খাল দখল মুক্ত করার দাবিতে কৃষকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

- আপডেট সময় : ০৩:৪৪:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ৪৪৭ বার পড়া হয়েছে
পটুয়াখালীর মহিপুর থানার ধুলাসার ও লতাচাপলী ইউনিয়নের ১৫ টি খাল দখল মুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন, সমাবেশ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে দুই ইউনিয়নের কৃষক ও কৃষাণীরা।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
‘আর দিবনা খালের বাঁধ, কৃষি করবো বারো মাস, খাল উম্মুক্ত করণের অঙ্গিকার করি এলাকার উন্নয়নে অংশ নিন, গ্রামবাসী সকলে হোক যুক্ত, খাল হোক সকলের জন্য উম্মুক্ত, যার যার বাঁধ দখল মুক্ত করি সহিংসতা মুক্ত সমাজ গড়ি’ এমন স্লোগান সম্মিলিত প্লেকার্ড নিয়ে মানববন্ধন অংশ নেয় ভুক্তভোগী কৃষকরা।
লতাচাপলী ও ধুলাসার ইউনিয়নের খালগুলোর মিষ্টি পানি ব্যবহারে সচেতনকরণ বাস্তবায়ন কমিটির আয়োজনে সিবিও গোলাপ ও সিঁড়ি’র সহযোগিতায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কৃষক মাওলানা হাবিবুর রহমান।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এনজিও সংস্থা সিড়ি’র নির্বাহী পরিচালক এডভোকেট চান চান সওদাগর, গোলাপ প্রতিবন্ধী সংগঠনের আব্দুর রহিম সহ কৃষক কৃষাণীরা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ধুলাসার ইউনিয়নের কাচারীখাল, দাসখালীখাল, খেসারীখাল, বাদাম খালী খাল, ধোরাখাল, হেতালবুনিয়া খাল, ভাংগা খাল, লতাচাপলী ইউনিয়নে সিক্রিখাল, লক্ষী খাল, পূর্ব দিয়ারআমখোলা খাল, থনজুপাড়া খাল, তুলাতলী খালসহ ১৫ টি দখল করে নিয়েছে প্রভাবশালীরা। এতে দুই ইউনিয়নের ৩০টি গ্রামের প্রায় ৪০০০ পরিবার কৃষিকাজসহ দৈনন্দিন কাজে মিঠা পানি ব্যবহার করতে পারছে না। এতে ১০০০ একরেরও বেশি জমি বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা এবং গ্রীষ্ম ও শীত মৌসুমে মিঠা পানির অভাবে চাষাবাদ করতে পারছে না কৃষকরা। যার ফলে কৃষকরা কৃষি কাজের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে।
তাই অবিলম্বে খাল দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থাসহ ধুলাসার ও লতাচাপলী ইউনিয়নের খালের সকল বাঁধ কেটে খালের মিষ্টি পানির প্রবাহ সচলের দাবি জানান তারা।
সভা শেষে কৃষকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন কৃষকরা।