ঢাকা ০৯:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ঘন ঘন বৈরী আবহাওয়ায় হুমকিতে মৎস্য পেশা Logo ঋণ বাতিল করে জলবায়ু অর্থায়নের দাবিতে কলাপাড়ায় মানববন্ধন সাইকেল শোভাযাত্রা Logo ‎মির্জাগঞ্জে দাদীর সাথে অভিমানে স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা Logo তিন বছর ধরে ঝুঁলে আছে আয়রণ ব্রিজ, ভোগান্তি চরমে  Logo মৎস্যজীবী দল নেতাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিএনপির মহাসচিবের নিন্দা Logo বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে, উত্তাল সমুদ্রে মাতোয়ারা হাজারো পর্যটক Logo মির্জাগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় বাদী শ্রীঘরে Logo কুয়াকাটায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ, ছাত্রলীগ নেতার ভাইয়ের আঘাতে জেলের মৃত্যু Logo মির্জাগঞ্জে ইউসিবি ব্যাংক পিএলসি’র ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন Logo মহিপুরে পাওনা টাকার জেরে জেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

ঘন ঘন বৈরী আবহাওয়ায় হুমকিতে মৎস্য পেশা

কুয়াকাটা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৬:১৫:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
  • / ৩৬৭ বার পড়া হয়েছে

oplus_2

দফায় দফায় বৈরী ও সমুদ্র উত্তালের কারণে আবারও খালি হাতে ঘাঁটে ফিরছেন উপকূলের জেলেরা। গত ১৫ এপ্রিল থেকে ১১জুন সরকারের সামুদ্রিক মাছ আহরণের উপর ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা ছিল এরপর পরপরই দফায় দফায় বৈরী আবহাওয়ার কারণে আশানুরূপ ইলিশের দেখা পায়নি মৎস্য বন্দরের জেলেরা।

একদিকে অবরোধের ঘানি অন্যদিকে বৈরী আবহাওয়া সব মিলিয়ে হতাশ জেলেরা। কেউ কেউ পেশা পরিবর্তনের কথা ভাবছেন। আবার অনেকেই দাদন নিয়ে বাধ্য হয়ে এ পেশাই পড়ে আছেন।

আলীপুর মৎস্য বন্দর ব্যবসায়ী আবুল হোসেন কাজী বলেন, সম্প্রতি ৫৮ দিনের মৎস্য অবরোধ শেষেই সাগরে শুরু হয়েছে দফায় দফায় নিম্নচাপ। যার কারণে সাগর থেকে ট্রলার নিয়ে বার বার জেলেরা ঘাটে ফিরছে। ফিরে আসা এই ট্রলারগুলোর প্রত্যেকটিতে কয়েক লাখ টাকার বাজার করে সাগরে পাঠাতে হয়। কখনো নিম্ন চাপ কখনো লঘুচাপ সব মিলিয়ে বড় রকমের ক্ষতির মধ্যে আছি আমরা ট্রলার মালিকরা, ঋনগ্রস্ত হয়ে পড়েছি।

মায়ের দোয়া বোটের মাঝি ইউসুফ জানান, ৫৮ দিনের অবরোধের পর এখন পর্যন্ত লাভের মুখ দেখিনি কয়েকদিন পর পর আবহাওয়া খারাপ, বাজার সদায় করে যখনই সমুদ্রে নামি দুই এক দিন ফিশিং করার পরই আবহাওয়া খারাপ হয়ে যায়, কোন উপায় না পেয়ে আবার ঘাটে ফিরে আসি, এভাবে চলতে থাকলে এ পেশা ছেড়ে দিতে হবে।

আলিপুর মৎস্য আড়ৎদার সমিতির সভাপতি জলিল ঘরামী জানান (মনি ফিস) গত চার বছরে আমরা ব্যবসার মুখ দেখিনি, শুধুই লস, লাখ লাখ টাকা দাদন দিয়ে যদি এভাবে হয় এ পেশা টিকিয়ে রাখার কোন সাধ্য নাই।

