ঢাকা ০৬:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ঘন ঘন বৈরী আবহাওয়ায় হুমকিতে মৎস্য পেশা Logo ঋণ বাতিল করে জলবায়ু অর্থায়নের দাবিতে কলাপাড়ায় মানববন্ধন সাইকেল শোভাযাত্রা Logo ‎মির্জাগঞ্জে দাদীর সাথে অভিমানে স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা Logo তিন বছর ধরে ঝুঁলে আছে আয়রণ ব্রিজ, ভোগান্তি চরমে  Logo মৎস্যজীবী দল নেতাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিএনপির মহাসচিবের নিন্দা Logo বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে, উত্তাল সমুদ্রে মাতোয়ারা হাজারো পর্যটক Logo মির্জাগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় বাদী শ্রীঘরে Logo কুয়াকাটায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ, ছাত্রলীগ নেতার ভাইয়ের আঘাতে জেলের মৃত্যু Logo মির্জাগঞ্জে ইউসিবি ব্যাংক পিএলসি’র ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন Logo মহিপুরে পাওনা টাকার জেরে জেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

কুয়াকাটা সৈকতে পূণ্যস্নানে ভাঙল মিলন মেলা

কুয়াকাটা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৬:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৮৩ বার পড়া হয়েছে

আকাশে চাঁদের হাসি। হালকা কুয়াশায় ভেজা জোঁছনার আলো। সারা রাত কেউ ঘুমায়নি। পূর্ব আকাশে ভোরের পূর্ণিমা তিথির নতুন সূর্য ওঠার অপেক্ষা। উষালগ্নে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের হাজার হাজার নর-নারী মিলিত হয়েছে। পূণ্যার্থী ও দর্শনার্থীদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে গোটা সৈকত। আকাশে উড়ছে বাহারী রংঙের বেলুন।

বঙ্গোপসাগরের লোনা জলে নেমেছে হিন্দু সম্প্রদায়ের হাজারো নর-নারী। মানতকারীরা মাথার কেশ ন্যাড়াসহ প্রায়শ্চিত্ত ও পিন্ড দান করেন। পূণ্যের আশায় বেলপাতা, ফুল, ধান, দূর্বা, হরীতকী, ডাব, কলা, তেল, সিঁদুর সমুদ্রের জলে অর্পন করেন। পূণ্যার্থীরা পূর্ণিমার মধ্যে উলুধ্বনি ও মন্ত্রপাঠ করে গঙ্গা¯œানের মধ্য দিয়ে শেষ করেছেন এ বছরের রাসমেলা। আগত পূণ্যার্থী ও দর্শনার্থীরা শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে থেকে নিজ গন্তব্যে ফিরে গেছেন। এ বছর রাসলীলা উৎসবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লক্ষাধিক পূন্যার্থী ও দর্শনার্থীর সমাগম হয়েছে এমনটাই জানিয়েছেন রাসমেলা উদযাপন কমিটি। শুক্রবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার উদ্বোধন করেন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন। এসময় পটুয়াখালী জেলা ও কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এরপর মূল মঞ্চে সারা রাত দেশের প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পীরা গানে গানে মাতিয়ে তোলেন দর্শনার্থীদের। পাশাপাশি স্থানীয় শিল্পীরাও সুযোগ পান মঞ্চে গান পরিবেশনের। মন্দিরের সামনে শ্রী কৃষ্ণের নাম যজ্ঞ ও উলুধ্বনীর মধ্য দিয়ে রাত শেষ হয়। প্রতি বছরের মতো এ বছরও গঙ্গা¯œান উপলক্ষে সৈকতে মেলা বসেছে। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত মহামিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে কুয়াকাটার বিভিন্ন পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছিলো। এছাড়া পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল ছিলো চোখে পড়ার মতো।

রাসমেলা উদযাপন কমিটির সভাপতি কাজল বরণ দাস জানান, প্রায় দুই’শ বছর পূর্ণিমা তিথিতে এ রাসলীলা উৎসব ও মেলা চলে আসছে। দ্বাপর যুগে মানুষের দুঃখ-দুর্দশা, হিংসা, হানাহানি দেখে দুষ্টের দমন ও সৃষ্টের লালনের জন্য স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ নাম ধারণ করে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন।

