কলাপাড়ার প্রত্যন্ত গ্রামে জ্ঞানের দ্বীপ শিখা ছড়াচ্ছে গীতা স্কুল

- আপডেট সময় : ০৮:০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
- / ৩৭১ বার পড়া হয়েছে
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সন্তানের মাঝে ধর্মীয় জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে শ্রী শ্রী রাধাগোবিন্দ গীতা স্কুল। এটি হয়ে উঠছে সনাতনী হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রাণ কেন্দ্র। এটি যেন এ সমাজের পাঞ্জেরী। বলছি কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমারা গ্রামের কথা। গ্রামের বেড়ে ওঠা শয়ন মাতুব্বর। কৃষিতে ডিপ্লোমা শেষ করে চাকরির খোঁজে পড়াশোনা করেন বাড়ীতে বসে।
একদিন তিনি চিন্তা করলেন সনাতনী সম্প্রদায়ের সন্তানদেরকে গীতা ও ধর্মীয় আচার আচরনের চর্চা করানোর, সেই চিন্তা থেকে প্রতিষ্ঠা করল শ্রী শ্রী রাধাগোবিন্দ গীতা স্কুল। শুরুতে স্কুলে কম শিক্ষার্থী থাকলেও এখন শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে মুখর থাকে। অনুপস্থিতি হার শূন্যের কোঠায় বললেই চলে। ধর্মীয় শিক্ষা ও আচার আচরনে পিছিয়ে থাকা প্রত্যন্ত গ্রামে প্রতিষ্ঠিত মন্দির ভিত্তিক এ স্কুলটি এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। স্কুলটিতে শিক্ষক রয়েছে ৩ জন বিপরীতে শিক্ষার্থী রয়েছে৭০ জনের মত। রয়েছে পরিচালনা কমিটি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গীতা স্কুলটিতে পাঠদানরত শিক্ষক ও শিক্ষিকা। ধ্যান মগ্ন হয়ে রয়েছে শিক্ষার্থীরা।তারা মনোযোগী হয়ে পাঠ রপ্ত করছে। এখানে পাঠদান করেন সিমা মন্ডল, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সম্পূর্ণ বিনা বেতনে পাঠ দান করি। আমরাও বিনিময়ে কোন কিছু দাবী করিনা প্রতিষ্ঠাতার কাছে। এখানে পাঠদান করে ভালো লাগে। বিনা বেতনে শ্রম দেই। আরেক শিক্ষক রবিন মাতুব্বরকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ধর্মীয় জ্ঞান বিলাই। একদিকে ভগবানের আর্শীবাদ পাই, অন্যদিকে শান্তি খুঁজে বেড়াই।
স্থানীয় বাসিন্দা অসিম কুমার বিশ্বাস বলেন, এ এলাকায় ইতোপূর্বে কেউ সনাতনী সম্প্রদায়ের সন্তানদেরকে গীতা ও ধর্মীয় আচার আচরন পালনের কোন প্রতিষ্ঠান তৈরি করেনি। এটি প্রথম তৈরি করা হয়েছে। ফলে এখানকার সনাতনীরা তাদের সন্তানদের ধর্মীয় শিক্ষায় বড় করতে পারছে তাদের সন্তানদের। তাদের দাবী এটিকে আরো বড় করতে সরকারের সহায়তা কামনা করেন।
স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি সুমন দেউড়ি বলেন, পবিত্র গীতার জ্ঞান ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার জন্য আমরা নিরলস ভাবে কাজ করছি। পরীক্ষাসহ শিক্ষার্থীদের মাঝে আমরা সনদ বিতরণ করি পাশাপাশি আমরা বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও একাডেমিক সুপারভাইজার মো. মনিরুজ্জামান খাঁন বলেন এমন মহতি উদ্যগকে স্বাগত জানাই। সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা পাশাপাশি ও আমাদের তরফ থেকে যতটুকু সম্ভব সরকারি সহায়তা প্রদানের চেষ্টা করা হবে যার ফলে স্কুলটি হয়ে উঠতে পারে স্থানীয়দের জ্ঞানের বাতিঘর।