মহিপুরে বিদ্যালয়ের মাঠে গরুর হাট, ক্ষোভে ফুঁসছে শিক্ষার্থীরা

- আপডেট সময় : ০২:১৪:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
- / ৪৬৮ বার পড়া হয়েছে
পটুয়াখালীর মহিপুর থানার ধূলাসার ইউনিয়নের চরচাপলী ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে বসানো হয়েছে গরুর হাট। এতে গরু-মহিষের পায়ে মাঠের ঘাস নষ্ট হচ্ছে এবং খানাখন্দে জমে থাকা বৃষ্টির পানি খেলার পরিবেশ ধ্বংস করে দিচ্ছে। বিষয়টি ঘিরে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়দের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, অর্থের বিনিময়ে বিদ্যালয় মাঠে হাট বসানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কামাল হোসেন রনি নামের একজন লিখেছেন, “স্কুল মাঠেই গরুর হাট! এক সময় এই মাঠের ঘাস বিক্রি হত। খেলাধুলা করা নিষেধ ছিল, কারণ ঘাস নষ্ট হয়ে যাবে। এখন মাঠের অর্ধেক জুড়ে গরুর বাজার বসছে। সারা সপ্তাহ গোবরের গন্ধে শিক্ষার্থীদের কষ্ট হবে। কী লাভে এই হাট বসানো হলো, বুঝলাম না। আজ মাঠে গিয়ে সেই চেনা হাট দেখলাম।”
গত শুক্রবার (২৩ মে) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের মাঠে শত শত গরু, ছাগল ও মহিষ বিক্রির জন্য রাখা হয়েছে। পায়ের আঘাতে নষ্ট হচ্ছে মাঠের ঘাস এবং পশুর মলমূত্রে পরিবেশ দুর্গন্ধময় হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বাজারে পশুর চাপ বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যালয় মাঠকে হাট হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, প্রধান শিক্ষক টাকার বিনিময়ে এই অনুমতি দিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “বিদ্যালয়ের একমাত্র খেলার মাঠে হাট বসানোর ফলে শিক্ষার পরিবেশ চরমভাবে নষ্ট হচ্ছে। বর্ষায় মাঠ কাদায় পরিপূর্ণ থাকে, শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা তো দূরের কথা, হেঁটে চলতেও পারে না।”
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইসতিয়াক জাহান বলেন, “স্কুল মাঠে হাট বসানো একদমই সঠিক হয়নি। আমি বর্তমানে এলাকার বাইরে আছি। বিষয়টি কালকে জেনেছি। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।”
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাজী আলী আহম্মেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি একটি জরুরি মিটিংয়ে আছেন, পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন।
এদিকে, মহিপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসীন সাদেক বলেন, “নির্ধারিত স্থান ছাড়া অন্য কোথাও হাট বসানোর সুযোগ নেই। স্কুল মাঠ ব্যবহার করে কেউ হাট বসানোর চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা ইতোমধ্যে বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।”