মহিপুর আড়ৎদার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুমন দাস বলেন, ইলিশের দাম চড়াও থাকলে, ইলিশের তেমন দেখা পাচ্ছি না আমরা। বৈরী আবহাওয়ায় জেলেরা সমুদ্রে ফিশিং করতে না পারায় জেলে সহ আমরা আড়ৎদাররা বিপাকে পড়েছি।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্র বার বার খারাপ হচ্ছে, ফলে গত কয়েকবছর আমরা দেখেছি গভীর সমুদ্রে লম্বা জালে কিছু মাছের দেখা পেলেও ভাসান জাল, কালো কট বা লাল জালের অধিকাংশ জেলেরা কিন্তু তেমন ইলিশ পাননি। আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে আসলে। ভালো পরিমাণে ইলিশের দেখা পাবে জেলেরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ঘন ঘন বৈরী আবহাওয়ায় হুমকিতে মৎস্য পেশা

আপডেট সময় : ০৬:১৫:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

দফায় দফায় বৈরী ও সমুদ্র উত্তালের কারণে আবারও খালি হাতে ঘাঁটে ফিরছেন উপকূলের জেলেরা। গত ১৫ এপ্রিল থেকে ১১জুন সরকারের সামুদ্রিক মাছ আহরণের উপর ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা ছিল এরপর পরপরই দফায় দফায় বৈরী আবহাওয়ার কারণে আশানুরূপ ইলিশের দেখা পায়নি মৎস্য বন্দরের জেলেরা।

একদিকে অবরোধের ঘানি অন্যদিকে বৈরী আবহাওয়া সব মিলিয়ে হতাশ জেলেরা। কেউ কেউ পেশা পরিবর্তনের কথা ভাবছেন। আবার অনেকেই দাদন নিয়ে বাধ্য হয়ে এ পেশাই পড়ে আছেন।

আলীপুর মৎস্য বন্দর ব্যবসায়ী আবুল হোসেন কাজী বলেন, সম্প্রতি ৫৮ দিনের মৎস্য অবরোধ শেষেই সাগরে শুরু হয়েছে দফায় দফায় নিম্নচাপ। যার কারণে সাগর থেকে ট্রলার নিয়ে বার বার জেলেরা ঘাটে ফিরছে। ফিরে আসা এই ট্রলারগুলোর প্রত্যেকটিতে কয়েক লাখ টাকার বাজার করে সাগরে পাঠাতে হয়। কখনো নিম্ন চাপ কখনো লঘুচাপ সব মিলিয়ে বড় রকমের ক্ষতির মধ্যে আছি আমরা ট্রলার মালিকরা, ঋনগ্রস্ত হয়ে পড়েছি।

মায়ের দোয়া বোটের মাঝি ইউসুফ জানান, ৫৮ দিনের অবরোধের পর এখন পর্যন্ত লাভের মুখ দেখিনি কয়েকদিন পর পর আবহাওয়া খারাপ, বাজার সদায় করে যখনই সমুদ্রে নামি দুই এক দিন ফিশিং করার পরই আবহাওয়া খারাপ হয়ে যায়, কোন উপায় না পেয়ে আবার ঘাটে ফিরে আসি, এভাবে চলতে থাকলে এ পেশা ছেড়ে দিতে হবে।

আলিপুর মৎস্য আড়ৎদার সমিতির সভাপতি জলিল ঘরামী জানান (মনি ফিস) গত চার বছরে আমরা ব্যবসার মুখ দেখিনি, শুধুই লস, লাখ লাখ টাকা দাদন দিয়ে যদি এভাবে হয় এ পেশা টিকিয়ে রাখার কোন সাধ্য নাই।

মহিপুর আড়ৎদার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুমন দাস বলেন, ইলিশের দাম চড়াও থাকলে, ইলিশের তেমন দেখা পাচ্ছি না আমরা। বৈরী আবহাওয়ায় জেলেরা সমুদ্রে ফিশিং করতে না পারায় জেলে সহ আমরা আড়ৎদাররা বিপাকে পড়েছি।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্র বার বার খারাপ হচ্ছে, ফলে গত কয়েকবছর আমরা দেখেছি গভীর সমুদ্রে লম্বা জালে কিছু মাছের দেখা পেলেও ভাসান জাল, কালো কট বা লাল জালের অধিকাংশ জেলেরা কিন্তু তেমন ইলিশ পাননি। আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে আসলে। ভালো পরিমাণে ইলিশের দেখা পাবে জেলেরা।