কলাপাড়ায় পরকীয়া সন্দেহে স্বামী-স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর, শ্লীলতাহানি

- আপডেট সময় : ০৫:৫৯:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫
- / ৭০০ বার পড়া হয়েছে
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পরকীয়া সন্দেহে স্বামী-স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর, শ্লীলতাহানি এবং মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ উঠেছে, একই এলাকার বেশ কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ৪ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পর সোমবার রাতে ভুক্তভোগী নারী নুরজাহান বেগম কলাপাড়া থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের তুলাতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভূক্তভোগী নুরজাহান বেগম বলেন, মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের তেগাছিয়া গ্রামের ওই নারী প্রায় ১৫ বছর আগে তার প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স দেন। পরে তিন বছর আগে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বালিয়াতলী ইউনিয়নের তুলাতলী গ্রামের শামীম চৌকিদারকে বিয়ে করেন। তাদের বিয়ের বিষয়টি দুই পরিবারকেই জানানো হয়েছে। তবে ওই নারী তার বাবার বাড়ি তেগাছিয়া গ্রামেই থাকতেন।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার স্বামী শামিমকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে তেগাছিয়া থেকে ডাক্তার দেখানোর জন্য চাপলী বাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। এ সময় তুলাতলী এলাকায় পৌঁছালে ওই এলাকার সাইফুল, বশির, স্বপন ও নুর আলম সহ ১০ যুবক তাদের মোটরসাইকেল থামিয়ে বেধড়ক মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে তাদের পার্শ্ববর্তী বিলের মধ্যে নিয়ে ফের মারধর করে। এতে তার স্বামী শামীম জ্ঞান হাঁরিয়ে ফেললে ওই নারীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয় শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে তারা। পরে তার জামাকাপড় টেনে হিচড়ে ছিড়ে অশ্লীল ভিডিও করে।
এ সময় ওই নারীর ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসে। পরে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ মনির ঘটনাস্থলে পৌছে তাদের উদ্ধারে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করে। ওই নারীর স্বামী শামীম চৌকিদার বলেন, নুরজাহান আমার দ্বিতীয় স্ত্রী। আমাদের বিয়ের বিষয় আমার প্রথম স্ত্রী সহ আমাদের পরিবারে সবাই অবগত আছেন। আমাদের মারধর করার সময় এতো করে বল্লাম আমাদের বিয়ে হয়েছে, কিন্তু তারা কোন ভাবেই শুনলো না। প্রথমে মারধর করার পর বিলে নিয়ে ওরা আমার কাছে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে। এসময় আমি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আরও মারধর করে। আমার স্ত্রীর কানে এবং হাতে স্বর্নের গহনা ছিলো, সেগুলোও তারা নিয়ে গেছে। আমি এ ঘটনার বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাইফুল বলেন, নুরজাহান এবং শামীম চৌকিদার তারা পরকীয়া করে। এলাকাবাসী তাদের হাতে নাতে ধরেছে, তাদের কোন মারধর করা হয়নি।
এ বিষয়ে কলাপাড়া থানার ওসি জুয়েল ইসলাম বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।