ঈদে লক্ষাধিক পর্যটকের আগমনের আশায় প্রস্তুত সাগরকন্যা কুয়াকাটা

- আপডেট সময় : ০৮:২৭:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫
- / ৪৭৯ বার পড়া হয়েছে
আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে টানা আট দিনের সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে দীর্ঘ অবকাশে ঘুরতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন হাজারো মানুষ। আর এই সুযোগে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের বেলাভূমি ‘সাগরকন্যা’ কুয়াকাটা হয়ে উঠেছে ভ্রমণপিপাসুদের প্রিয় গন্তব্য। ইতোমধ্যে পর্যটক বরণে প্রস্তুত জনপ্রিয় এ পর্যটন নগরী।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) থেকে শুরু হওয়া ছুটির আগেই কুয়াকাটার ২৩০টিরও বেশি হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টে আগাম বুকিং শুরু হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে ৪০-৫০ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন হোটেল মালিকরা। ১০ ও ১১ জুনের জন্য বুকিং সর্বাধিক, বিশেষ করে খান প্যালেসসহ একাধিক তারকা হোটেলে ওই দুই দিনের জন্য রুম ফাঁকা নেই।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল ফরাজী বলেন, ‘৯ থেকে ১১ জুন হবে ভ্রমণের মূল সময়কাল। ১২ জুন পর্যন্ত পর্যটকদের দৃশ্যমান উপস্থিতি থাকবে কুয়াকাটায়।’
মে মাসজুড়ে কুয়াকাটায় চোখে পড়ার মতো পর্যটক ছিল না। প্রচণ্ড গরম ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে অনেক হোটেলেই রুম ছিল একেবারে শূন্য। তবে ঈদ ঘিরে সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার আশায় বুক বাঁধছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনে সভাপতি মোতালেব শরীফ বলেন, ‘আমরা লক্ষাধিক পর্যটকের আগমন আশা করছি। প্রস্তুত রয়েছে হোটেল, রেস্তোরাঁ, ছাতা-বেঞ্চ ব্যবসায়ী, ছোট দোকান ও ভাসমান বিক্রেতাসহ প্রায় ৮ হাজার কর্মী।’
ঈদ উপলক্ষে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন। তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্পটে বিশেষ প্রহরার পাশাপাশি চালু থাকবে নিয়মিত টহল ও সাদা পোশাকে নজরদারি।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পরিদর্শক তাপস চন্দ্র রায় বলেন, ‘নিরাপত্তায় কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। ঈদের সময় ও পরে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হবে।’
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, পুলিশ সদস্যরা সার্বক্ষণিক নজরদারিতে থাকবেন যাতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে।
তবে সম্প্রতি জলোচ্ছ্বাসে কুয়াকাটা সৈকতের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পর্যটকদের ভোগান্তির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ‘শূন্য পয়েন্ট’ এলাকায় পড়ে থাকা কংক্রিটের টুকরো ও বিধ্বস্ত জিও ব্যাগগুলো দ্রুত অপসারণ জরুরি বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
এছাড়া অভ্যন্তরীণ যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া, চালকদের অসৌজন্যমূলক আচরণ ও হোটেলবিষয়ক যাত্রী টানাটানির মতো অনিয়ম রোধে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।