ঢাকা ০৭:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ঘন ঘন বৈরী আবহাওয়ায় হুমকিতে মৎস্য পেশা Logo ঋণ বাতিল করে জলবায়ু অর্থায়নের দাবিতে কলাপাড়ায় মানববন্ধন সাইকেল শোভাযাত্রা Logo ‎মির্জাগঞ্জে দাদীর সাথে অভিমানে স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা Logo তিন বছর ধরে ঝুঁলে আছে আয়রণ ব্রিজ, ভোগান্তি চরমে  Logo মৎস্যজীবী দল নেতাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিএনপির মহাসচিবের নিন্দা Logo বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে, উত্তাল সমুদ্রে মাতোয়ারা হাজারো পর্যটক Logo মির্জাগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় বাদী শ্রীঘরে Logo কুয়াকাটায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ, ছাত্রলীগ নেতার ভাইয়ের আঘাতে জেলের মৃত্যু Logo মির্জাগঞ্জে ইউসিবি ব্যাংক পিএলসি’র ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন Logo মহিপুরে পাওনা টাকার জেরে জেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

সৈকতে ফটোগ্রাফারদের স্টুডিও বন্ধে ইউএনও কে সাধুবাদ

কলাপাড়া প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০২:৫৩:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫
  • / ৪২০ বার পড়া হয়েছে

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতে পেশাদার ফটোগ্রাফারদের বিরুদ্ধে পর্যটক হয়রানি ও বিভিন্ন অভিযোগের কারণে সৈকতের স্টুডিও বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব মোঃ রবিউল ইসলাম।

শনিবার (১লা জুন) বিকেলে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অফিসিয়াল ফেইজবুক ” ইউএনও কলাপাড়া পটুয়াখালী” আইডিতে স্ট্যাটাস দেন ”কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির ইতোপূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কুয়াকাটায় পর্যটকদের ছবি ট্রান্সফারের স্টুডিওসমূহ বন্ধ করে দেয়ার উদ্যেগ নেয়া হয়েছে। ফটোগ্রাফারগণ ছবি তোলার পর পর্যটকদের ক্যাবল, ওটিজি, মেমরি ইত্যাদি মাধ্যমে ব্যবহার করে সরাসরি ছবি ট্রান্সফার করবেন। এর মাধ্যমে স্টুডিও মালিকদের কমিশন ব্যবসা ও পর্যটক হয়রানি বন্ধ হবে। উল্লেখ্য, দেশের অন্যান্য পর্যটন স্পটসমূহে পর্যটকদের সরাসরি ছবি প্রদান করা হয়।”

অনেক নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে এদের মধ্যে আমার দেশ পত্রিকার কুয়াকাটা প্রতিনিধি মাইনুদ্দিন আল আতিক লিখেছেন, বীজ ম্যানেজমেন্ট কমিটির এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।

আজকের পত্রিকার পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি তাসকিন মীর মহিবুল্লাহ লিখেছেন, সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। সারা জীবন ধর্মঘট করলেও ওদের দেওয়া ঠিক হবে না। বাংলাদেশের কোন পর্যটন স্পটে নাই যে স্টুডিওতে গিয়ে ছবি আনতে হবে। কুয়াকাটাই স্টুডিও সমিতি নামের সিন্ডিকেট তৈরি করে এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিরা কমিটি করে লভ্যাংশ নেয়।

সুমন রেজা নামে একজন লিখেছেন, অসংখ্য ধন্যবাদ , ফটোগ্রাফার অনেক হয়রানি করে। কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বুলেট আকন লিখেছেন, এদের তেলেজমাতিতে পর্যটক চরম ভোগান্তির শিকার।

সাংবাদিক শরিফুল শাহীন লিখেছেন, কুয়াকাটার ফটো শিকারীদের কারণে পর্যটকরা সব সময় হয়রানির শিকার হয়। পর্যটক সৈকতে বেড়ানোর জন্য নামলেই ফটোশিকারিরা পিছু ছাড়েনা। এদের উৎপাতে সৈকতে দাঁড়ানো পর্যন্ত যায়না।

মেহেদি হাসান রাতুল নামের একজন লিখেছেন, ধন্যবাদ স্যার, প্রশংসনীয় উদ্যোগ। আশাকরি এই উদ্যোগ এর যথাযথ কার্যকর এর মাধ্যমে পর্যটকদের হয়রানি বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

