির একই গ্রামের মৃত আলী ফকিরের ছেলে। নিহত শহিদুল ফকির বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র সহযোগী সংগঠন মৎস্যজীবী দলের ওয়ার্ড সহ-সভাপতি ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত শহিদুল ফকির একটি মাছ ধরার ট্রলারের মাঝি হিসাবে কাজ করেন। তার ট্রলারের এক জেলের কাছে লতাচাপলী ইউনিয়ন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নজরুল ফকিরের ছোট ভাই সোহেল ফকির (৩৫) নামের এক আ.লীগ নেতা ২ হাজার ৪’শত টাকা পাওনা নিয়ে দ্বন্দ্বের একপর্যায়ে ভারী কাঠ দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার রিয়াজ হোসেন তাঁকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

এ লোমহর্ষক, পৈশাচিক, বর্বরোচিত ও কাপুরুষোচিত ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ (২৭ জুন) বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত হোসেন এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট সরকারের পতন হলেও দেশে এখনও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে পরাজিত শক্তি আওয়ামী লীগের দোসররা।

তারা গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। ষড়যন্ত্রকারীরা ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয়কে কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না বলেই বর্তমান ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিস্থিতিতে দেশব্যাপী খুন-খারাবীর মতো পৈশাচিক ও লোমহর্ষক খেলায় মেতে উঠেছে। পশুর চেয়েও হিংস্রতা ও ভয়াবহ আওয়ামী দুঃশাসন থেকে জনগণ নিস্তার পেলেও দেশ এখনও পুরোপুরি নিরাপদ নয়। খুন-খারাবির মাধ্যমে ঘাপটিমারা আওয়ামী দুষ্কৃতিকারিরা দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আর এ কারণেই জনগণসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে পৈশাচিক কায়দায় হত্যা করা হচ্ছে।

জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল পটুয়াখালী জেলার মহিপুর থানাধীন লতাচাপলি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড শাখার সহ-সভাপতি মোঃ শহিদুল মাঝিকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দ্বারা গুলি করে নির্মমভাকে হত্যা করার ঘটনা সেটিরই নির্মম বহিঃপ্রকাশ। এসব সন্ত্রাসীদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে, এর কোন বিকল্প নেই।

সন্ত্রাসীদের দমণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কঠোর পন্থা অবলম্বন করতে হবে। নইলে সন্ত্রাসীদের দাপটে দেশ আবারো অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে। তাই হামলা ও রক্তাক্ত পথ অনুসরণ করে ষড়যন্ত্রকারীরা যাতে ফায়দা লুটতে না পারে সেজন্য দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আর তাহলেই দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।”

বিএনপি মহাসচিব বিবৃতিতে মোঃ শহিদুল মাঝিকে হত্যাকারী দুষ্কৃতিকারিদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শান্তির জোর আহবান জানান। তিনি নিহতের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং ল পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।