ঢাকা ১০:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ঘন ঘন বৈরী আবহাওয়ায় হুমকিতে মৎস্য পেশা Logo ঋণ বাতিল করে জলবায়ু অর্থায়নের দাবিতে কলাপাড়ায় মানববন্ধন সাইকেল শোভাযাত্রা Logo ‎মির্জাগঞ্জে দাদীর সাথে অভিমানে স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা Logo তিন বছর ধরে ঝুঁলে আছে আয়রণ ব্রিজ, ভোগান্তি চরমে  Logo মৎস্যজীবী দল নেতাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিএনপির মহাসচিবের নিন্দা Logo বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে, উত্তাল সমুদ্রে মাতোয়ারা হাজারো পর্যটক Logo মির্জাগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় বাদী শ্রীঘরে Logo কুয়াকাটায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ, ছাত্রলীগ নেতার ভাইয়ের আঘাতে জেলের মৃত্যু Logo মির্জাগঞ্জে ইউসিবি ব্যাংক পিএলসি’র ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন Logo মহিপুরে পাওনা টাকার জেরে জেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

মির্জাগঞ্জে ভিজিডির চাল বিতরণে টাকা আদায়ের অভিযোগ, সচিবকে ঘেরাও

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১১:৩৫:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
  • / ৪৭৪ বার পড়া হয়েছে

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে ভিজিডি কর্মসূচির চাল বিতরণে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ উপকারভোগীরা সচিবকে ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন।

 

জানা গেছে, সোমবার (২৬ মে) সকাল থেকে মাধবখালী ইউনিয়নের ৩২৬ জন উপকারভোগীর মধ্যে ৫ মাসের ভিজিডি’র চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় প্রতি উপকারভোগীর কাছ থেকে চৌকিদার ও দফাদারের মাধ্যমে ৫০০ টাকা করে আদায় করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

ঘটনার সূত্রপাত হয়, জেসমিন বেগম নামে এক নারী টাকা পরিশোধ করেও চাল না পাওয়ায় তিনি প্রতিবাদ করেন। এ সময় উপস্থিত লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং বিক্ষোভ শুরু করে। তারা জানায়, সরকার বিনামূল্যে ভিজিডি চাল দেয়, অথচ তাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। টাকা ফেরত ও অভিযুক্ত সচিবের বিচার দাবিতে তারা উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং শেষমেশ সচিব হুমায়ুন কবিরকে ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে আটকে রাখে।

 

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, “আমাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চৌকিদার ও দফাদার চাল দেওয়ার কথা বলে ৫০০ টাকা করে নিয়েছে। টাকা না দিলে চাল দেওয়া হবে না বলায় আমরা বাধ্য হয়ে টাকা দিয়েছি।”

 

মাধবখালী ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার শফিকুল ইসলাম সোহাগ বলেন, “সচিব আমাদের টাকা তুলতে বলেছেন। তার নির্দেশেই টাকা আদায় করা হয়েছে।”

 

অভিযুক্ত ইউপি সচিব মোঃ হুমায়ুন কবির জানান, “আমি নিজে টাকা আদায় করিনি। প্রশাসক, ইউপি সদস্য, চৌকিদার ও দফাদারদের সাথে মিটিং করে সিদ্ধান্ত হয়েছিল উপকারভোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হবে। আমি এককভাবে কিছু করিনি।”

 

এ বিষয়ে মাধবখালী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “আমি অভিযোগ ও ভিডিও পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

মির্জাগঞ্জে ভিজিডির চাল বিতরণে টাকা আদায়ের অভিযোগ, সচিবকে ঘেরাও

আপডেট সময় : ১১:৩৫:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে ভিজিডি কর্মসূচির চাল বিতরণে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ উপকারভোগীরা সচিবকে ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন।

 

জানা গেছে, সোমবার (২৬ মে) সকাল থেকে মাধবখালী ইউনিয়নের ৩২৬ জন উপকারভোগীর মধ্যে ৫ মাসের ভিজিডি’র চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় প্রতি উপকারভোগীর কাছ থেকে চৌকিদার ও দফাদারের মাধ্যমে ৫০০ টাকা করে আদায় করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

ঘটনার সূত্রপাত হয়, জেসমিন বেগম নামে এক নারী টাকা পরিশোধ করেও চাল না পাওয়ায় তিনি প্রতিবাদ করেন। এ সময় উপস্থিত লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং বিক্ষোভ শুরু করে। তারা জানায়, সরকার বিনামূল্যে ভিজিডি চাল দেয়, অথচ তাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। টাকা ফেরত ও অভিযুক্ত সচিবের বিচার দাবিতে তারা উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং শেষমেশ সচিব হুমায়ুন কবিরকে ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে আটকে রাখে।

 

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, “আমাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চৌকিদার ও দফাদার চাল দেওয়ার কথা বলে ৫০০ টাকা করে নিয়েছে। টাকা না দিলে চাল দেওয়া হবে না বলায় আমরা বাধ্য হয়ে টাকা দিয়েছি।”

 

মাধবখালী ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার শফিকুল ইসলাম সোহাগ বলেন, “সচিব আমাদের টাকা তুলতে বলেছেন। তার নির্দেশেই টাকা আদায় করা হয়েছে।”

 

অভিযুক্ত ইউপি সচিব মোঃ হুমায়ুন কবির জানান, “আমি নিজে টাকা আদায় করিনি। প্রশাসক, ইউপি সদস্য, চৌকিদার ও দফাদারদের সাথে মিটিং করে সিদ্ধান্ত হয়েছিল উপকারভোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হবে। আমি এককভাবে কিছু করিনি।”

 

এ বিষয়ে মাধবখালী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “আমি অভিযোগ ও ভিডিও পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”