কামরুল ইসলাম শাওন লিখেছেন, সুন্দর হবে, তারা পর্যটকদের সাথে খারাপ আচরণ করে এবং স্থানীয় একটা ভাব নেয়। একটা ছবির কথা বলে অনেকগুলো ছবি তোলে এবং সেগুলো নিতে বাধ্য করে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সিদ্ধান্তকে প্রধান্য দেয়া হবে। ষ্টুডিও বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তবে ফটোগ্রাফারদের ছবি তোলার পর পর্যটকদের ক্যাবল, ওটিজি ও মেমরি ইত্যাদির মাধ্যমে সরাসরি ছবি ট্রান্সফার করতে হবে। এর মাধ্যমে স্টুডিও মালিকদের কমিশন ব্যবসা ও পর্যটন হয়রানি বন্ধ হবে বলে তিনি জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

সৈকতে ফটোগ্রাফারদের স্টুডিও বন্ধে ইউএনও কে সাধুবাদ

আপডেট সময় : ০২:৫৩:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতে পেশাদার ফটোগ্রাফারদের বিরুদ্ধে পর্যটক হয়রানি ও বিভিন্ন অভিযোগের কারণে সৈকতের স্টুডিও বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব মোঃ রবিউল ইসলাম।

শনিবার (১লা জুন) বিকেলে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অফিসিয়াল ফেইজবুক ” ইউএনও কলাপাড়া পটুয়াখালী” আইডিতে স্ট্যাটাস দেন ”কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির ইতোপূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কুয়াকাটায় পর্যটকদের ছবি ট্রান্সফারের স্টুডিওসমূহ বন্ধ করে দেয়ার উদ্যেগ নেয়া হয়েছে। ফটোগ্রাফারগণ ছবি তোলার পর পর্যটকদের ক্যাবল, ওটিজি, মেমরি ইত্যাদি মাধ্যমে ব্যবহার করে সরাসরি ছবি ট্রান্সফার করবেন। এর মাধ্যমে স্টুডিও মালিকদের কমিশন ব্যবসা ও পর্যটক হয়রানি বন্ধ হবে। উল্লেখ্য, দেশের অন্যান্য পর্যটন স্পটসমূহে পর্যটকদের সরাসরি ছবি প্রদান করা হয়।”

অনেক নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে এদের মধ্যে আমার দেশ পত্রিকার কুয়াকাটা প্রতিনিধি মাইনুদ্দিন আল আতিক লিখেছেন, বীজ ম্যানেজমেন্ট কমিটির এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।

আজকের পত্রিকার পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি তাসকিন মীর মহিবুল্লাহ লিখেছেন, সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। সারা জীবন ধর্মঘট করলেও ওদের দেওয়া ঠিক হবে না। বাংলাদেশের কোন পর্যটন স্পটে নাই যে স্টুডিওতে গিয়ে ছবি আনতে হবে। কুয়াকাটাই স্টুডিও সমিতি নামের সিন্ডিকেট তৈরি করে এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিরা কমিটি করে লভ্যাংশ নেয়।

সুমন রেজা নামে একজন লিখেছেন, অসংখ্য ধন্যবাদ , ফটোগ্রাফার অনেক হয়রানি করে। কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বুলেট আকন লিখেছেন, এদের তেলেজমাতিতে পর্যটক চরম ভোগান্তির শিকার।

সাংবাদিক শরিফুল শাহীন লিখেছেন, কুয়াকাটার ফটো শিকারীদের কারণে পর্যটকরা সব সময় হয়রানির শিকার হয়। পর্যটক সৈকতে বেড়ানোর জন্য নামলেই ফটোশিকারিরা পিছু ছাড়েনা। এদের উৎপাতে সৈকতে দাঁড়ানো পর্যন্ত যায়না।

মেহেদি হাসান রাতুল নামের একজন লিখেছেন, ধন্যবাদ স্যার, প্রশংসনীয় উদ্যোগ। আশাকরি এই উদ্যোগ এর যথাযথ কার্যকর এর মাধ্যমে পর্যটকদের হয়রানি বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

কামরুল ইসলাম শাওন লিখেছেন, সুন্দর হবে, তারা পর্যটকদের সাথে খারাপ আচরণ করে এবং স্থানীয় একটা ভাব নেয়। একটা ছবির কথা বলে অনেকগুলো ছবি তোলে এবং সেগুলো নিতে বাধ্য করে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সিদ্ধান্তকে প্রধান্য দেয়া হবে। ষ্টুডিও বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তবে ফটোগ্রাফারদের ছবি তোলার পর পর্যটকদের ক্যাবল, ওটিজি ও মেমরি ইত্যাদির মাধ্যমে সরাসরি ছবি ট্রান্সফার করতে হবে। এর মাধ্যমে স্টুডিও মালিকদের কমিশন ব্যবসা ও পর্যটন হয়রানি বন্ধ হবে বলে তিনি জানান।