সংবাদ শিরোনাম
মৌসুমের শেষ সময়ে পর্যটকের পদচারণায় মুখর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত

কুয়াকাটা প্রতিনিধি
- আপডেট সময় : ০৪:৩৫:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ৪৭৮ বার পড়া হয়েছে
মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ছুটিসহ সরকারী দুই দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে সাগরকন্যা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভীড় জমিয়েছে হাজার হাজার পর্যটক। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে আসা এসকল পর্যটকের পদচারণায় এখন মুখরিত হয়ে উঠেছে দীর্ঘ ২২ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকত।
আগত পর্যটকরা সৈকতের নোনা জলে গাঁ ভাসিয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতেছেন। অনেকে আবার প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে সৈকতের বেঞ্চিতে বসে উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। অনেকে আবার ঘোড়াসহ বিভিন্ন বাহনে চরে ঘুরছেন সৈকতের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত। আগত পর্যটকদের ভীড়ে বুকিং রয়েছে শতভাগ হোটেল-মোটেল। বিক্রি বেড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। মৌসুমের শেষ সময়ে পর্যটকের এমন ভীড়ে উচ্ছ্বসিত রয়েছে ব্যবসায়ীরা। পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিষ্ট পুলিশ, থানা পুলিশ ও নৌ-পুলিশের সদস্যরা তৎপর রয়েছে।
বেঞ্চি ব্যবসায়ী আবির বলেন, শীত কমে গেছে আবার একুশে ফেব্রুয়ারির বন্ধ মিলে এ সপ্তাহে পর্যটকদের উপস্থিতি বেশ ভালো। মৌসুমের শেষ দিকে পর্যটকের আগমনে আমরা খুশি।
সাউদ বিচ হোটেলের সত্বাধিকারী মো. সোহেল মিয়া বলেন, আজকে প্রচুর পর্যটক এসেছে। এভাবে বেশকিছু দিন পর্যটক থাকবে। আমার হোটেলের শতভাগ রুম বুকিং রয়েছে।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক আলাউদ্দিন বাবু বলেন, কুয়াকাটা খুব সুন্দর একটি সমুদ্র সৈকত। তবে এখানে এক্সক্লুসিভ টুরিজম,ওয়াচ টাওয়ার করা খুবই জরুরী। তার সাথে ভাঙ্গা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত সিক্সলেন মহাসড়কটি করলে পায়রা বন্দর ও কুয়াকাটা পর্যটন উভয় ক্ষেত্রে লোকজন বাড়বে।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এমএ মোতাবেক শরীফ বলেন, শীত চলে যাওয়ায় আজকে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটেছে। এভাবে পর্যটক আসলে পিছনের লোকসান ঘুচিয়ে পর্যটন ব্যবসায়ীরা লাভের মুখ দেখবে।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা সকল পর্যটকদের সেবায় আমরা সার্বক্ষণিক প্রস্তুত আছি। একুশে ফেব্রুয়ারি ও সাপ্তাহিক দুই দিনের ছুটিতে কুয়াকাটায় ব্যাপক পর্যটকের আগমন ঘটেছে। তাদের সেবায় ট্যুরিস্ট পুলিশ সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছে। বিভিন্ন টিমে ভাগ হয়ে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। আমাদের মোবাইল টিম মাঠে কাজ করছে। সার্বক্ষণিক মাইকিং করে পর্যটকদের সকল বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলামের বলেন, আমার মনে হয় আজকে এবছরের সবচেয়ে বেশি পর্যটকের আগমন ঘটেছে। কুয়াকাটা পর্যটন পুলিশের সঙ্গে থানা পুলিশ পর্যটকদের নিরাপত্তায় মাঠে আছে।