ঢাকা ০৫:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ঘন ঘন বৈরী আবহাওয়ায় হুমকিতে মৎস্য পেশা Logo ঋণ বাতিল করে জলবায়ু অর্থায়নের দাবিতে কলাপাড়ায় মানববন্ধন সাইকেল শোভাযাত্রা Logo ‎মির্জাগঞ্জে দাদীর সাথে অভিমানে স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা Logo তিন বছর ধরে ঝুঁলে আছে আয়রণ ব্রিজ, ভোগান্তি চরমে  Logo মৎস্যজীবী দল নেতাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিএনপির মহাসচিবের নিন্দা Logo বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে, উত্তাল সমুদ্রে মাতোয়ারা হাজারো পর্যটক Logo মির্জাগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় বাদী শ্রীঘরে Logo কুয়াকাটায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ, ছাত্রলীগ নেতার ভাইয়ের আঘাতে জেলের মৃত্যু Logo মির্জাগঞ্জে ইউসিবি ব্যাংক পিএলসি’র ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন Logo মহিপুরে পাওনা টাকার জেরে জেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
দেখার যেন কেউ নেই

কুয়াকাটা সৈকত দখল করে চলছে মার্কেট নির্মাণ

কুয়াকাটা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৩:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫
  • / ৬০৮ বার পড়া হয়েছে

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত দখল করে চলছে মার্কেট নির্মানের কাজ। শুধু দখল নয় টিন আর কাঠের মাচার উপরে ইট সিমেন্টের ডালাই দিয়ে করা হচ্ছে দ্বিতীয় তলায় আবাসিক হোটেল ও রেস্টুরেন্ট যা পর্যটকদের জন্য ঝুকিপূর্ন। একসময়ে টাইলস্ মার্কেট নামে পরিচিত মার্কেটটিতে নিচতলায় প্রায় ৪০-৫০টি দোকান থাকায় সারাবছরে পর্যটকদের অবস্থান থাকে ওখানে তবে প্রতিষ্টানটিকে অনেক আগেই সাইনবোর্ড দিয়ে ঝুকিপূর্ন ঘোষনা করে কুয়াকাটা পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এবার সৈকত দখল করে মার্কেটিককে বর্ধিত করছে মার্কেটটির মালিক দাবি করা মো. হিরু মিয়া নামের এক ব্যক্তি। তবে সৈকতে মালিকানা সরকারের এখানে মার্কেট করার কোনো সুযোগ নেই বলে জানায় প্রশাসন।

সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্টে পশ্চিমপার্শ্বের প্রায় দুইশো ফুট লম্বা টাইলস মার্কেটের পশ্চিমপাশে পুরোপুরি সৈকতের ভিতরে, জোয়ারের পানি সার্বক্ষনিক এই মার্কেটে এসে আচড়ে পড়ে। বর্তমানে সেটিকে আরো লম্বা করে প্রায় আনুমানিক ২০-৩০ বর্ধিত করে পুরোপুরি সৈকতের ভিতরে সাগর থেকে বালু উত্তোলন করে দোতলা মার্কেট নির্মান করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, মার্কেটটি লোহার পাত আর কাঠ দিয়ে তৈরী করা হলেও তার উপরে আবার ডালাই দিয়ে দোতলা নির্মান করে উপড়ে আবাসিক হোটেল নির্মান করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন যাবৎ ওই স্থাপনার নিচে ব্যবসা করা অর্ধশতাধিক ব্যবসায়ীরাও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।

পরিচয় গোপন রাখা শর্তে ওই মার্কেটের এক দোকানি জানান, বর্ষায় ডেউ এসে আচড়ে এই মার্কেটের এক পাশে এতে ঝুকিতে থাকে আমাদের অনেক ব্যবসায়ী। এতদিন যেভাবে ছিল এতে ভয় কম ছিল কিন্তু এখন মার্কেটটি আরো বড় করা হচ্ছে উপরে ডালাই দেয় হচ্ছে, তাতে যেকোনো সময়ে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা গবীর মানুষ এটা নিয়ে কথা বল্লে আমাদেরকে নামিয়ে দিবে, ব্যবসা না করলে খাবো কি?

কুয়াকাটা ট্যুর গাইড এসোসিয়েশনের সভাপতি কে.এম বাচ্চু বলেন, কুয়াকাটাতে স্থায়ী কোনো মার্কেট না থাকায় এই মার্কেটটি কিছুটা হলেও পর্যটকদের প্রসাধনী কেনায় গুরুত্বপূর্ন স্থান হিসাবে বিবেচিত তবে মার্কেটিট ঝুকিপূর্ন তাই পৌরসভা এটিকে ঝুকিপূর্ণ ঘোষনা করে সাইনবোর্ড দিয়েছে। তবে পুরোপুরি সৈকতের মধ্যে তিনি মার্কেটিকে কিভাবে বর্ধিত করছে জানা নেই। এখানে যদি কেনো দূর্ঘটনা ঘটে তাহলে শতশত পর্যটকরা ক্ষতির সম্মুক্ষিন হওয়ার সম্বাবনা রয়েছে। সৈকত দখল করার কারনে সৈকতের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে।

এ বিষয়ে ওই জমির মালিক দাবি করা মো. হিরু মিয়া এই জমি তার দাবি করে বলেন, এই জমির মালিক আমি, আমার জমির অনেকাংশ সমুদ্রের মধ্যে রয়েছে এটা নিয়ে প্রশাসনের সাথে বার বার বৈঠক হয়েছে আবারও হবে। আর এই স্থাপনা ঝুকিপূর্ন নয় প্রকৌশলীর পরামর্শ নিয়ে কাজ করা হয়েছে।

