এ নিয়ে দু’দফায় সংবাদ সম্মেলন করলেও কোনো সুরাহা না হওয়া ক্ষোভে ফেটেছেন পদ বঞ্চিত অনেকেই। এ ঘটনায় আজ রাত সাড়ে আটটার দিকে ওই কমিটিকে কেন্দ্র করে দু গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটে।
এ ঘটনায় এক পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে মহিপুর থানা পুলিশ কলেজ ছাত্রদলের কমিটির সহ-সভাপতির পদ থেকে সদ্য পদত্যাগ করা মোঃ রাইসুল ইসলাম রুপুকে আটক করেন। এর পরই পদ বঞ্চিত ছাত্রদলের নেতারা তাকে মুক্ত করার জন্য সড়ক অবরোধ করেন। একপর্যায়ে পুলিশ তাকে মুচলেকা রেখে মহিপুর থানা বিএনপির নেতৃবৃন্দের কাছে জিম্মায় ছেড়ে দেন।
এ বিষয়ে কলেজ কমিটির সহ-সভাপতি পদ থেকে সদ্য পদত্যাগ করা সহ-সভাপতি রাইসুল ইসলাম রুপু বলেন, কলেজ কমিটির সভাপতি ছাত্রলীগের অনুসারী রবিউল, সাবেক ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক ও একই কলেজ ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক পদ পাওয়া রাফি ও ইমন’রা মেয়েদের ইভটিজিং করলে আমরা প্রতিবাদ করায় তারা আমাদের উপর হামলা চালায়।
এ বিষয়ে কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি রবিউল ইসলাম বলেন, গতকাল ছোট ভাইদের সাথে ঝামেলা নিয়ে আজকে আমাদের উপর হামলা চালায় রুপুসহ আরও কয়েকজন। তাদের হামলায় আমার নজরুল নামের এক ছোট ভাই আহত হয়।
এ বিষয়ে মহিপুর থানা ছাত্রদলের ১নং যুগ্ন আহবায়ক মোঃ জাফর হাওলাদার বলেন, আমাদের থানা শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজ এ কলেজে ছাত্রদলের কমিটির বিষয়ে আমরা থানা ছাত্রদলের সুপার ফাইভ কেউ অবগত না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে গত ৬ মে আমরা কমিটির বিষয়ে জানতে পারি। এবং কমিটিতে ছাত্রলীগের পদধরী ও কয়েকজন অনুসারী স্থান পেয়েছেন।
মহিপুর থানা ছাত্রদলের আহবায়ক তানজিল আলম বলেন, কলেজ ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের নিউজের প্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। তদন্ত কমিটির তদন্ত চলমান, অতিশীঘ্রই জেলা কমিটির কাছে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
এ বিষয়ে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদলের এক পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে রাইসুল ইসলাম রুপু নামের একজন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পরে তাকে মহিপুর থানা বিএনপির নেতৃবৃন্দের কাছে মুচলেকা দিয়ে জিম্মায় দিয়েছি। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।