ঢাকা ০৬:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ঘন ঘন বৈরী আবহাওয়ায় হুমকিতে মৎস্য পেশা Logo ঋণ বাতিল করে জলবায়ু অর্থায়নের দাবিতে কলাপাড়ায় মানববন্ধন সাইকেল শোভাযাত্রা Logo ‎মির্জাগঞ্জে দাদীর সাথে অভিমানে স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা Logo তিন বছর ধরে ঝুঁলে আছে আয়রণ ব্রিজ, ভোগান্তি চরমে  Logo মৎস্যজীবী দল নেতাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিএনপির মহাসচিবের নিন্দা Logo বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে, উত্তাল সমুদ্রে মাতোয়ারা হাজারো পর্যটক Logo মির্জাগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় বাদী শ্রীঘরে Logo কুয়াকাটায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ, ছাত্রলীগ নেতার ভাইয়ের আঘাতে জেলের মৃত্যু Logo মির্জাগঞ্জে ইউসিবি ব্যাংক পিএলসি’র ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন Logo মহিপুরে পাওনা টাকার জেরে জেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

আবার নতুন অনলাইন কেন?

বিডি কাগজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:০২:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৫৪৬ বার পড়া হয়েছে

শত শত অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও প্রিন্ট পত্রিকার ভিড়ে আবার কেন একটি নতুন অনলাইন পোর্টাল? বাংলাদেশের‌ কাগজ নামে কেন? নামটা জাতীয় প্রিন্ট পত্রিকার মতো তাইতো? হ্যাঁ। দেশের প্রত্যেকটি জাতীয় প্রিন্ট পত্রিকা অনলাইন ভার্সন চালু করেছে। মাল্টিমিডিয়াও কাজ শুরু করেছে। আর আমরা শুরু করেছি অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়া থেকে। আমরা ভবিষ্যতে প্রিন্ট পত্রিকার যাবার চিন্তা করে নাম নিয়েছি “বাংলাদেশের কাগজ”। সংক্ষিপ্ত নাম “বিডি কাগজ”। আমাদের শুরুটা হলো ঠিক উল্টো পথে। বড় স্বপ্ন লালন করে ছোট ছোট সফলতায় আগাতে চাই আমরা। আমাদের কুয়াকাটার আঞ্চলিক অফিস থেকে কাজ শুরু হয়ে পর্যায়ক্রমে চালু হবে ঢাকার প্রধান অফিস।

কেন? আমরা কথা বলবো মৎস্যজীবীদের, কৃষকদের, প্রান্তিক অবহেলিত জনগোষ্ঠীর। পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে রাখতে চাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। আমরা খেয়াল করেছি ঢাকার পাশে বুড়িগঙ্গা নদীতে একটি খেলার নৌকা ডুবে একজন মাঝি কিংবা যাত্রী নিখোঁজ হলে বা মারা গেলে এ নিউজটি পত্রিকার প্রথম পাতায় বা পিছনের পাতায় ছাপা। অনলাইন পোর্টালে লিড হয়। টেলিভিশনে লাইভ হয়। অথচ গভীর বঙ্গোপসাগরে ২০ জন জেলে নিয়ে একটি মাছ ধরা ট্রলার নিমজ্জিত হলে নিউজটি ভিতরের পাতায় এক কলামে ছাপা হয়। আমরা ভৌগলিক বৈষম্য দূর করতে চাই। নতুন বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের প্রত্যাশা পূরণ করতে সকল বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অঙ্গীকার আমাদের।

