সৈকতে নামার আগেই জিরো পয়েন্ট এলাকায় আসলেই চোঁখ আটকে যায় দেশীয় ফলের সমারোহে। ছোটো ছোটো ডালায় স্থানীয় মৌসুমী ফলের পসরা সাঁজিয়ে বসেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এসব মৌসুমী ফল কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরা ক্রয় করে হোটেল কিংবা সৈকতের বেঞ্চিতে বসে স্বাদ নিচ্ছেন। কেউ কেউ ক্রয় করে প্রিয়জন বা পরিবারের জন্য নিচ্ছেন ব্যাগ ভর্তি করে।
আজ সোমবার (২৬ মে) শেষ বিকেলে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট এলাকার রাস্তার দু’পাশে ডালায় দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির ফলের মেলা বসিয়েছেন স্হানীয়রা। নানান জাতের আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, পেঁপেসহ দেশীয় এসব ফলে আকৃষ্ট হচ্ছে পর্যটকরা।
স্থানীয় ব্যবসায়ী হানিফ হাওলাদার বলেন, ‘আমার নিজস্ব বাগান থেকে প্রতিদিন আম তুলে এখানে এনে বিক্রি করি। ফরমালিন মুক্ত এ আম অনেক সুস্বাদু। হিমসাগর, লেংড়া, হাঁডিভাঙ্গা, কিউজি ব্যানানাসহ বিভিন্ন প্রজাতির আম রয়েছে আমার বাগানে। নিজের বাগানের আম হওয়ায় কম দামে বিক্রি করছি।
অপর এক বিক্রেতা শানু মুসুল্লি বলেন, আমসহ বিভিন্ন দেশীয় ফলের বাগান রয়েছে আমার। বাগান থেকে এসব ফল তুলে প্রতিদিন কুয়াকাটা চৌরাস্তার পাশে বসে বিক্রি করি। আমের পাশাপাশি, কাঁঠাল, ঢেউয়া, আনারস, পেঁপেসহ অনেক রকম ফল এখানে বিক্রি করি। স্থানীয় মানুষ ও পর্যটকরা কিনে নিয়ে যায়। এসব ফল ফরমালিনমুক্ত হওয়ায় স্থানীয়রা সহ পর্যটকরা বেশি কিনে নিচ্ছেন।
খুলনা থেকে আসা পর্যটক নিলয় জাহান বলেন, গতকাল কুয়াকাটা ভ্রমণে এসেছি। জিরো পয়েন্ট এলাকায় দেশীয় ফল দেখে খাওয়ার জন্য কিছু কিনেছিলাম। অনেক সুস্বাদু হওয়ায় আজ পরিবারের জন্য ১০ কেজি নিয়ে যাচ্ছি। আমগুলো স্বাদে গন্ধে অসাধারণ।
এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আরাফাত হোসাইন বলেন, আমাদের দেশীয় ফল সবসময় ফরমালিন মুক্ত থাকে। লতাচাপলী ইউনিয়ন এবং কুয়াকাটা পৌরসভায় আমের বিভিন্ন বাগান রয়েছে। আমরা কৃষি বিভাগ সবসময় তাদের পরামর্শ ও সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আমরা আশাবাদী পরর্বতীতে বাগানের পরিমান আরও বাড়বে এসব ফরমালিন মুক্ত আমে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরা আরও মুগ্ধ হবেন। নিজেরাও খাবেন এবং পরিবার পরিজনের জন্য নিয়ে যাবেন। এটা একটা সবুজ সম্ভাবণার হাতছানি বলে আমি মনে করি।