কুয়াকাটা পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়ামিন সাদেক দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলে তিনি জানান, সমুদ্র সৈকতের মালিক একমাত্র সরকার, এখানে ব্যক্তি মালিকানার কোনো সুযোগ নেই। পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমরা এবিষয়ে ব্যবস্থঅ নিচ্ছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

দেখার যেন কেউ নেই

কুয়াকাটা সৈকত দখল করে চলছে মার্কেট নির্মাণ

আপডেট সময় : ০৫:৩৩:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত দখল করে চলছে মার্কেট নির্মানের কাজ। শুধু দখল নয় টিন আর কাঠের মাচার উপরে ইট সিমেন্টের ডালাই দিয়ে করা হচ্ছে দ্বিতীয় তলায় আবাসিক হোটেল ও রেস্টুরেন্ট যা পর্যটকদের জন্য ঝুকিপূর্ন। একসময়ে টাইলস্ মার্কেট নামে পরিচিত মার্কেটটিতে নিচতলায় প্রায় ৪০-৫০টি দোকান থাকায় সারাবছরে পর্যটকদের অবস্থান থাকে ওখানে তবে প্রতিষ্টানটিকে অনেক আগেই সাইনবোর্ড দিয়ে ঝুকিপূর্ন ঘোষনা করে কুয়াকাটা পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এবার সৈকত দখল করে মার্কেটিককে বর্ধিত করছে মার্কেটটির মালিক দাবি করা মো. হিরু মিয়া নামের এক ব্যক্তি। তবে সৈকতে মালিকানা সরকারের এখানে মার্কেট করার কোনো সুযোগ নেই বলে জানায় প্রশাসন।

সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্টে পশ্চিমপার্শ্বের প্রায় দুইশো ফুট লম্বা টাইলস মার্কেটের পশ্চিমপাশে পুরোপুরি সৈকতের ভিতরে, জোয়ারের পানি সার্বক্ষনিক এই মার্কেটে এসে আচড়ে পড়ে। বর্তমানে সেটিকে আরো লম্বা করে প্রায় আনুমানিক ২০-৩০ বর্ধিত করে পুরোপুরি সৈকতের ভিতরে সাগর থেকে বালু উত্তোলন করে দোতলা মার্কেট নির্মান করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, মার্কেটটি লোহার পাত আর কাঠ দিয়ে তৈরী করা হলেও তার উপরে আবার ডালাই দিয়ে দোতলা নির্মান করে উপড়ে আবাসিক হোটেল নির্মান করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন যাবৎ ওই স্থাপনার নিচে ব্যবসা করা অর্ধশতাধিক ব্যবসায়ীরাও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।

পরিচয় গোপন রাখা শর্তে ওই মার্কেটের এক দোকানি জানান, বর্ষায় ডেউ এসে আচড়ে এই মার্কেটের এক পাশে এতে ঝুকিতে থাকে আমাদের অনেক ব্যবসায়ী। এতদিন যেভাবে ছিল এতে ভয় কম ছিল কিন্তু এখন মার্কেটটি আরো বড় করা হচ্ছে উপরে ডালাই দেয় হচ্ছে, তাতে যেকোনো সময়ে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা গবীর মানুষ এটা নিয়ে কথা বল্লে আমাদেরকে নামিয়ে দিবে, ব্যবসা না করলে খাবো কি?

কুয়াকাটা ট্যুর গাইড এসোসিয়েশনের সভাপতি কে.এম বাচ্চু বলেন, কুয়াকাটাতে স্থায়ী কোনো মার্কেট না থাকায় এই মার্কেটটি কিছুটা হলেও পর্যটকদের প্রসাধনী কেনায় গুরুত্বপূর্ন স্থান হিসাবে বিবেচিত তবে মার্কেটিট ঝুকিপূর্ন তাই পৌরসভা এটিকে ঝুকিপূর্ণ ঘোষনা করে সাইনবোর্ড দিয়েছে। তবে পুরোপুরি সৈকতের মধ্যে তিনি মার্কেটিকে কিভাবে বর্ধিত করছে জানা নেই। এখানে যদি কেনো দূর্ঘটনা ঘটে তাহলে শতশত পর্যটকরা ক্ষতির সম্মুক্ষিন হওয়ার সম্বাবনা রয়েছে। সৈকত দখল করার কারনে সৈকতের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে।

এ বিষয়ে ওই জমির মালিক দাবি করা মো. হিরু মিয়া এই জমি তার দাবি করে বলেন, এই জমির মালিক আমি, আমার জমির অনেকাংশ সমুদ্রের মধ্যে রয়েছে এটা নিয়ে প্রশাসনের সাথে বার বার বৈঠক হয়েছে আবারও হবে। আর এই স্থাপনা ঝুকিপূর্ন নয় প্রকৌশলীর পরামর্শ নিয়ে কাজ করা হয়েছে।

কুয়াকাটা পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়ামিন সাদেক দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলে তিনি জানান, সমুদ্র সৈকতের মালিক একমাত্র সরকার, এখানে ব্যক্তি মালিকানার কোনো সুযোগ নেই। পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমরা এবিষয়ে ব্যবস্থঅ নিচ্ছি।