চিকিৎসক লেলীনের “লেলিহান শিখা” থেকে বাঁচতে চায় মানুষ

- আপডেট সময় : ০৫:৫৩:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ৫০৫ বার পড়া হয়েছে
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসক ডাঃ লেলিনের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ১২টায় হাসপাতাল কমপ্লেক্সের সামনের সড়কে ছাত্র জনতার আয়োজনে এ মানববন্ধন করা হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট খন্দকার নাসির উদ্দিন, ছাত্রনেতা মাহবুবুল আলম নাঈম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল মহানগর’র সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান রাফি, ভুক্তভোগী খোকন হাওলাদার প্রমুখ। এছাড়াও মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।
বক্তারা বলেন, ১৪ বছর ধরে কলাপাড়া হাসপাতালে চাকরি করা চিকিৎসক ডাঃ জে এইচ খান লেলিন এটিকে তার নিজস্ব ব্যবসা কেন্দ্রে পরিণত করেছেন। একাধিক ল্যাব করেছেন। ব্যক্তিগত হাসপাতাল করেছেন। তার নেতৃত্বে মারামারিতে জখম হওয়া একই রোগীকে দুই ধরনের সনদ দেওয়া হয়। এ নিয়ে একাধিক মামলা হয়েছে। তার ভূল চিকিৎসায় বেশ কয়েকজন রোগী প্রান হারিয়েছে। অঙ্গহানিসহ শারীরক যন্ত্রনা পোহাতে হচ্ছে অনেক রোগীকে। নানাভাবে বিতর্কিত এই চিকিৎসককে পদোন্নতি দিয়ে একই হাসপাতালে উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসক হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।
মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সামনে এসে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে কলাপাড়া শহরের বিভিন্ন সড়কের দেওয়ালে ছাত্রজনতার ব্যানারে পোস্টারিং করা হয়। পোস্টারিং এ তাকে পতিত স্বৈরাচারের দোসর আখ্যায়িত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জুলাই আন্দোলন বিরোধী তার দেওয়া পোস্ট ছাপানো রয়েছে। এর আগে একই দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন, গণস্বাক্ষর অভিযান, কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো রবিউল ইসলামের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। একইভাবে বরিশাল স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ও পটুয়াখালীর সিভিল সার্জনের কাছে একই দিনে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। ছাত্র জনতা আয়োজিত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা।
এবিষয়ে ডা: জে এইচ খান লেলিন এর সাথে কথা বলার জন্য একাধিকবার মুঠোফোনে কল করলেও রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয় পটুয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ড:হুমায়ুন কবির বলেন, বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে উত্থাপন করেছি। তারা সিদ্ধান্ত নিবেন।