ঢাকা ০৬:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ঋণ বাতিল করে জলবায়ু অর্থায়নের দাবিতে কলাপাড়ায় মানববন্ধন সাইকেল শোভাযাত্রা Logo ‎মির্জাগঞ্জে দাদীর সাথে অভিমানে স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা Logo তিন বছর ধরে ঝুঁলে আছে আয়রণ ব্রিজ, ভোগান্তি চরমে  Logo মৎস্যজীবী দল নেতাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিএনপির মহাসচিবের নিন্দা Logo বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে, উত্তাল সমুদ্রে মাতোয়ারা হাজারো পর্যটক Logo মির্জাগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় বাদী শ্রীঘরে Logo কুয়াকাটায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ, ছাত্রলীগ নেতার ভাইয়ের আঘাতে জেলের মৃত্যু Logo মির্জাগঞ্জে ইউসিবি ব্যাংক পিএলসি’র ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন Logo মহিপুরে পাওনা টাকার জেরে জেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ Logo স্বামীর মৃত্যুতে শিশু সন্তান ও বৃদ্ধা শ্বাশুরীকে নিয়ে অসহায় জীবন গীতা রানীর

আকাশে ভাসে মাছ পোড়া গন্ধ

ইব্রাহিম ওয়াহিদ
  • আপডেট সময় : ০২:৪২:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৬৭৫ বার পড়া হয়েছে

সাগরকন্যা কুয়াকাটার আকাশে মাছ পোড়া গন্ধ ভাসে সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত। ‌ পোড়া মাছের গন্ধ পর্যটকদের টেনে নিয়ে যায় বারবিকিউ জোনে। কুয়াকাটা আগত পর্যটকরা সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখে লাইন দিয়ে ছুটতে থাকেন সৈকতের পূর্ব দিকে বারবিকিউ স্পটে। কুয়াশার সাথে মিশে যাচ্ছে মাছের পোড়া গন্ধ ও আগুনের ধোঁয়া। গভীর রাত পর্যন্ত পর্যটকদের আনাগোনা মুখরিত থাকে স্পটটি। তীব্র শীতে সমুদ্রের ঢেউ যখন কাবু হয়ে পরে তখনও বারবিকিউ পয়েন্ট থেকে ভোজনরসিকরা মাছ খেয়ে ফিরছেন হোটেল কক্ষে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সৈকতের পূর্ব দিকে খোলা আকাশের নিচে দোকানীরা বিভিন্ন ধরনের বারবিকিউ খাবার তৈরি করছেন। আগত পর্যটকদের জন্য নতুন আকর্ষণ হয়ে উঠেছে এ বারবিকিউ জোনটি। সৈকতের বুকে সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হওয়া এ আয়োজন চলে গভীর রাত পর্যন্ত। পর্যটকদের ভ্রমণকে আরও আনন্দময় করে তুলছে পোড়া মাছের গন্ধ। কুয়াকাটা সৈকতে মাছ বারবিকিউর ঘ্রান আগত ভোজনরসিক পর্যটকদের আরো আকৃষ্ট করছে। কুয়াকাটার নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি বারবিকিউর স্বাদ নিতে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন দেশি-বিদেশি ভ্রমণ পিপাসুরা। বিভিন্ন প্রজাতির তাজা সামুদ্রিক মাছ ও মুরগি বারবিকিউ হচ্ছে। তবে চিংড়ি, টোনা ফিস, কোরাল, লইট্টা ও লবস্টার বারবিকিউয়ের প্রধান আকর্ষণ। তাজা উপকরণ আর বিশেষ মসলার সংমিশ্রণে তৈরি এসব খাবার পর্যটকদের মন জয় করছে। একপাশে বারবিকিউর অসাধারণ আয়োজন অন্য পাশে গানের আড্ডায় বা খোশগল্পে সময় পার করছেন আগত অতিথিরা।

