ঢাকা ০৯:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ঘন ঘন বৈরী আবহাওয়ায় হুমকিতে মৎস্য পেশা Logo ঋণ বাতিল করে জলবায়ু অর্থায়নের দাবিতে কলাপাড়ায় মানববন্ধন সাইকেল শোভাযাত্রা Logo ‎মির্জাগঞ্জে দাদীর সাথে অভিমানে স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা Logo তিন বছর ধরে ঝুঁলে আছে আয়রণ ব্রিজ, ভোগান্তি চরমে  Logo মৎস্যজীবী দল নেতাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিএনপির মহাসচিবের নিন্দা Logo বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে, উত্তাল সমুদ্রে মাতোয়ারা হাজারো পর্যটক Logo মির্জাগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় বাদী শ্রীঘরে Logo কুয়াকাটায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ, ছাত্রলীগ নেতার ভাইয়ের আঘাতে জেলের মৃত্যু Logo মির্জাগঞ্জে ইউসিবি ব্যাংক পিএলসি’র ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন Logo মহিপুরে পাওনা টাকার জেরে জেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
শোকজ করেই দায় সেরেছেন কর্মকর্তারা

শোকজের পরেও থামছে না বিদ্যালয়ের অনিয়ম

মহিপুর প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৬:২৮:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৭৪ বার পড়া হয়েছে

পটুয়াখালীর মহিপুর থানার চর ধুলাসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘শিক্ষার নামে চলছে তামাশা। কাগজে কলমে ১১৭ শিক্ষার্থী থাকলেও উপস্থিতি ১০-১১ জন’ এমন শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পরেও থামছে না অনিয়ম। দায়সারা শোকজ করেই নিশ্চুপ শিক্ষা অফিসের কর্তা ব্যক্তিরা।

নিউজের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য বিদ্যালয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করেন কলাপাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অচ্যুতানন্দ দাস। শিক্ষা অফিস সত্যতা পেয়ে ৩ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জবাব দিতে বলা হয়। লিখিত জবাব জমা দিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আল-আমিন বিশ্বাস। শিক্ষা কর্মকর্তাদের টেবিলে টেবিলে ঘুরছে সেই শোকজের জবাব। প্রধান শিক্ষক কর্তা ব্যক্তিদের আস্থা অর্জনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। যার ফলে নিয়মে ফেরেনি পাঠদান কার্যক্রম। বিদ্যালয়টিতে যেন অনিয়মই নিয়মে পরিণত হয়েছে।

প্রধান শিক্ষক আল-আমিন বিশ্বাস

এ বিষয়ে সংবাদকর্মীরা ফের গত সোমবার (১১ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় সরেজমিনে গিয়ে পূর্বের পুনরাবৃত্তি দেখতে পান। এসময় দেখা যায় ৫ জন শিক্ষকের পরিবর্তে উপস্থিত রয়েছেন মাত্র ২ জন। এর প্রায় আধাঘণ্টা পর আসেন সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন। কারণ জানতে চাইলে স্কুলের কাজে প্রধান শিক্ষকের বাসায় গিয়েছিলেন বলে জানান। এসময় তার ছেলে মিশকাত বিদ্যালয় হাজির হয়ে তার বাবাকে কেউ কিছু করতে পারবে না বলে দাম্ভিকতা দেখান।

জানা গেছে, বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার নামে দীর্ঘদিন তামাশা চলে আসছে। প্রধান শিক্ষক আল-আমিন বিশ্বাস, সহকারী শিক্ষিকা আকলিমা ও সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন একই বিদ্যালয় দীর্ঘ বছর কর্মরত রয়েছেন। এছাড়াও সহকারী শিক্ষিকা মোসাঃ সাওদা ও মোসাঃ তানিয়া নিয়মিত ক্লাস না করার অভিযোগ রয়েছে। প্রতি শিক্ষাবর্ষে ৫-১০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে চলছে বিদ্যালয়টির পাঠদান কার্যক্রম।

স্থানীয়রা বলেন, বিদ্যালয়টির শিক্ষকদের অশোভন আচরণ, অনুপস্থিতি, অব্যবস্থাপনার কারণে এমন পরিস্থিতি। ম্যানেজিং কমিটি কাগজ-কলমেইবসীমাবদ্ধ, মনগড়া ও নিজেদের খেয়ালখুশিমত চালাচ্ছেন বিদ্যালয়।

