ঢাকা ০৬:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ঋণ বাতিল করে জলবায়ু অর্থায়নের দাবিতে কলাপাড়ায় মানববন্ধন সাইকেল শোভাযাত্রা Logo ‎মির্জাগঞ্জে দাদীর সাথে অভিমানে স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা Logo তিন বছর ধরে ঝুঁলে আছে আয়রণ ব্রিজ, ভোগান্তি চরমে  Logo মৎস্যজীবী দল নেতাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিএনপির মহাসচিবের নিন্দা Logo বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে, উত্তাল সমুদ্রে মাতোয়ারা হাজারো পর্যটক Logo মির্জাগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় বাদী শ্রীঘরে Logo কুয়াকাটায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ, ছাত্রলীগ নেতার ভাইয়ের আঘাতে জেলের মৃত্যু Logo মির্জাগঞ্জে ইউসিবি ব্যাংক পিএলসি’র ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন Logo মহিপুরে পাওনা টাকার জেরে জেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ Logo স্বামীর মৃত্যুতে শিশু সন্তান ও বৃদ্ধা শ্বাশুরীকে নিয়ে অসহায় জীবন গীতা রানীর

কুয়াকাটার সৈকতে জমজমাট বারবিকিউ পয়েন্ট, ভিড় করছে হাজারো পর্যটক

ইব্রাহিম ওয়াহিদ
  • আপডেট সময় : ০৩:২৮:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৪৬০ বার পড়া হয়েছে

নীল জলরাশি, সোনালি সৈকত আর অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে কুয়াকাটা প্রতি বছর হাজারো পর্যটককে কাছে টানে। কিন্তু এখন কুয়াকাটার সৌন্দর্যের পাশাপাশি পর্যটকদের রসনার তৃপ্তির জন্য আরেকটি বড় আকর্ষণ হয়ে উঠেছে ‘কুয়াকাটা বারবিকিউ পয়েন্ট’।

সমুদ্রের গর্জন,শীতল বাতাস আর সুস্বাদু বারবিকিউয়ের ঘ্রাণ—সব মিলিয়ে এক অনন্য অভিজ্ঞতা নিয়ে যাচ্ছেন পর্যটকরা। সন্ধ্যা নামতেই সৈকতের ধারে গড়ে ওঠা বিভিন্ন বারবিকিউ স্টলে জ্বলে ওঠে উজ্জ্বল শিখা। চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে লোভনীয় সুগন্ধ। টাটকা সামুদ্রিক মাছ, চিংড়ি, স্কুইড, টোনা, কোড়াল, স্যলমন, লবস্টার, অক্টোপাস সহ চিকেন ও বিফের বারবিকিউর স্বাদ নিতে ভিড় জমায় ভোজনরসিকরা। উন্মুক্ত আকাশের নিচে সমুদ্রের ঢেউয়ের গর্জনের সাথে বারবিকিউর এই আয়োজন এক অনন্য অভিজ্ঞতা দেয়।

ঢাকা থেকে আসা পর্যটক আদনান ইসলাম বলেন, “সমুদ্রের পাড়ে বসে টাটকা সামুদ্রিক মাছের বারবিকিউ খাওয়ার অনুভূতি এক কথায় অসাধারণ। ঢাকার কোনো রেস্টুরেন্টে এমন স্বাদ পাওয়া যায় না।”

যশোর থেকে আসা সুমি আক্তার বলেন, “সন্ধ্যার পর বারবিকিউ পয়েন্টের পরিবেশটাই অন্যরকম হয়ে যায়। নরমাল রেস্টুরেন্টে খাবার খাওয়ার চেয়ে এখানে বসে খাওয়ার অনুভূতি সম্পূর্ণ ভিন্ন,সবচেয়ে ভালো লাগার বিষয় হচ্ছে চোখের সামনে বসে মাছ গুলো বারবিকিউ করে খেতে পারছি।”

