মহিপুরে যুবককে পিটিয়ে আহত করলেন সেনা সদস্য, থানায় মামলা

- আপডেট সময় : ০২:০০:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ এপ্রিল ২০২৫
- / ১২৫৬ বার পড়া হয়েছে
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সেনা সদস্যের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন মিশকাত (২৫) নামে এক যুবক। রবিবার (৩১ মার্চ) দুপুরে উপজেলার মহিপুর থানার পুরান মহিপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) বিকেলে আহতের বাবা মো. শাহ আলম ছয়জনকে আসামি করে মহিপুর থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১১ বছর আগে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের হলদিবাড়ীয়া গ্রামের মো. শাহ আলমের ছেলে মোহাম্মদ আলামিন (৩০) ও পুরান মহিপুর এলাকার শহীদ চৌকিদারের মেয়ে মোসা. রীনা আক্তারের (২৮) বিয়ে হয়। তাদের পাঁচ বছরের একটি সন্তান রয়েছে।
সম্প্রতি পারিবারিক কলহের জেরে রীনা আক্তার স্বামী আলামিনের বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা দায়ের করেন। আলামিন ঢাকায় একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে কর্মরত থাকায় মামলার বিষয়ে অবগত ছিলেন না। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এলে মহিপুর থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরে আত্মীয়রা থানায় গেলে পুলিশ বাদীর সঙ্গে আপস করার পরামর্শ দেন।
রবিবার সকালে আলামিনের বাবা ও ভাইসহ সাতজন রীনা আক্তারের বাড়িতে গিয়ে সম্পর্ক মীমাংসার চেষ্টা করেন। তবে মেয়ের পরিবার রাজি না হওয়ায় তারা ফিরে আসতে থাকেন। পথে রীনার ভাই সেনা সদস্য মেহেদী হাসান (২৬) ও তার সহযোগীরা তাদের পথরোধ করেন এবং আলামিনের ছোট ভাই মিশকাতকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হামলাকারীরা মিশকাতের মোবাইল, ৩৭ হাজার টাকা, মানিব্যাগ ও এটিএম কার্ড ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া পুলিশকে খবর দিয়ে তাদের অপহরণকারী হিসেবে প্রমাণের চেষ্টা করা হয়। পরে মহিপুর থানা পুলিশ এসে আহত মিশকাতকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মিশকাত বলেন, “এভাবে কেউ কাউকে পেটাতে পারে? পুলিশ সময়মতো না এলে তারা আমাকে মেরেই ফেলত।”
মিশকাতের বাবা মো. শাহ আলম বলেন, “আমার ছেলেকে নির্মমভাবে পেটানো হয়েছে। আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সুবিচার চাই।”
সেনা সদস্য মেহেদী হাসান বলেন, “আমার বোনের স্বামী পরকীয়ায় আসক্ত। একাধিকবার বিষয়টি নিয়ে কথা বলার পরও তার পরিবারের কেউ ব্যবস্থা নেয়নি। বাধ্য হয়ে মামলা করেছি। ঘটনার দিন তারা আমার ভাগ্নেকে অপহরণ ও আমার বোনকে জোর করে মুচলেকা দিতে বাধ্য করতে এসেছিল। বোনকে গালিগালাজ করলে স্থানীয়দের সঙ্গে মিলে আমরা তাদের প্রতিহত করি।”
মহিপুর থানার ওসি (তদন্ত) অনিমেষ হালদার জানান, “সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”