গত কয়েক বছর ধরে দেশের গণমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে বড় বড় ব্যবসায়ীদের হাতে। সরকারি নিয়ন্ত্রণে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে বেশ কিছু মূলধারার গণমাধ্যম। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি। সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপের পাশাপাশি বিজ্ঞাপন সংকটে বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে মালিকপক্ষ। যার ফলে অনেক প্রতিষ্ঠিত হাউজ ঠিকমতো বেতন দিতে পারেনি। দফায় দফায় কর্মী ছাঁটাই করেও টিকে থাকতে পারেনি। দেশের গণমাধ্যম শিল্পের সঙ্গে জড়িত অনেক সাংবাদিক চাকরি হারিয়েছেন। অনেক হাউজ টিকে থাকার জন্য দলীয় লেজুড়বৃত্তি করে বদনাম কামিয়েছে। হলুদ সাংবাদিকতার কলুষে আচ্ছন্ন হয়েছে মহতী এই পেশা। ফলে পেশাগত সাংবাদিকতা ভয়ংকর ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।আবার অনলাইন যুগ পুঁজি ব্যাঙের ছাতার মতো ঘরে ঘরে নিউজ পোর্টাল জন্ম হয়েছে। সত্য, তথ্যনির্ভর ও বস্তুনিষ্ট সংবাদের পরিবর্তে মিথ্যা, গুজবের দৌরাত্ম্য ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে। নামসর্বস্ব অনলাইনগুলো সারা দেশে আইডি কার্ড বিক্রি করছেন। যার তার গলায়, কোমরে ঝুলছে সাংবাদিকতার কার্ড। মটরসাইকেলের সামনে লাগছে প্রেস লেখা কিংবা ষ্টিকার। বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের প্রিন্ট পত্রিকাগুলো সাংবাদিক নিয়োগের নামে পত্রিকা বিক্রির জন্য হকার নিয়োগ দিচ্ছে। ফলে সাংবাদিকতা পেশার প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস মারাত্মকভাবে নষ্ট হয়েছে।

তাই মানুষ এখন সঠিক খবর জানার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তথ্য খুঁজে বেড়ায়। আবার অনেকে সাংবাদিকদের উপর মেজাজ খারাপ করে নিজেরাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তথ্য প্রকাশ করছে। যার কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ভাইরাল তথ্য মূল ধারার গণমাধ্যমে গুরুত্ব পাচ্ছে। সঠিক তথ্য বাছাই করতে না পেরে অনেক ক্ষেত্রে গুজবও ভাইরাল হচ্ছে।

বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় পেশাদার সাংবাদিকতার ও দলবাজ সাংবাদিকতা চলছে।হলুদ সাংবাদিকতা, সাংবাদিকতার নামে চাঁদাবাজি, তোষামোদি, দখলবাজিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডেও সাংবাদিকরা জড়িয়ে পড়ছেন। টাকার বিনিময়ে রিপোর্ট পাল্টে যায়, আবার রিপোর্টে রাতকে দিন আর দিনকে রাত বলা হয়।

সংশয় ও ঝুঁকির কথা জেনেও আমরা নিউজ পোর্টাল নিয়ে হাজির হয়েছি। কারণ আমরা সুসাংবাদিকতা করতে চাই। হলুদ সাংবাদিকতাকে না বলতে চাই। সত্যনিষ্ঠ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাকে হ্যাঁ বলতে চাই। আমরা কোনো দলের লেজুড়বৃত্তি করতে চাই না। কারও এজেন্ডা বাস্তবায়নও লক্ষ্য নয়। আমাদের কোনো রাজনৈতিক অভিলাষ নেই। দেশ ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে আমরা প্রান্তিক জনপথের অসহায় মানুষের কথা বলার চিন্তা নিয়ে একদল পেশাদার সাংবাদিক একত্রিত হয়েছি। আমরা সাংবাদিকতায় পেশাদারত্ব ফিরিয়ে আনতে চাই। সাংবাদিকতা থেকে দলবাজি, গোষ্ঠীবাজি বিদায় করতে চাই। আমরা পাঠকদের কাছে প্রতিশ্রুতি দিতে চাই, আমরা সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলব। প্রভাবশালীদের চোখ রাঙানির ভয় পাবো না। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে সমস্ত মানুষ সত্য খবর খুঁজে বেড়ান আমরা তাদের সত্য খবর দিব। তাইতো আমাদের স্লোগান ‘সত্যের নতুন দিগন্ত’। শুধু সত্য তথ্য দিয়েই আমরা নিউজ করবো না, সত্য প্রমাণে আমরা ভিডিও নিয়ে কাজ করব সমানতালে। ‌পাঠকদের বিশ্বাস অর্জন করতে টেলিভিশনের মত প্যাকেজ নিউজও করব আমরা। পাঠকের সামনে সঠিক তথ্য ও ভিডিও চিত্র উপস্থাপনের চ্যালেঞ্জ নিয়েছি আমরা। হয়তো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা একটু কঠিন হবে। কারণ সত্য তথ্য উপস্থাপন করলেই শুরু হবে নানা চক্রান্ত। আমাদের চারিদিকে বিছানো হবে কাটা।পা ফেললেই কাঁটা বিঁধবে। সেই কাঁটা সরিয়েই আমরা পথ চলবো সাবধানে। আমরা সবাই মিলে তারুণ্যে উদ্দীপিত হয়ে সাহস ও নিষ্ঠার সঙ্গে সেই বন্ধুর পথ পাড়ি দিবো, ইনশাআল্লাহ।

আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি, যারা সব সময় আমার চলার পথে শক্তি, সাহস, প্রেরণা জুগিয়েছেন, পাশে থেকে সুপরামর্শ দিয়েছেন; সহযোগিতা করেছেন। আমাদের নতুন উদ্যোগেরও সঙ্গী হয়েছেন।

আমাদের পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা রইলো‌। পরম করুণাময়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শেষ করছি।

লেখক: সম্পাদক, বাংলাদেশের কাগজ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আবার নতুন অনলাইন কেন?