বরিশাল থেকে আসা জসিম উদ্দিন বলেন,”কুয়াকাটায় স্ব-পরিবারে ঘুরতে এসেছি।সারাদিন ঘুরে ফিরে সন্ধ্যায় আসলে করার কিছু থাকে না তবে এখানে এসে সুন্দর একটি সময় কাটানো যাচ্ছে, চোখের সামনে তরতাজা মাছ ইচ্ছে মত দেখে অর্ডার করে খেতে পারছি। এই সময়টা আসলে আমাদের পুরো ট্যুরের স্বরণীয় হয়ে থাকবে।”

স্থানীয় ব্যবসায়ী মো:মহিবুল জানান,”গত কয়েক বছরে কুয়াকাটার বারবিকিউ পয়েন্টগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আগত পর্যটকদের জন্য কুয়াকাটার এই অংশটি রাতের বেলা হয়ে ওঠে বিনোদনের একটি জায়গা।তবে এখানকার পরিবেশ টা আরো সুন্দর করা যেতে পারে তাহলে আগত ট্যুরিস্টরা আরো ভালো ভাবে উপভোগ করতে পারতো।

হলিডে ফিস ফ্রাই এন্ড বারবিকিউ স্টোর এর স্বত্বাধিকারী সগির আহমেদ জানান, বাজার থেকে সবচেয়ে তাজা এবং ভালো মাছ গুলো আমরা ক্রয় করে নিয়ে আসি।যাতে করে পর্যটকদের ভালো একটি খাবার পরিবেশনা করতে পারি।আমাদের মাছ গুলো প্রতিদিন বিভিন্ন বাজার ঘুরে সংগ্রহ করে থাকি যাতে করে প্রতিদিনই পর্যটকদের তাজা মাছ খাওয়াতে পারি। শুধু তাই নয় আমাদের রয়েছে অভিজ্ঞ বারবিকিউ বাবুর্চি মুখরোচক মশলা ও চুলোর কয়লায় পুরো কাজটা আমরা করে থাকি।

কুয়াকটা ফিস ফ্রাই মালিক সমিতির সভাপতি কাওছার রাঁড়ী বলেন,”কুয়াকাটায় বারবিকিউ খাবারের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। দেশ-বিদেশ থেকে আসা পর্যটকরা এখানে টাটকা সামুদ্রিক মাছ ও নানা রকম বারবিকিউর স্বাদ নিতে ভিড় করছেন। আমরা ব্যবসায়ীরা সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশনের চেষ্টা করছি।”

তিনি আরও বলেন,”পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে আমরা নতুন নতুন খাবার মেন্যু যোগ করছি। পাশাপাশি খাবারের মান ও মূল্য যেন পর্যটকদের জন্য উপযুক্ত হয়, সে বিষয়েও আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। ভবিষ্যতে কুয়াকাটার বারবিকিউ শিল্পকে আরও সমৃদ্ধ করতে সমিতির পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হবে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

কুয়াকাটার সৈকতে জমজমাট বারবিকিউ পয়েন্ট, ভিড় করছে হাজারো পর্যটক

আপডেট সময় : ০৩:২৮:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ এপ্রিল ২০২৫

নীল জলরাশি, সোনালি সৈকত আর অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে কুয়াকাটা প্রতি বছর হাজারো পর্যটককে কাছে টানে। কিন্তু এখন কুয়াকাটার সৌন্দর্যের পাশাপাশি পর্যটকদের রসনার তৃপ্তির জন্য আরেকটি বড় আকর্ষণ হয়ে উঠেছে ‘কুয়াকাটা বারবিকিউ পয়েন্ট’।

সমুদ্রের গর্জন,শীতল বাতাস আর সুস্বাদু বারবিকিউয়ের ঘ্রাণ—সব মিলিয়ে এক অনন্য অভিজ্ঞতা নিয়ে যাচ্ছেন পর্যটকরা। সন্ধ্যা নামতেই সৈকতের ধারে গড়ে ওঠা বিভিন্ন বারবিকিউ স্টলে জ্বলে ওঠে উজ্জ্বল শিখা। চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে লোভনীয় সুগন্ধ। টাটকা সামুদ্রিক মাছ, চিংড়ি, স্কুইড, টোনা, কোড়াল, স্যলমন, লবস্টার, অক্টোপাস সহ চিকেন ও বিফের বারবিকিউর স্বাদ নিতে ভিড় জমায় ভোজনরসিকরা। উন্মুক্ত আকাশের নিচে সমুদ্রের ঢেউয়ের গর্জনের সাথে বারবিকিউর এই আয়োজন এক অনন্য অভিজ্ঞতা দেয়।

