মির্জাগঞ্জে এক যুগেও সংস্কার হয়নি রাস্তাটি, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

- আপডেট সময় : ০৭:৩৭:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
- / ৫২২ বার পড়া হয়েছে
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ সড়ক দীর্ঘ এক যুগেও সংস্কার কিংবা মেরামতের মুখ দেখেনি। বরগুনা-মির্জাগঞ্জ-বাকেরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে কাকড়াবুনিয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় হয়ে আব্দুল লতিফ মাস্টারের বাড়ির সামনে বায়তুল জামে মসজিদ পেরিয়ে পায়রা নদীর ওয়াপদা পর্যন্ত এ সড়কের ইটের সলিং (এইচবিবি) উঠে গিয়ে তৈরি হয়েছে অসংখ্য খানাখন্দ। অনেক স্থানে রাস্তার মধ্যে ইটের অস্তিত্বও নেই।
সড়কটির দুইটি কালভার্টের মধ্যে একটি ভেঙে পড়ায় পানি চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। ভাঙা কালভার্টের ওপর মাটি ফেলে কোনোমতে চলাচলের চেষ্টা করলেও বর্ষা মৌসুমে ওই এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন পশ্চিম কাকড়াবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দাসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, ২০০৭-২০০৮ সালে নির্মিত প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটির বিভিন্ন অংশে ইটের সলিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা নিজেদের উদ্যোগে কোথাও কোথাও মাটি ও ইট ফেলে চলাচলের ব্যবস্থা করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, “সড়কের বিভিন্নস্থানে ইট উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে মোটরসাইকেল নিয়েও চলাচলে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। দেড় যুগে একাধিকবার উপজেলা পরিষদ ও এলজিইডি বিভাগে লিখিতভাবে জানিয়েছি, কিন্তু কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হয়নি। বর্ষায় দুর্ভোগ আরো বাড়ে এবং প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।”
সহকারী শিক্ষক সুমন্ত বারিকদার বলেন, “১৪-১৫ বছর ধরে রাস্তাটি এভাবেই পড়ে আছে। অধিকাংশ জায়গায় ভাঙাচোরা অবস্থায় আছে, ফলে যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা, হাঁটাচলাই কঠিন হয়ে পড়েছে।”
স্থানীয় বাসিন্দা বাদল গোলদার ও প্রদীপ ভক্ত বলেন, “রাস্তাটির মাঝখানে একটি কালভার্ট ভেঙে পড়ায় চলাচল দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। বহুবার ইউপি চেয়ারম্যানদের জানিয়েও কোনো ফল হয়নি। বৃষ্টির আগেই সংস্কার না করলে পুরো সড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়বে।”
কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সেলিম মিয়া বলেন, “২০০৭-২০০৮ সালে আমার মেয়াদকালে ইট সলিং রাস্তা নির্মিত হয়েছিল। রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ অর্থবছরে সংস্কারের জন্য তালিকাভুক্ত করলেও বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। তবে নতুন বরাদ্দ এলে সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।”
উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, “বর্তমানে নতুন কোনো প্রকল্প নেই, চলমান প্রকল্পগুলোও জুন মাসে শেষ হয়ে যাবে। নতুন প্রকল্প এলেই রাস্তাটি সংস্কারের ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
বেহাল এই সড়ক দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের ভুক্তভোগী হাজারো মানুষ।