ঢাকা ১০:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ঘন ঘন বৈরী আবহাওয়ায় হুমকিতে মৎস্য পেশা Logo ঋণ বাতিল করে জলবায়ু অর্থায়নের দাবিতে কলাপাড়ায় মানববন্ধন সাইকেল শোভাযাত্রা Logo ‎মির্জাগঞ্জে দাদীর সাথে অভিমানে স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা Logo তিন বছর ধরে ঝুঁলে আছে আয়রণ ব্রিজ, ভোগান্তি চরমে  Logo মৎস্যজীবী দল নেতাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিএনপির মহাসচিবের নিন্দা Logo বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে, উত্তাল সমুদ্রে মাতোয়ারা হাজারো পর্যটক Logo মির্জাগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় বাদী শ্রীঘরে Logo কুয়াকাটায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ, ছাত্রলীগ নেতার ভাইয়ের আঘাতে জেলের মৃত্যু Logo মির্জাগঞ্জে ইউসিবি ব্যাংক পিএলসি’র ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন Logo মহিপুরে পাওনা টাকার জেরে জেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

কুয়াকাটায় ‘দা’ হাতে বিএনপি নেতার ভিডিও ভাইরাল

কুয়াকাটা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০২:৫৯:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
  • / ৯৫৫ বার পড়া হয়েছে
পটুয়াখালীর মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়ন বিএনপি’র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হালিম ফরাজীকে একটি ভিডিওতে দেখা যায় হাতে দা নিয়ে স্থানীয় কয়েকজন প্রতিবেশীকে মারধর করতে তেড়ে আসেন। তার সাথে লাঠি হাতে দুই ছেলেও রয়েছেন। ভুক্তভোগী ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। গত শনিবার (৯ মার্চ) সকালে লতাচাপলী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের খাজুরা (বাহামকান্দা) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
১ মিনিট ৩৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, হালিম ফরাজী ও তার ২ ছেলে সজীব ও রায়হান স্থানীয় সজীব হাওলাদার নামের এক ব্যক্তিকে মারধর করেন। হালিম ফরাজী হাতে দা নিয়ে প্রতিবেশী মোস্তফা ফকির ও তার স্ত্রী রাশেদা বেগমসহ কয়েকজনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। ঘটনাটি এখন টক অব দ্যা টাউনে পরিনত হয়েছে। এ ঘটনায় মহিপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হালিম ফরাজী এর আগেও স্থানীয় মোস্তফা ফকিরের স্ত্রী রাশেদা বেগমের মাথায় আঘাত করেছিলেন। এ ঘটনায় আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।
জানা যায়, হালিম ফরাজী ৫ আগস্টের পরে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় শালিস বাণিজ্য জমি দখল চাঁদাবাজিসহ বিস্তার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গত শনিবার প্রতিবেশী কালাম হাওলাদার ও মোস্তফা হাওলাদার নিকট চাঁদা চাইলে তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে কিছুক্ষণ পরে দা নিয়ে তাদের ধাওয়া করলে তারা নিজেদের রক্ষা করতে বসত ঘরের ভিতরে ঢুকে পড়েন। এ সময় উত্তেজিত হালিম ফরাজী তাদের বসত ঘরের বিভিন্ন কুপিয়েছন।
এ বিষয়ে মোস্তফা ফকির বলেন, হালিম ফরাজী এর আগেও আমার স্ত্রীকে মারধর করেছেন। এ ঘটনায় আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে। হালিম ফরাজীর অত্যাচারে আমরা অতিষ্ট। প্রশাসনের কাছে আমরা তার বিচার চাই।
ভুক্তোভোগী আবুল কালাম হাওলাদার বলেন, হালিম ফরাজীর নির্যাতনের জন্য আমার পরিবার দিশেহারা, সে বিভিন্ন সময় আমার পরিবারকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। গত ৯ মার্চ সকালে তিনি দা নিয়ে আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্য তেড়ে আসেন। একপর্যায়ে আমার ছেলে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করলে তিনি হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত হালিম ফরাজী বলেন, ওখানে আমার জমি রয়েছে আমি মূলত সেই জমি থাকা গাছ পরিস্কারের জন্য দা নিয়ে গেছি।
এ বিষয়ে লতাচাপলী ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সেলিম হাওলাদার বলেন, বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি তদন্ত সাপেক্ষে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে মহিপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) অনিমেষ হাওলাদার বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

কুয়াকাটায় ‘দা’ হাতে বিএনপি নেতার ভিডিও ভাইরাল

আপডেট সময় : ০২:৫৯:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
পটুয়াখালীর মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়ন বিএনপি’র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হালিম ফরাজীকে একটি ভিডিওতে দেখা যায় হাতে দা নিয়ে স্থানীয় কয়েকজন প্রতিবেশীকে মারধর করতে তেড়ে আসেন। তার সাথে লাঠি হাতে দুই ছেলেও রয়েছেন। ভুক্তভোগী ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। গত শনিবার (৯ মার্চ) সকালে লতাচাপলী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের খাজুরা (বাহামকান্দা) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
১ মিনিট ৩৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, হালিম ফরাজী ও তার ২ ছেলে সজীব ও রায়হান স্থানীয় সজীব হাওলাদার নামের এক ব্যক্তিকে মারধর করেন। হালিম ফরাজী হাতে দা নিয়ে প্রতিবেশী মোস্তফা ফকির ও তার স্ত্রী রাশেদা বেগমসহ কয়েকজনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। ঘটনাটি এখন টক অব দ্যা টাউনে পরিনত হয়েছে। এ ঘটনায় মহিপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হালিম ফরাজী এর আগেও স্থানীয় মোস্তফা ফকিরের স্ত্রী রাশেদা বেগমের মাথায় আঘাত করেছিলেন। এ ঘটনায় আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।
জানা যায়, হালিম ফরাজী ৫ আগস্টের পরে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় শালিস বাণিজ্য জমি দখল চাঁদাবাজিসহ বিস্তার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গত শনিবার প্রতিবেশী কালাম হাওলাদার ও মোস্তফা হাওলাদার নিকট চাঁদা চাইলে তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে কিছুক্ষণ পরে দা নিয়ে তাদের ধাওয়া করলে তারা নিজেদের রক্ষা করতে বসত ঘরের ভিতরে ঢুকে পড়েন। এ সময় উত্তেজিত হালিম ফরাজী তাদের বসত ঘরের বিভিন্ন কুপিয়েছন।
এ বিষয়ে মোস্তফা ফকির বলেন, হালিম ফরাজী এর আগেও আমার স্ত্রীকে মারধর করেছেন। এ ঘটনায় আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে। হালিম ফরাজীর অত্যাচারে আমরা অতিষ্ট। প্রশাসনের কাছে আমরা তার বিচার চাই।
ভুক্তোভোগী আবুল কালাম হাওলাদার বলেন, হালিম ফরাজীর নির্যাতনের জন্য আমার পরিবার দিশেহারা, সে বিভিন্ন সময় আমার পরিবারকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। গত ৯ মার্চ সকালে তিনি দা নিয়ে আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্য তেড়ে আসেন। একপর্যায়ে আমার ছেলে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করলে তিনি হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত হালিম ফরাজী বলেন, ওখানে আমার জমি রয়েছে আমি মূলত সেই জমি থাকা গাছ পরিস্কারের জন্য দা নিয়ে গেছি।
এ বিষয়ে লতাচাপলী ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সেলিম হাওলাদার বলেন, বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি তদন্ত সাপেক্ষে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে মহিপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) অনিমেষ হাওলাদার বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।