রাসমেলা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদন ইঞ্জিনিয়ার নিহার চন্দ্র মন্ডল জানান, ব্যাপক নিরাপত্তা, উৎসাহ উদ্দিপনা, ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্য, রাতভর শ্রী কৃষ্ণের নাম যজ্ঞ ও উলুধ্বনীর মধ্য দিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় অনুষ্ঠান গঙ্গাস্নান ও শ্রী কৃষ্ণের রাস লীলা উৎসব সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

সরেজমিনে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ৫.৪৩ মিনিটে পূর্ণিমা তিথি লেগে শেষ হয়েছে শনিবার দিবাগত রাত ৩.৩২ মিনিটে। এই সময়ের মধ্যে হাজার হাজার পূন্যার্থীরা উলুধ্বনি দিয়ে সমুদ্রে গঙ্গাস্নানে ঝাঁপিয়ে পরেন। সমুদ্রে স্নান সেরে শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণের ১৭ জোড়া যূগল দর্শন শেষে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত পূণ্যার্থী ও দর্শনার্থীরা নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে শুরু করেন। মেলায় বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৩ শতাধিক ভাসমান দোকানিরা রং বে রংঙের বাহারি মেলার সামগ্রীর পসরা সাজিয়েছিলো। এদিকে রাসমেলা উপলক্ষে কুয়াকাটায় আগত দশর্নাথীদের বিনোদনের জন্য কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন ও কুয়াকাটা পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে তিনদিন ব্যাপী উন্মুক্ত মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিলো। সৈকতের পূর্বদিকে পর্যটন পার্কের পাশের এ মঞ্চে স্থানীয়সহ দেশের খ্যতিমান শিল্পীরা নৃত্য ও গান পরিবেশন করেছেন। উপজেলা প্রশাসনের এমন আয়োজনে খুশি হয়েছে আগত পর্যটকসহ স্থানীয়রা।

অপরদিকে কুয়াকাটা হোটেল মোটেল সূত্রে জানা গেছে, এ বছর রাসমেলা ও গঙ্গাস্নান উৎসবে আবাসিক হোটেলগুলোর কোন রুম খালি ছিলো না। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে ব্যাপক লোকের সমাগম হয়েছে। অন্যান্য বারের চেয়ে এ বছর মেলায় ব্যবসায়ীদের বেচা কেনা খুবই ভাল হয়েছে বলে তারা দাবি করেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাস মেলায় আগত পূণ্যার্থীদের নিরাপত্তা দিতে আনসার ভিডিপি, পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনীসহ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলে পর্যটন নগরী কুয়াকাটাকে। বিভিন্ন পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা ও চেক পোষ্ট এর মাধ্যমে পূন্যার্থীদের নজর রাখা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, সকল প্রস্তুতির পাশাপাশি রাস উৎসবে আগত সকল তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রশাসন প্রস্তত ছিলো। কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই এবারের রাসমেলা সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

কুয়াকাটা সৈকতে পূণ্যস্নানে ভাঙল মিলন মেলা

আপডেট সময় : ০৯:৫৬:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

আকাশে চাঁদের হাসি। হালকা কুয়াশায় ভেজা জোঁছনার আলো। সারা রাত কেউ ঘুমায়নি। পূর্ব আকাশে ভোরের পূর্ণিমা তিথির নতুন সূর্য ওঠার অপেক্ষা। উষালগ্নে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের হাজার হাজার নর-নারী মিলিত হয়েছে। পূণ্যার্থী ও দর্শনার্থীদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে গোটা সৈকত। আকাশে উড়ছে বাহারী রংঙের বেলুন।