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অচুত্যানন্দ দাশ বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের শোকজের জবাব আমরা জেলায় পাঠিয়েছি। বিদ্যালয়ের অন্য কোনো শিক্ষক অনিয়ম করলে তাকেও শোকজ করে কৈফিয়ত তলব করা হবে।’

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ বখতিয়ার বলেন, ‘শোকজের জবাব পেয়েছি। সেটি পর্যালোচনার জন্য বরিশালে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

শোকজ করেই দায় সেরেছেন কর্মকর্তারা

শোকজের পরেও থামছে না বিদ্যালয়ের অনিয়ম

আপডেট সময় : ০৬:২৮:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

পটুয়াখালীর মহিপুর থানার চর ধুলাসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘শিক্ষার নামে চলছে তামাশা। কাগজে কলমে ১১৭ শিক্ষার্থী থাকলেও উপস্থিতি ১০-১১ জন’ এমন শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পরেও থামছে না অনিয়ম। দায়সারা শোকজ করেই নিশ্চুপ শিক্ষা অফিসের কর্তা ব্যক্তিরা।

নিউজের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য বিদ্যালয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করেন কলাপাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অচ্যুতানন্দ দাস। শিক্ষা অফিস সত্যতা পেয়ে ৩ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জবাব দিতে বলা হয়। লিখিত জবাব জমা দিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আল-আমিন বিশ্বাস। শিক্ষা কর্মকর্তাদের টেবিলে টেবিলে ঘুরছে সেই শোকজের জবাব। প্রধান শিক্ষক কর্তা ব্যক্তিদের আস্থা অর্জনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। যার ফলে নিয়মে ফেরেনি পাঠদান কার্যক্রম। বিদ্যালয়টিতে যেন অনিয়মই নিয়মে পরিণত হয়েছে।

প্রধান শিক্ষক আল-আমিন বিশ্বাস

এ বিষয়ে সংবাদকর্মীরা ফের গত সোমবার (১১ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় সরেজমিনে গিয়ে পূর্বের পুনরাবৃত্তি দেখতে পান। এসময় দেখা যায় ৫ জন শিক্ষকের পরিবর্তে উপস্থিত রয়েছেন মাত্র ২ জন। এর প্রায় আধাঘণ্টা পর আসেন সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন। কারণ জানতে চাইলে স্কুলের কাজে প্রধান শিক্ষকের বাসায় গিয়েছিলেন বলে জানান। এসময় তার ছেলে মিশকাত বিদ্যালয় হাজির হয়ে তার বাবাকে কেউ কিছু করতে পারবে না বলে দাম্ভিকতা দেখান।

জানা গেছে, বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার নামে দীর্ঘদিন তামাশা চলে আসছে। প্রধান শিক্ষক আল-আমিন বিশ্বাস, সহকারী শিক্ষিকা আকলিমা ও সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন একই বিদ্যালয় দীর্ঘ বছর কর্মরত রয়েছেন। এছাড়াও সহকারী শিক্ষিকা মোসাঃ সাওদা ও মোসাঃ তানিয়া নিয়মিত ক্লাস না করার অভিযোগ রয়েছে। প্রতি শিক্ষাবর্ষে ৫-১০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে চলছে বিদ্যালয়টির পাঠদান কার্যক্রম।

স্থানীয়রা বলেন, বিদ্যালয়টির শিক্ষকদের অশোভন আচরণ, অনুপস্থিতি, অব্যবস্থাপনার কারণে এমন পরিস্থিতি। ম্যানেজিং কমিটি কাগজ-কলমেইবসীমাবদ্ধ, মনগড়া ও নিজেদের খেয়ালখুশিমত চালাচ্ছেন বিদ্যালয়।

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অচুত্যানন্দ দাশ বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের শোকজের জবাব আমরা জেলায় পাঠিয়েছি। বিদ্যালয়ের অন্য কোনো শিক্ষক অনিয়ম করলে তাকেও শোকজ করে কৈফিয়ত তলব করা হবে।’

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ বখতিয়ার বলেন, ‘শোকজের জবাব পেয়েছি। সেটি পর্যালোচনার জন্য বরিশালে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’