খুলনা থেকে ঘুরতে আসা নিলয় ও নাদিয়া দম্পতি বলেন, ‘এখানকার এ আয়োজন সত্যিই চমৎকার। সমুদ্রের ঢেউ আর বাতাসের মাঝে বারবিকিউর স্বাদ নেওয়া এক অন্যরকম অনুভূতি। খোলা আকাশের নিচে এবং চোখের সামনে এভাবে বারবিকিউ করে খাওয়া আসলেই আনন্দের ব্যাপার’।

ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা কামাল হোসেন রবি বলেন, কুয়াকাটায় স্ব-পরিবারে ঘুরতে এসেছি। সারাদিন ঘুরে ফিরে সন্ধ্যায় আসলে করার কিছু থাকে না। তবে এখানে এসে সুন্দর একটি সময় কাটানো যাচ্ছে। চোখের সামনে তরতাজা মাছ ইচ্ছে মত দেখে অর্ডার করে খেতে পারছি। এই সময়টা আসলে আমাদের পুরো ট্যুরের স্বরণীয় হয়ে থাকবে।

হলিডে ফিস ফ্রাই স্বত্বাধিকারী সগির আহমেদ বলেন, বাজার থেকে সবচেয়ে তাজা এবং ভালো মাছগুলো আমরা ক্রয় করে নিয়ে আসি। যাতে করে পর্যটকদের ভালো একটি খাবার পরিবেশনা করতে পারি। মাছগুলো প্রতিদিন বিভিন্ন বাজার ঘুরে সংগ্রহ করতে হয়। তাই প্রতিদিনই পর্যটকদের তাজা মাছ খাওয়াতে পারি। শুধু তাই নয় আমাদের রয়েছে অভিজ্ঞ বারবিকিউ বাবুর্চি, মুখরোচক মশলা ও চুলোর কয়লায় পুরো কাজটা আমরা করে থাকি।

কুয়াকটা ফিস ফ্রাই মালিক সমিতির সভাপতি কাওছার রাঢ়ী বলেন, কুয়াকাটায় আমার হাত ধরেই এই বারবিকিউর যাত্রা শুরু হয়েছে। এখানে আগত পর্যটকদের সন্ধ্যার পরে বিনোদনের কোন কিছু থাকে না, তারা কিন্তু আমাদের বারবিকিউর এখানেই সময় কাটায়। কেউ যাতে পঁচা মাছ বিক্রি করতে না পারে সেজন্য সর্বদা আমাদের সমিতির মাধ্যমে তদারকি করা হয়।পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তিনি আরো জানান, কুয়াকাটার এই বারবিকিউ এখন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। যা পর্যটকদের জন্য নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আকাশে ভাসে মাছ পোড়া গন্ধ

