ঢাকা ০৬:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ঋণ বাতিল করে জলবায়ু অর্থায়নের দাবিতে কলাপাড়ায় মানববন্ধন সাইকেল শোভাযাত্রা Logo ‎মির্জাগঞ্জে দাদীর সাথে অভিমানে স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা Logo তিন বছর ধরে ঝুঁলে আছে আয়রণ ব্রিজ, ভোগান্তি চরমে  Logo মৎস্যজীবী দল নেতাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিএনপির মহাসচিবের নিন্দা Logo বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে, উত্তাল সমুদ্রে মাতোয়ারা হাজারো পর্যটক Logo মির্জাগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় বাদী শ্রীঘরে Logo কুয়াকাটায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ, ছাত্রলীগ নেতার ভাইয়ের আঘাতে জেলের মৃত্যু Logo মির্জাগঞ্জে ইউসিবি ব্যাংক পিএলসি’র ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন Logo মহিপুরে পাওনা টাকার জেরে জেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ Logo স্বামীর মৃত্যুতে শিশু সন্তান ও বৃদ্ধা শ্বাশুরীকে নিয়ে অসহায় জীবন গীতা রানীর

বাংলাদেশে পর্যটকদের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত

ইব্রাহিম ওয়াহিদ
  • আপডেট সময় : ০১:১৭:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫
  • / ৫৫৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশে পর্যটকদের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত।দেশের একমাত্র স্থান যেখানে দাঁড়িয়ে একসঙ্গে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত উপভোগ করা যায়। সাম্প্রতিক সময়ে পর্যটকদের ব্যাপক আগ্রহ ও সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের ফলে কুয়াকাটার পর্যটন সম্ভাবনা আরও বাড়ছে।

শীতের মৌসুমে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকে কুয়াকাটা। পর্যটন ব্যবসায়ীদের মতে, চলতি বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় ভ্রমণকারীর সংখ্যা বেড়েছে। কুয়াকাটার বিভিন্ন হোটেল ও রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিশেষ করে ছুটির দিনে কক্ষ পাওয়া বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে উঠছে।

নীলাভ সমুদ্র, পরিচ্ছন্ন বালুকাবেলা ও শান্ত পরিবেশের কারণে দেশি-বিদেশি পর্যটকরা এখানে বেশি আকৃষ্ট হচ্ছেন। বিশেষ করে সাগরের বুকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখতে আসা ভ্রমণপ্রেমীরা কুয়াকাটাকে “প্রকৃতির রানী” বলেও অভিহিত করছেন।

কুয়াকাটার প্রধান আকর্ষণ সমুদ্র সৈকত হলেও আশপাশের বেশ কয়েকটি স্থানও পর্যটকদের নজর কাড়ছে। ফাতরার চর,লাল কাঁকড়ার চর, গঙ্গামতির বন,চর বিজয়,কাউয়ার চর,রাখাইন পল্লী ও বৌদ্ধ মন্দির পর্যটকদের নতুন গন্তব্য হয়ে উঠছে।

চর বিজয়ে ভ্রমণপ্রেমীদের আনাগোনা বেড়েছে।সমুদ্রের বুক চিড়ে ৫ হাজার একরেরও বেশি জায়গা জুড়ে সুন্দর একটি সৈকত জেগেছে।সৈকতের বালুর ওপর ছড়িয়ে থাকা হাজারো লাল কাঁকড়া এবং অতিথি পাখির আগমনে পর্যটকদের মুগ্ধ করছে।

কুয়াকাটায় আসার জন্য সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা আগের তুলনায় উন্নত হয়েছে। ঢাকা থেকে সরাসরি বাস সার্ভিস চালু থাকায় পর্যটকদের জন্য ভ্রমণ আরও সহজ হয়েছে। তবে কিছু পর্যটক অভিযোগ করেছেন, সৈকতের আশপাশে পর্যাপ্ত পাবলিক টয়লেট ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা প্রয়োজন।

সরকার ও স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা কুয়াকাটাকে বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছেন। ইতোমধ্যে নতুন রিসোর্ট, রেস্তোরাঁ ও পর্যটন সুবিধা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

পর্যটন বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক পরিকল্পনা ও অবকাঠামো উন্নয়ন করা গেলে কুয়াকাটা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রধান পর্যটন গন্তব্য হয়ে উঠতে পারে।
সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণ ও উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ থাকলে, কুয়াকাটা একদিন সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশের পর্যটনের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশে পর্যটকদের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত

আপডেট সময় : ০১:১৭:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশে পর্যটকদের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত।দেশের একমাত্র স্থান যেখানে দাঁড়িয়ে একসঙ্গে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত উপভোগ করা যায়। সাম্প্রতিক সময়ে পর্যটকদের ব্যাপক আগ্রহ ও সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের ফলে কুয়াকাটার পর্যটন সম্ভাবনা আরও বাড়ছে।

শীতের মৌসুমে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকে কুয়াকাটা। পর্যটন ব্যবসায়ীদের মতে, চলতি বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় ভ্রমণকারীর সংখ্যা বেড়েছে। কুয়াকাটার বিভিন্ন হোটেল ও রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিশেষ করে ছুটির দিনে কক্ষ পাওয়া বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে উঠছে।

নীলাভ সমুদ্র, পরিচ্ছন্ন বালুকাবেলা ও শান্ত পরিবেশের কারণে দেশি-বিদেশি পর্যটকরা এখানে বেশি আকৃষ্ট হচ্ছেন। বিশেষ করে সাগরের বুকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখতে আসা ভ্রমণপ্রেমীরা কুয়াকাটাকে “প্রকৃতির রানী” বলেও অভিহিত করছেন।

কুয়াকাটার প্রধান আকর্ষণ সমুদ্র সৈকত হলেও আশপাশের বেশ কয়েকটি স্থানও পর্যটকদের নজর কাড়ছে। ফাতরার চর,লাল কাঁকড়ার চর, গঙ্গামতির বন,চর বিজয়,কাউয়ার চর,রাখাইন পল্লী ও বৌদ্ধ মন্দির পর্যটকদের নতুন গন্তব্য হয়ে উঠছে।

চর বিজয়ে ভ্রমণপ্রেমীদের আনাগোনা বেড়েছে।সমুদ্রের বুক চিড়ে ৫ হাজার একরেরও বেশি জায়গা জুড়ে সুন্দর একটি সৈকত জেগেছে।সৈকতের বালুর ওপর ছড়িয়ে থাকা হাজারো লাল কাঁকড়া এবং অতিথি পাখির আগমনে পর্যটকদের মুগ্ধ করছে।

কুয়াকাটায় আসার জন্য সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা আগের তুলনায় উন্নত হয়েছে। ঢাকা থেকে সরাসরি বাস সার্ভিস চালু থাকায় পর্যটকদের জন্য ভ্রমণ আরও সহজ হয়েছে। তবে কিছু পর্যটক অভিযোগ করেছেন, সৈকতের আশপাশে পর্যাপ্ত পাবলিক টয়লেট ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা প্রয়োজন।

সরকার ও স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা কুয়াকাটাকে বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছেন। ইতোমধ্যে নতুন রিসোর্ট, রেস্তোরাঁ ও পর্যটন সুবিধা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

পর্যটন বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক পরিকল্পনা ও অবকাঠামো উন্নয়ন করা গেলে কুয়াকাটা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রধান পর্যটন গন্তব্য হয়ে উঠতে পারে।
সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণ ও উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ থাকলে, কুয়াকাটা একদিন সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশের পর্যটনের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।