আপডেট সময় : ০৪:০২:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

শত শত অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও প্রিন্ট পত্রিকার ভিড়ে আবার কেন একটি নতুন অনলাইন পোর্টাল? বাংলাদেশের‌ কাগজ নামে কেন? নামটা জাতীয় প্রিন্ট পত্রিকার মতো তাইতো? হ্যাঁ। দেশের প্রত্যেকটি জাতীয় প্রিন্ট পত্রিকা অনলাইন ভার্সন চালু করেছে। মাল্টিমিডিয়াও কাজ শুরু করেছে। আর আমরা শুরু করেছি অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়া থেকে। আমরা ভবিষ্যতে প্রিন্ট পত্রিকার যাবার চিন্তা করে নাম নিয়েছি “বাংলাদেশের কাগজ”। সংক্ষিপ্ত নাম “বিডি কাগজ”। আমাদের শুরুটা হলো ঠিক উল্টো পথে। বড় স্বপ্ন লালন করে ছোট ছোট সফলতায় আগাতে চাই আমরা। আমাদের কুয়াকাটার আঞ্চলিক অফিস থেকে কাজ শুরু হয়ে পর্যায়ক্রমে চালু হবে ঢাকার প্রধান অফিস।

কেন? আমরা কথা বলবো মৎস্যজীবীদের, কৃষকদের, প্রান্তিক অবহেলিত জনগোষ্ঠীর। পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে রাখতে চাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। আমরা খেয়াল করেছি ঢাকার পাশে বুড়িগঙ্গা নদীতে একটি খেলার নৌকা ডুবে একজন মাঝি কিংবা যাত্রী নিখোঁজ হলে বা মারা গেলে এ নিউজটি পত্রিকার প্রথম পাতায় বা পিছনের পাতায় ছাপা। অনলাইন পোর্টালে লিড হয়। টেলিভিশনে লাইভ হয়। অথচ গভীর বঙ্গোপসাগরে ২০ জন জেলে নিয়ে একটি মাছ ধরা ট্রলার নিমজ্জিত হলে নিউজটি ভিতরের পাতায় এক কলামে ছাপা হয়। আমরা ভৌগলিক বৈষম্য দূর করতে চাই। নতুন বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের প্রত্যাশা পূরণ করতে সকল বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অঙ্গীকার আমাদের।

গত কয়েক বছর ধরে দেশের গণমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে বড় বড় ব্যবসায়ীদের হাতে। সরকারি নিয়ন্ত্রণে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে বেশ কিছু মূলধারার গণমাধ্যম। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি। সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপের পাশাপাশি বিজ্ঞাপন সংকটে বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে মালিকপক্ষ। যার ফলে অনেক প্রতিষ্ঠিত হাউজ ঠিকমতো বেতন দিতে পারেনি। দফায় দফায় কর্মী ছাঁটাই করেও টিকে থাকতে পারেনি। দেশের গণমাধ্যম শিল্পের সঙ্গে জড়িত অনেক সাংবাদিক চাকরি হারিয়েছেন। অনেক হাউজ টিকে থাকার জন্য দলীয় লেজুড়বৃত্তি করে বদনাম কামিয়েছে। হলুদ সাংবাদিকতার কলুষে আচ্ছন্ন হয়েছে মহতী এই পেশা। ফলে পেশাগত সাংবাদিকতা ভয়ংকর ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।আবার অনলাইন যুগ পুঁজি ব্যাঙের ছাতার মতো ঘরে ঘরে নিউজ পোর্টাল জন্ম হয়েছে। সত্য, তথ্যনির্ভর ও বস্তুনিষ্ট সংবাদের পরিবর্তে মিথ্যা, গুজবের দৌরাত্ম্য ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে। নামসর্বস্ব অনলাইনগুলো সারা দেশে আইডি কার্ড বিক্রি করছেন। যার তার গলায়, কোমরে ঝুলছে সাংবাদিকতার কার্ড। মটরসাইকেলের সামনে লাগছে প্রেস লেখা কিংবা ষ্টিকার। বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের প্রিন্ট পত্রিকাগুলো সাংবাদিক নিয়োগের নামে পত্রিকা বিক্রির জন্য হকার নিয়োগ দিচ্ছে। ফলে সাংবাদিকতা পেশার প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস মারাত্মকভাবে নষ্ট হয়েছে।