আপডেট সময় : ০২:৪২:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

সাগরকন্যা কুয়াকাটার আকাশে মাছ পোড়া গন্ধ ভাসে সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত। ‌ পোড়া মাছের গন্ধ পর্যটকদের টেনে নিয়ে যায় বারবিকিউ জোনে। কুয়াকাটা আগত পর্যটকরা সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখে লাইন দিয়ে ছুটতে থাকেন সৈকতের পূর্ব দিকে বারবিকিউ স্পটে। কুয়াশার সাথে মিশে যাচ্ছে মাছের পোড়া গন্ধ ও আগুনের ধোঁয়া। গভীর রাত পর্যন্ত পর্যটকদের আনাগোনা মুখরিত থাকে স্পটটি। তীব্র শীতে সমুদ্রের ঢেউ যখন কাবু হয়ে পরে তখনও বারবিকিউ পয়েন্ট থেকে ভোজনরসিকরা মাছ খেয়ে ফিরছেন হোটেল কক্ষে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সৈকতের পূর্ব দিকে খোলা আকাশের নিচে দোকানীরা বিভিন্ন ধরনের বারবিকিউ খাবার তৈরি করছেন। আগত পর্যটকদের জন্য নতুন আকর্ষণ হয়ে উঠেছে এ বারবিকিউ জোনটি। সৈকতের বুকে সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হওয়া এ আয়োজন চলে গভীর রাত পর্যন্ত। পর্যটকদের ভ্রমণকে আরও আনন্দময় করে তুলছে পোড়া মাছের গন্ধ। কুয়াকাটা সৈকতে মাছ বারবিকিউর ঘ্রান আগত ভোজনরসিক পর্যটকদের আরো আকৃষ্ট করছে। কুয়াকাটার নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি বারবিকিউর স্বাদ নিতে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন দেশি-বিদেশি ভ্রমণ পিপাসুরা। বিভিন্ন প্রজাতির তাজা সামুদ্রিক মাছ ও মুরগি বারবিকিউ হচ্ছে। তবে চিংড়ি, টোনা ফিস, কোরাল, লইট্টা ও লবস্টার বারবিকিউয়ের প্রধান আকর্ষণ। তাজা উপকরণ আর বিশেষ মসলার সংমিশ্রণে তৈরি এসব খাবার পর্যটকদের মন জয় করছে। একপাশে বারবিকিউর অসাধারণ আয়োজন অন্য পাশে গানের আড্ডায় বা খোশগল্পে সময় পার করছেন আগত অতিথিরা।

খুলনা থেকে ঘুরতে আসা নিলয় ও নাদিয়া দম্পতি বলেন, ‘এখানকার এ আয়োজন সত্যিই চমৎকার। সমুদ্রের ঢেউ আর বাতাসের মাঝে বারবিকিউর স্বাদ নেওয়া এক অন্যরকম অনুভূতি। খোলা আকাশের নিচে এবং চোখের সামনে এভাবে বারবিকিউ করে খাওয়া আসলেই আনন্দের ব্যাপার’।

ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা কামাল হোসেন রবি বলেন, কুয়াকাটায় স্ব-পরিবারে ঘুরতে এসেছি। সারাদিন ঘুরে ফিরে সন্ধ্যায় আসলে করার কিছু থাকে না। তবে এখানে এসে সুন্দর একটি সময় কাটানো যাচ্ছে। চোখের সামনে তরতাজা মাছ ইচ্ছে মত দেখে অর্ডার করে খেতে পারছি। এই সময়টা আসলে আমাদের পুরো ট্যুরের স্বরণীয় হয়ে থাকবে।

হলিডে ফিস ফ্রাই স্বত্বাধিকারী সগির আহমেদ বলেন, বাজার থেকে সবচেয়ে তাজা এবং ভালো মাছগুলো আমরা ক্রয় করে নিয়ে আসি। যাতে করে পর্যটকদের ভালো একটি খাবার পরিবেশনা করতে পারি। মাছগুলো প্রতিদিন বিভিন্ন বাজার ঘুরে সংগ্রহ করতে হয়। তাই প্রতিদিনই পর্যটকদের তাজা মাছ খাওয়াতে পারি। শুধু তাই নয় আমাদের রয়েছে অভিজ্ঞ বারবিকিউ বাবুর্চি, মুখরোচক মশলা ও চুলোর কয়লায় পুরো কাজটা আমরা করে থাকি।

কুয়াকটা ফিস ফ্রাই মালিক সমিতির সভাপতি কাওছার রাঢ়ী বলেন, কুয়াকাটায় আমার হাত ধরেই এই বারবিকিউর যাত্রা শুরু হয়েছে। এখানে আগত পর্যটকদের সন্ধ্যার পরে বিনোদনের কোন কিছু থাকে না, তারা কিন্তু আমাদের বারবিকিউর এখানেই সময় কাটায়। কেউ যাতে পঁচা মাছ বিক্রি করতে না পারে সেজন্য সর্বদা আমাদের সমিতির মাধ্যমে তদারকি করা হয়।পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তিনি আরো জানান, কুয়াকাটার এই বারবিকিউ এখন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। যা পর্যটকদের জন্য নতুন মাত্রা যোগ করেছে।