বঙ্গোপসাগরের লোনা জলে নেমেছে হিন্দু সম্প্রদায়ের হাজারো নর-নারী। মানতকারীরা মাথার কেশ ন্যাড়াসহ প্রায়শ্চিত্ত ও পিন্ড দান করেন। পূণ্যের আশায় বেলপাতা, ফুল, ধান, দূর্বা, হরীতকী, ডাব, কলা, তেল, সিঁদুর সমুদ্রের জলে অর্পন করেন। পূণ্যার্থীরা পূর্ণিমার মধ্যে উলুধ্বনি ও মন্ত্রপাঠ করে গঙ্গা¯œানের মধ্য দিয়ে শেষ করেছেন এ বছরের রাসমেলা। আগত পূণ্যার্থী ও দর্শনার্থীরা শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে থেকে নিজ গন্তব্যে ফিরে গেছেন। এ বছর রাসলীলা উৎসবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লক্ষাধিক পূন্যার্থী ও দর্শনার্থীর সমাগম হয়েছে এমনটাই জানিয়েছেন রাসমেলা উদযাপন কমিটি। শুক্রবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার উদ্বোধন করেন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন। এসময় পটুয়াখালী জেলা ও কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এরপর মূল মঞ্চে সারা রাত দেশের প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পীরা গানে গানে মাতিয়ে তোলেন দর্শনার্থীদের। পাশাপাশি স্থানীয় শিল্পীরাও সুযোগ পান মঞ্চে গান পরিবেশনের। মন্দিরের সামনে শ্রী কৃষ্ণের নাম যজ্ঞ ও উলুধ্বনীর মধ্য দিয়ে রাত শেষ হয়। প্রতি বছরের মতো এ বছরও গঙ্গা¯œান উপলক্ষে সৈকতে মেলা বসেছে। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত মহামিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে কুয়াকাটার বিভিন্ন পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছিলো। এছাড়া পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল ছিলো চোখে পড়ার মতো।

রাসমেলা উদযাপন কমিটির সভাপতি কাজল বরণ দাস জানান, প্রায় দুই’শ বছর পূর্ণিমা তিথিতে এ রাসলীলা উৎসব ও মেলা চলে আসছে। দ্বাপর যুগে মানুষের দুঃখ-দুর্দশা, হিংসা, হানাহানি দেখে দুষ্টের দমন ও সৃষ্টের লালনের জন্য স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ নাম ধারণ করে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন।

রাসমেলা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদন ইঞ্জিনিয়ার নিহার চন্দ্র মন্ডল জানান, ব্যাপক নিরাপত্তা, উৎসাহ উদ্দিপনা, ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্য, রাতভর শ্রী কৃষ্ণের নাম যজ্ঞ ও উলুধ্বনীর মধ্য দিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় অনুষ্ঠান গঙ্গাস্নান ও শ্রী কৃষ্ণের রাস লীলা উৎসব সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

সরেজমিনে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ৫.৪৩ মিনিটে পূর্ণিমা তিথি লেগে শেষ হয়েছে শনিবার দিবাগত রাত ৩.৩২ মিনিটে। এই সময়ের মধ্যে হাজার হাজার পূন্যার্থীরা উলুধ্বনি দিয়ে সমুদ্রে গঙ্গাস্নানে ঝাঁপিয়ে পরেন। সমুদ্রে স্নান সেরে শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণের ১৭ জোড়া যূগল দর্শন শেষে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত পূণ্যার্থী ও দর্শনার্থীরা নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে শুরু করেন। মেলায় বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৩ শতাধিক ভাসমান দোকানিরা রং বে রংঙের বাহারি মেলার সামগ্রীর পসরা সাজিয়েছিলো। এদিকে রাসমেলা উপলক্ষে কুয়াকাটায় আগত দশর্নাথীদের বিনোদনের জন্য কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন ও কুয়াকাটা পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে তিনদিন ব্যাপী উন্মুক্ত মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিলো। সৈকতের পূর্বদিকে পর্যটন পার্কের পাশের এ মঞ্চে স্থানীয়সহ দেশের খ্যতিমান শিল্পীরা নৃত্য ও গান পরিবেশন করেছেন। উপজেলা প্রশাসনের এমন আয়োজনে খুশি হয়েছে আগত পর্যটকসহ স্থানীয়রা।

অপরদিকে কুয়াকাটা হোটেল মোটেল সূত্রে জানা গেছে, এ বছর রাসমেলা ও গঙ্গাস্নান উৎসবে আবাসিক হোটেলগুলোর কোন রুম খালি ছিলো না। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে ব্যাপক লোকের সমাগম হয়েছে। অন্যান্য বারের চেয়ে এ বছর মেলায় ব্যবসায়ীদের বেচা কেনা খুবই ভাল হয়েছে বলে তারা দাবি করেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাস মেলায় আগত পূণ্যার্থীদের নিরাপত্তা দিতে আনসার ভিডিপি, পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনীসহ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলে পর্যটন নগরী কুয়াকাটাকে। বিভিন্ন পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা ও চেক পোষ্ট এর মাধ্যমে পূন্যার্থীদের নজর রাখা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, সকল প্রস্তুতির পাশাপাশি রাস উৎসবে আগত সকল তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রশাসন প্রস্তত ছিলো। কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই এবারের রাসমেলা সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে।