পটুয়াখালী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মীর মশিউর রহমানের মামলায় লতাচাপলী ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মামুন মোল্লা কারাগারে। বুধবার (৯ এপ্রিল) মধ্যরাতে লতাচাপলী ইউনিয়নের ফাঁসিপাড়া এলাকার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে মহিপুর থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম।

জানা গেছে, ১৬ মার্চ উপজেলার মহিপুর থানার আলীপুর বাজার সংলগ্ন থ্রি পয়েন্ট এলাকায় এক মাছ ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে মারধর ও ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা ছিঁনিয়ে নেওয়া এবং বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ ও তা ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকির অভিযোগ এনে মামলা করা হয়েছে। তবে মামলার বিবরণের সাথে ঘটনাস্থলের সতত্যার অমিল রয়েছে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. মশিউর রহমান মহিপুর থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৫/২০ জনের মামলায় দায়ের করেন। মামলায় মামুন মোল্লাকে ৪ নম্বর আসামী করা হয়েছে। তবে মামুন মোল্লার পরিবারের দাবি তাকে ফাঁসানো হয়েছে। এ ঘটনার সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। গ্রেফতারের পরপরই এলাকায় চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মশিউর রহমান বলেন, ‘আমাকে মারধর ও বিবস্ত্র করে ধারণ করা ভিডিও নিয়ে আমি সামাজিকভাবে হেও হওয়ার শঙ্কায় থাকি। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

এ বিষয়ে লতাচাপলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মহিউদ্দিন মুসুল্লি সুলতান বলেন, ‘শৃঙ্খলা পরিপন্থি কোনো কাজের দায় দল নেবে না। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া হবে।

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।