মির্জাগঞ্জে বৃষ্টিতে স্বস্তি, মুগডাল চাষীরা খুশি

- আপডেট সময় : ০৬:৪৬:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
- / ৩৯৫ বার পড়া হয়েছে
পটুুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে পহেলা বৈশাখের রাতে ও আজ মঙ্গলবার দুপুরে বৃষ্টিতে কৃষকের মনে স্বস্তি ফিরিছে। দুই-তিন মাসের মধ্যে বৃষ্টি না হওয়ায় রবি ফসলসহ সকল ক্ষেত রোদে পুড়েছে। তাই নতুন বছরের শুরুতেই বৃষ্টিতে প্রাণ ফিরে পেয়েছে ফসলের ক্ষেতে। বৃষ্টির কারণে ডাল, রবি ফসল ও বোরো ফসলের সজীবতা ও উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। এতে স্বস্তি দেখা গেছে স্থানীয় কৃষকের মুখে। উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ছয় হাজার ৮১৮ হেক্টর জমিতে রবি শষ্যে আবাদ করা হয়েছে। এরমধ্যে মুখডাল ৩ হাজার হেক্টর, খেসারি দুই হাজার ২’শত হেক্টর, বোরো ধান ১৫০হেক্টর, তরমুজ ১৬৫ হেক্টর, সরিষা ৩০ হেক্টর, সূর্যমুখী ৩৫ হেক্টর, চিনাবাদাম ১২০ হেক্টর, মরিচ ৩২০ হেক্টর, গোলআলু ৪৮ হেক্টর, মিষ্টি আলু ৭০ হেক্টর ও বিভিন্ন প্রকারের সবজি ৬৮০ হেক্টর জমিতে এবারে রবি শষ্যের আবাদ হয়েছে।
খেসারী ডাল একমাস আগেই ঘরে তুলেছেন কৃষকরা। কৃষকেরা ইতিমধ্যেই ক্ষেত থেকে মুগডাল তুলতে শুরু করেছেন। এতে কৃষক অনেক উচ্ছ্বসিত। ফসলের জন্য এ মুহূর্তে বৃষ্টি খুবই প্রয়োজন ছিলো। সোমবারের রাতে ও আজ মঙ্গলবার দুপুরে বৃষ্টির ফলে ফসলের ভালো উৎপাদন আশা করা যাচ্ছে। এছাড়াও আমে বৃষ্টি কারণে গুটিঝড়া হ্রাসসহ ফলন বৃদ্ধি পাবে।
কাকড়াবুনিয়া এলাকার পানচাষী ঝন্টু ভক্ত বলেন, বৃষ্টি আরো আগে দরকার ছিল। কয়েকবার পাম্প দিয়ে সেচ দিয়ে পানের বরজে পানি দিতে হয়েছে। তারপর পহেলা বৈশাখের দিনরাতে এ বৃষ্টি হয়েছে তাতেই অনেক খুশি। এতে পানের গাছগুলো তাড়াতাড়ি বড় হবে। টাকা খরচ করে ১০-১২ দিন পানি দিতে হবে না।
আমড়াগাছিয়া গ্রামের মোঃ হাফেজ জোমাদ্দার জানান, ১২০ শতাংশ জমিতে মুগডাল চাষ করেছি।এ বছর শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ফসলি জমি শুকিয়ে আছে। গাছ বৃদ্ধি কম হয়েছে। বৃষ্টি হওয়ায় গাছ ও ফসলের জন্য ভালো হবে। আগামী সপ্তাহে ক্ষেত থেকে ডাল তোলা শুরু করবো।
মির্জাগঞ্জ গ্রামের নিখিল চন্দ্র মিস্ত্রী (সহকারী শিক্ষক) বলেন, আমি ১৬০ শতাংশ (স্থানীয় ১ কানি) জমিতে মুগডাল দিয়েছি। বৃষ্টি না হওয়ায় মনে করেছি ফলন অনেক কম হবে। বৃষ্টি না হওয়ায় বিভিন্ন ধরনের পোকা মাকড়ের আক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছিল। বৃষ্টি হওয়ায় ফসলের বিভিন্ন রকম ক্ষতিকর পোকা মারা যাবে এবং ফলনও বৃদ্ধি পাবে।
উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সায়েম বলেন, এই বৃষ্টি ফসলের জন্য অনেকই দরকার ছিল। বৃষ্টিতে ফলনও বৃদ্ধি পাবে।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আবদুল্লা আল মামুন জানান, চলতি মৌসুমের শুরুতে কম বেশি বৃষ্টি হলেও মাঝ র্দীঘ সময় বৃষ্টি না হওয়া কৃষকরা একটু চিন্তিত হয়ে পড়েন। হঠাৎ এ বৃষ্টি ফসলের জন্য আশীর্বাদ। এতে উৎপাদন খরচ কমবে ও ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।