তাই মানুষ এখন সঠিক খবর জানার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তথ্য খুঁজে বেড়ায়। আবার অনেকে সাংবাদিকদের উপর মেজাজ খারাপ করে নিজেরাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তথ্য প্রকাশ করছে। যার কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ভাইরাল তথ্য মূল ধারার গণমাধ্যমে গুরুত্ব পাচ্ছে। সঠিক তথ্য বাছাই করতে না পেরে অনেক ক্ষেত্রে গুজবও ভাইরাল হচ্ছে।

বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় পেশাদার সাংবাদিকতার ও দলবাজ সাংবাদিকতা চলছে।হলুদ সাংবাদিকতা, সাংবাদিকতার নামে চাঁদাবাজি, তোষামোদি, দখলবাজিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডেও সাংবাদিকরা জড়িয়ে পড়ছেন। টাকার বিনিময়ে রিপোর্ট পাল্টে যায়, আবার রিপোর্টে রাতকে দিন আর দিনকে রাত বলা হয়।

সংশয় ও ঝুঁকির কথা জেনেও আমরা নিউজ পোর্টাল নিয়ে হাজির হয়েছি। কারণ আমরা সুসাংবাদিকতা করতে চাই। হলুদ সাংবাদিকতাকে না বলতে চাই। সত্যনিষ্ঠ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাকে হ্যাঁ বলতে চাই। আমরা কোনো দলের লেজুড়বৃত্তি করতে চাই না। কারও এজেন্ডা বাস্তবায়নও লক্ষ্য নয়। আমাদের কোনো রাজনৈতিক অভিলাষ নেই। দেশ ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে আমরা প্রান্তিক জনপথের অসহায় মানুষের কথা বলার চিন্তা নিয়ে একদল পেশাদার সাংবাদিক একত্রিত হয়েছি। আমরা সাংবাদিকতায় পেশাদারত্ব ফিরিয়ে আনতে চাই। সাংবাদিকতা থেকে দলবাজি, গোষ্ঠীবাজি বিদায় করতে চাই। আমরা পাঠকদের কাছে প্রতিশ্রুতি দিতে চাই, আমরা সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলব। প্রভাবশালীদের চোখ রাঙানির ভয় পাবো না। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে সমস্ত মানুষ সত্য খবর খুঁজে বেড়ান আমরা তাদের সত্য খবর দিব। তাইতো আমাদের স্লোগান ‘সত্যের নতুন দিগন্ত’। শুধু সত্য তথ্য দিয়েই আমরা নিউজ করবো না, সত্য প্রমাণে আমরা ভিডিও নিয়ে কাজ করব সমানতালে। ‌পাঠকদের বিশ্বাস অর্জন করতে টেলিভিশনের মত প্যাকেজ নিউজও করব আমরা। পাঠকের সামনে সঠিক তথ্য ও ভিডিও চিত্র উপস্থাপনের চ্যালেঞ্জ নিয়েছি আমরা। হয়তো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা একটু কঠিন হবে। কারণ সত্য তথ্য উপস্থাপন করলেই শুরু হবে নানা চক্রান্ত। আমাদের চারিদিকে বিছানো হবে কাটা।পা ফেললেই কাঁটা বিঁধবে। সেই কাঁটা সরিয়েই আমরা পথ চলবো সাবধানে। আমরা সবাই মিলে তারুণ্যে উদ্দীপিত হয়ে সাহস ও নিষ্ঠার সঙ্গে সেই বন্ধুর পথ পাড়ি দিবো, ইনশাআল্লাহ।

আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি, যারা সব সময় আমার চলার পথে শক্তি, সাহস, প্রেরণা জুগিয়েছেন, পাশে থেকে সুপরামর্শ দিয়েছেন; সহযোগিতা করেছেন। আমাদের নতুন উদ্যোগেরও সঙ্গী হয়েছেন।

আমাদের পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা রইলো‌। পরম করুণাময়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শেষ করছি।

লেখক: সম্পাদক, বাংলাদেশের কাগজ।