মহিপুরে পাওনা টাকার জেরে জেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

- আপডেট সময় : ০৯:৪৬:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
- / ৩৭৯ বার পড়া হয়েছে
পটুয়াখালীর মহিপুরে পাওনা টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শহিদুল ফকির (৪০) নামের এক জেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতার ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়নের পশ্চিম খাজুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শহিদুল ফকির একই গ্রামের মৃত আলী ফকিরের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত শহিদুল ফকির একটি মাছ ধরার ট্রলারে মাঝি হিসাবে কাজ করেন। তার ট্রলারের এক জেলের কাছে লতাচাপলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নজরুল ফকিরের ছোট ভাই সোহেল ফকির (৩৫) ২ হাজার ৪’শত টাকা পাওনা নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ভারী কাঠ দিয়ে মাঝির মাথায় আঘাত করেন। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার রিয়াজ হোসেন বলেন, বিকেল পাঁচটার দিকে শহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হলে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্থানীয়রা। পরে আমরা ইসিজির মাধ্যমে তার মৃত্যু নিশ্চিত হই।
নিহতের ছেলে সজল (১৯) জানায়, আমার বাবায় যে ট্রলারের মাঝি ওই ট্রলারের এক স্টাফের কাছে সোহেল ফকির মাত্র চব্বিশো টাকা পায়, সে এসে আমার বাবাকে গালাগালি করে। পরে আমি তাঁকে টাকা পরিশোধ করে দেই, টাকা দেয়ার পরেও সোহেল ফকির কাঠের ভারী টুকরো দিয়ে আমার বাবার মাথায় আঘাত করলে বাবা অচেতন হয়ে মাটিতে পড়ে যান। পরে তাকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলো চিকিৎসক তাকো মৃত্যু ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে লতাচাপলী ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান হাওলাদার বলেন, ৫ই আগস্টের পরে লতাচাপলী ইউনিয়ন আ.লীগের অনেকেই এলাকায় নানা কুকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। আজকের ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাই।
এ বিষয়ে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। অভিযুক্ত সোহেল ফকির থানার লিষ্টেট মামলাসহ একাধিক মামলার আসামী। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের একটি টিম মাঠে রয়েছে।