ঢাকা ০৭:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ঘন ঘন বৈরী আবহাওয়ায় হুমকিতে মৎস্য পেশা Logo ঋণ বাতিল করে জলবায়ু অর্থায়নের দাবিতে কলাপাড়ায় মানববন্ধন সাইকেল শোভাযাত্রা Logo ‎মির্জাগঞ্জে দাদীর সাথে অভিমানে স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা Logo তিন বছর ধরে ঝুঁলে আছে আয়রণ ব্রিজ, ভোগান্তি চরমে  Logo মৎস্যজীবী দল নেতাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিএনপির মহাসচিবের নিন্দা Logo বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে, উত্তাল সমুদ্রে মাতোয়ারা হাজারো পর্যটক Logo মির্জাগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় বাদী শ্রীঘরে Logo কুয়াকাটায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ, ছাত্রলীগ নেতার ভাইয়ের আঘাতে জেলের মৃত্যু Logo মির্জাগঞ্জে ইউসিবি ব্যাংক পিএলসি’র ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন Logo মহিপুরে পাওনা টাকার জেরে জেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

মির্জাগঞ্জে সড়কে বড় বড় গর্ত, চলাচলে ভোগান্তি

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৫:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
  • / ৩৩৮ বার পড়া হয়েছে

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলায় বরগুনা-চান্দখালী-সুবিদখালী-কাঠালতলী-বরিশাল মহাসড়কের প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়কে বড় বড় গর্ত ও বৃষ্টির জমে থাকা পানিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ ও যানবাহন চলাচলকারী যাত্রীরা।

উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে শুরু করে কলেজ তিনরাস্তা পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন অংশে কার্পেটিং উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে গভীর গর্তের। ঈদের আগ মুহূর্তে সাময়িকভাবে নি¤œমানের কার্পেটিং করা হলেও একটানা বৃষ্টিপাতে তা উঠে গিয়ে পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় এক রিকশাচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ‘কলেজ রোডের দিকে যেতে হলে দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এতে যাত্রীদের যেমন কষ্ট হয়, তেমনি বাড়তি ভাড়াও গুনতে হয়। যদি এখান দিয়ে একটি ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হতো, তাহলে এ দুর্ভোগ অনেকটাই কমে যেত।’

বর্ষার সময় এই গর্তগুলোতে পানি জমে থাকায় অনেক সময় বোঝাই যায় না গর্ত কোথায়, ফলে প্রায়শই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে কলেজ তিনরাস্তা এলাকায় পথচারীদের চলাফেরা কঠিন হয়ে পড়ে দুর্গন্ধযুক্ত পানির কারণে।

প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে অর্ধশতাধিক ঢাকা ও বরগুনাগামী যাত্রীবাহী বাসসহ অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে। ফলে এসব গর্ত ও জলাবদ্ধতা জনদুর্ভোগের পাশাপাশি বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বাড়িয়ে দিয়েছে।

এ বিষয়ে মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঈদের আগে সড়ক মেরামতের কাজ শুরু হয়েছিল, কিন্তু টানা বৃষ্টির কারণে তা শেষ করা সম্ভব হয়নি। আমি ইতোমধ্যে সড়ক বিভাগের সঙ্গে কথা বলেছি। অল্প সময়ের মধ্যেই সড়কের গর্তগুলো ইটের খোয়া দিয়ে ভরাটের ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যাতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা কমে।’

স্থানীয়দের অভিযোগ, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বর্ষা মৌসুমজুড়েই জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছাবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তারা দ্রুত সড়ক সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

মির্জাগঞ্জে সড়কে বড় বড় গর্ত, চলাচলে ভোগান্তি

আপডেট সময় : ০৫:৩৫:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলায় বরগুনা-চান্দখালী-সুবিদখালী-কাঠালতলী-বরিশাল মহাসড়কের প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়কে বড় বড় গর্ত ও বৃষ্টির জমে থাকা পানিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ ও যানবাহন চলাচলকারী যাত্রীরা।

উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে শুরু করে কলেজ তিনরাস্তা পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন অংশে কার্পেটিং উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে গভীর গর্তের। ঈদের আগ মুহূর্তে সাময়িকভাবে নি¤œমানের কার্পেটিং করা হলেও একটানা বৃষ্টিপাতে তা উঠে গিয়ে পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় এক রিকশাচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ‘কলেজ রোডের দিকে যেতে হলে দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এতে যাত্রীদের যেমন কষ্ট হয়, তেমনি বাড়তি ভাড়াও গুনতে হয়। যদি এখান দিয়ে একটি ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হতো, তাহলে এ দুর্ভোগ অনেকটাই কমে যেত।’

বর্ষার সময় এই গর্তগুলোতে পানি জমে থাকায় অনেক সময় বোঝাই যায় না গর্ত কোথায়, ফলে প্রায়শই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে কলেজ তিনরাস্তা এলাকায় পথচারীদের চলাফেরা কঠিন হয়ে পড়ে দুর্গন্ধযুক্ত পানির কারণে।

প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে অর্ধশতাধিক ঢাকা ও বরগুনাগামী যাত্রীবাহী বাসসহ অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে। ফলে এসব গর্ত ও জলাবদ্ধতা জনদুর্ভোগের পাশাপাশি বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বাড়িয়ে দিয়েছে।

এ বিষয়ে মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঈদের আগে সড়ক মেরামতের কাজ শুরু হয়েছিল, কিন্তু টানা বৃষ্টির কারণে তা শেষ করা সম্ভব হয়নি। আমি ইতোমধ্যে সড়ক বিভাগের সঙ্গে কথা বলেছি। অল্প সময়ের মধ্যেই সড়কের গর্তগুলো ইটের খোয়া দিয়ে ভরাটের ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যাতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা কমে।’

স্থানীয়দের অভিযোগ, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বর্ষা মৌসুমজুড়েই জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছাবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তারা দ্রুত সড়ক সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।