ঢাকা থেকে আসা পর্যটক আদনান ইসলাম বলেন, “সমুদ্রের পাড়ে বসে টাটকা সামুদ্রিক মাছের বারবিকিউ খাওয়ার অনুভূতি এক কথায় অসাধারণ। ঢাকার কোনো রেস্টুরেন্টে এমন স্বাদ পাওয়া যায় না।”

যশোর থেকে আসা সুমি আক্তার বলেন, “সন্ধ্যার পর বারবিকিউ পয়েন্টের পরিবেশটাই অন্যরকম হয়ে যায়। নরমাল রেস্টুরেন্টে খাবার খাওয়ার চেয়ে এখানে বসে খাওয়ার অনুভূতি সম্পূর্ণ ভিন্ন,সবচেয়ে ভালো লাগার বিষয় হচ্ছে চোখের সামনে বসে মাছ গুলো বারবিকিউ করে খেতে পারছি।”

বরিশাল থেকে আসা জসিম উদ্দিন বলেন,”কুয়াকাটায় স্ব-পরিবারে ঘুরতে এসেছি।সারাদিন ঘুরে ফিরে সন্ধ্যায় আসলে করার কিছু থাকে না তবে এখানে এসে সুন্দর একটি সময় কাটানো যাচ্ছে, চোখের সামনে তরতাজা মাছ ইচ্ছে মত দেখে অর্ডার করে খেতে পারছি। এই সময়টা আসলে আমাদের পুরো ট্যুরের স্বরণীয় হয়ে থাকবে।”

স্থানীয় ব্যবসায়ী মো:মহিবুল জানান,”গত কয়েক বছরে কুয়াকাটার বারবিকিউ পয়েন্টগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আগত পর্যটকদের জন্য কুয়াকাটার এই অংশটি রাতের বেলা হয়ে ওঠে বিনোদনের একটি জায়গা।তবে এখানকার পরিবেশ টা আরো সুন্দর করা যেতে পারে তাহলে আগত ট্যুরিস্টরা আরো ভালো ভাবে উপভোগ করতে পারতো।

হলিডে ফিস ফ্রাই এন্ড বারবিকিউ স্টোর এর স্বত্বাধিকারী সগির আহমেদ জানান, বাজার থেকে সবচেয়ে তাজা এবং ভালো মাছ গুলো আমরা ক্রয় করে নিয়ে আসি।যাতে করে পর্যটকদের ভালো একটি খাবার পরিবেশনা করতে পারি।আমাদের মাছ গুলো প্রতিদিন বিভিন্ন বাজার ঘুরে সংগ্রহ করে থাকি যাতে করে প্রতিদিনই পর্যটকদের তাজা মাছ খাওয়াতে পারি। শুধু তাই নয় আমাদের রয়েছে অভিজ্ঞ বারবিকিউ বাবুর্চি মুখরোচক মশলা ও চুলোর কয়লায় পুরো কাজটা আমরা করে থাকি।

কুয়াকটা ফিস ফ্রাই মালিক সমিতির সভাপতি কাওছার রাঁড়ী বলেন,”কুয়াকাটায় বারবিকিউ খাবারের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। দেশ-বিদেশ থেকে আসা পর্যটকরা এখানে টাটকা সামুদ্রিক মাছ ও নানা রকম বারবিকিউর স্বাদ নিতে ভিড় করছেন। আমরা ব্যবসায়ীরা সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশনের চেষ্টা করছি।”

তিনি আরও বলেন,”পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে আমরা নতুন নতুন খাবার মেন্যু যোগ করছি। পাশাপাশি খাবারের মান ও মূল্য যেন পর্যটকদের জন্য উপযুক্ত হয়, সে বিষয়েও আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। ভবিষ্যতে কুয়াকাটার বারবিকিউ শিল্পকে আরও সমৃদ্ধ করতে সমিতির পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হবে।”