কলাপাড়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিক শিক্ষার্থীর বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান, আত্মহত্যার হুমকি

- আপডেট সময় : ০৫:৩৯:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
- / ৩৮৭ বার পড়া হয়েছে
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ধানখালীর লোন্দা গ্রামে শিক্ষার্থী তারেক মৃধার সঙ্গে বিয়ের দাবিতে ওই বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়েছে প্রেমিকা শিক্ষার্থী সারামনি জান্নাতি। মঙ্গলবার সকাল দশটার দিকে সারামনি অবস্থান নেয়। এ সময় তাকে সরাতে তারেকের স্বজনরা সারামনিকে টানাহেঁচড়া করে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সারামনির বাড়ি কলাপাড়া পৌরসভার চিঙ্গুরি এলাকায়।
সারামনির দাবি, এক বছর আগে কলাপাড়া শহরে বৈশাখী মেলায় তাদের পরিচয়। এরপর নানা কৌশলে তারেক তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। পরে বিয়ের প্রতিশ্রæতি দিয়ে তারা বরিশালে এবং কুয়াকাটায় স্বামী স্ত্রী হিসেবে বিভিন্ন অবস্থান করেন।
সবশেষে ৩১ মে বরিশালে গিয়ে তারা একত্রে অবস্থান করে বলে সারামনির দাবি। এরপর সারামনি তাকে বিয়ের জন্য তারেককে চাপ প্রযোগ করেন। কিন্তু গত ৪-৫ দিন ধরে তারেক তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। বাধ্য হয়ে মঙ্গলবার সকালে ওই বাড়িতে অবস্থান নেয় সারামনি। তাকে বিয়ে না করলে আত্মহননের হুমকি দেওয়া হয়েছে। সারামনির দাবি টোটাল বিষয় তারেকের বাবা মা আগেই জানতেন।
সারামনি আরও জানান, এনিয়ে আগে কলাপাড়া পৌরশহরে বিএনপির এক নেতার বাসায় সালিশ বৈঠক পর্যন্ত হয়েছে। কিন্তু কোন সমাধান হয়নি। আগেও বিয়ের দাবি নিয়ে ওই বাড়িতে গেলে বুঝিয়ে পাঠানো হয় এরপর সালিশ বৈঠক বসে।
সারামনি এইচএসসি পাশ করেছেন, অনার্সে ভর্তির চেষ্টা করছেন বলে জানান। আর তারেক বরিশাল থেকে ইঞ্জিনিয়ারিংএ ডিপ্লোমা করেছেন বলে সারামনির দাবি। এব্যাপারে তারেকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে তার বাবা ফারুক মৃধা দাবি করেন, ‘ওই মেয়ের সকল ধরনের কথা ও দাবি মিথ্যা। তার ছেলের আগেই অন্যত্র বিয়ে হয়েছে।’ ওই পরিবারের অন্য একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ওই মেয়ের আগেই অন্যত্র বিয়ে হয়েছিল। সেখানে ডিভোর্স হয়ে গেছে। ওই কথা গোপন করে তারেকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করে । তবে সারামনির দাবি তার আগে বিয়ে হয়নি। শুধু আংটি পরানো হয়েছিল। এসব জেনেই তারেক তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে। তার সর্বনাশ করে এখন সটকে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
কলাপাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ জুয়েল ইসলাম জানান, তিনি ঘটনাস্থলে পুলিশ কর্মকর্তা পাঠিয়েছেন। প্রয়োজনীয় আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।