ঢাকা ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ঘন ঘন বৈরী আবহাওয়ায় হুমকিতে মৎস্য পেশা Logo ঋণ বাতিল করে জলবায়ু অর্থায়নের দাবিতে কলাপাড়ায় মানববন্ধন সাইকেল শোভাযাত্রা Logo ‎মির্জাগঞ্জে দাদীর সাথে অভিমানে স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা Logo তিন বছর ধরে ঝুঁলে আছে আয়রণ ব্রিজ, ভোগান্তি চরমে  Logo মৎস্যজীবী দল নেতাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিএনপির মহাসচিবের নিন্দা Logo বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে, উত্তাল সমুদ্রে মাতোয়ারা হাজারো পর্যটক Logo মির্জাগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় বাদী শ্রীঘরে Logo কুয়াকাটায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ, ছাত্রলীগ নেতার ভাইয়ের আঘাতে জেলের মৃত্যু Logo মির্জাগঞ্জে ইউসিবি ব্যাংক পিএলসি’র ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন Logo মহিপুরে পাওনা টাকার জেরে জেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

মির্জাগঞ্জ ফাউন্ডেশন” এর পরিচিতি সভা ও বনভোজন অনুষ্ঠিত

মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৩:২১:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৪০৫ বার পড়া হয়েছে

অনেকে বলেন “মন যার সুন্দর তার নাকি ঘরও সুন্দর হয়”। তেমনি উপজেলা সদর থেকে তিন থেকে চার কিলোমিটার দূরে পায়রা নদী তীরবর্তী “দত্তের চর” এত সুন্দর তা হয় তো অনেকেই জানে না। তাই এ সংগঠনের সদস্যরা দূরে কোথাও না গিয়ে বাড়ির কাছেই সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে টাই চয়েস করেছেন। যেখানে প্রকৃতি, পাখির কলতান। এর প্রাকৃতিক পরিবেশ সবসময় প্রকৃতিপ্রেমী মানুষদের আকর্ষণ করে। ভ্রমণপিপাসুরা প্রতি দিনই  এখানে ঘুরতে আসেন। যে কেউ সহজেই নদীর তীরে মোটরসাইকেল কিংবা বড় গাড়ি নিয়েও আসতে পারেন।

‎আমাদের এ কমিটির পরিচিত সভা ও বনভোজনের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাস্তবিক জ্ঞান অর্জন, এলাকা সম্পর্কে জানা ও চিত্তবিনোদন। পায়রা নদীর তীরবর্তী এখানকার অধিকাংশ মানুষ জেলে। মাছ শিকারই তাদের প্রধান পেশা। বনভোজন স্পষ্ট থেকে খানিকটা পূর্ব দিকে নদীর তীরে দেখা গেছে অনেকগুলো মাছ আহরণের নৌকা বা ট্রলার। এই চর বর্ষা মৌসুমে পানিতে প্লাবিত হয়। যাতে জেলেদের মাছ আহরণ করতে পারেন।

‎ “মির্জাগঞ্জ ফাউন্ডেশন” এর নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভা ও বনভোজন অনুষ্ঠান করার জন্য ফাউন্ডেশনের সদস্যরা এই পায়রা নদীর দত্তের চরকে বেছে নেয়। আমিও ছিলাম কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে উপস্থিত ছিলাম। এ ফাউন্ডেশনের প্রায় একশত সদস্যের একটি টিম মঙ্গলবার (১৮ ফ্রব্রুয়ারী) সকাল আটটায় উপজেলা সদরস্থ সুবিদখালী কলেজ রোড এলাকা থেকে রওনা হয়ে বনভোজন স্থলে পৌঁছায়। যে যার মতো করে দশ থেকে পনেরো মিনিটে মধ্যে পৌঁছে শুরু হয় নাস্তা ও টিশার্ট বিতরণ। সকাল এগারোটায় শুরু হয় আলোচনা ও পরিচিত পর্ব। এরপরে একে একে ছোট শিশুদের দৌড় প্রতিযোগীতা, মহিলাদের বল পাসিং খেলা, চোখ বেঁধে কপালে টিপ পড়ানো, হাড়ি ভাংগা, মজার বিষয় হচ্ছে পায়রা নদীতে এই স্রোতের মধ্যে হাঁস ধরা। তবে কোন বিপদ ছাড়াই অনেক সময় ব্যয় করে হাঁস ধরতে সক্ষম হয় সদস্যরা। যারা পায়রা নদীতে হাঁস ধরতে সাহসীকতা দেখিয়েছেন। এরপরে দুপুর আড়াইটার দিকে শুরু হয় খানা-পিনা। সূর্য যখন আস্তে আস্তে পশ্চিম দিকে হেলে পড়ছে তখনই শুরু হয় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ পর্ব। তবে বাদ যায়নি কমিটির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও। তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় মহামূল্যবান সম্মাননা স্বারক।

‎”আমরাই গড়বো আগামীর মির্জাগঞ্জ “এ প্রতিপাদ্যেকে সামনে রেখে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ” মির্জাগঞ্জ ফাউন্ডেশন” এর নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভা ও বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল দশটায় অনুষ্ঠিত কমিটির পরিচিতি সভায় অতিরিক্ত করেন সভাপতিত্ব করেন মির্জাগঞ্জ ফাউন্ডেশন এর সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মিয়াদুল ইসলাম মাহিন (হাদি)। কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ অয়ালী উল্লাহ এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, মির্জাগঞ্জ ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা সহকারী অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন, মোঃ কামরুজ্জামান বাঁধন, উত্তম গোলদার, ডাঃ জহিরুল ইসলাম, এম.ইউ.খান, মির্জাগঞ্জ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান হাওলাদার,  সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফিরোজা আলম জুয়েল ও সহ- সম্পাদক মোঃ রাব্বি মল্লিকসহ অতিথিবৃন্দ। অনুষ্ঠানের শুরুতেই মির্জাগঞ্জ ফাউন্ডেশন এর কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ সংগঠনটি একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। ২০১৯ সালের প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ সংগঠনের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ১৪০০ জন রোগীকে বিনামূল্যে রক্ত দিয়ে সেবা দেওয়া হয়েছে। কভিট-১৯ এর সময় বিনামূল্যে সেবা, বিভিন্ন সময়ে দুঃস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র, পঙ্গু রোগীদের হুইল চেয়ার বিতরণ, ঘূর্ণিঝড়ের সময় বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষদের সচেতন করা সহ নানা সামাজিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে এ সংগঠনের মাধ্যমে।

‎মির্জাগঞ্জ ফাউন্ডেশন এর সাবেক সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান বাঁধন তার বক্তব্যে বলেন, ‘এই ফাউন্ডেশনটি নিঃস্বার্থভাবে মানবতার সেবায় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আমরা এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সামাজিকমূলক কাজ করে যাচ্ছি।’

‎সমাজে পিছিয়ে পড়া হতদরিদ্রদের সচেতন করতে এবং আর্থসামাজিকভাবে সচ্ছল করতে সংগঠন কাজ শুরু করা হয়। সবার সার্বিক সহযোগিতায় সমাজের হতদরিদ্র মানুষকে প্রতিষ্ঠা করা এবং তাদের কর্মক্ষেত্র তৈরি করাই সংগঠনের কাজ। আজ আমি সভাপতি নেই, কিন্তু উপদেষ্টা হয়ে আছি  তার মানে এই নয় যে আমাদের কার্যক্রম থেমে যাবে। এই সংগঠনের কার্যক্রম গতিশীল করতে সমাজের তরুণদের অগ্রধিকার দেয়া হয়েছে। তাই এই নতুন কমিটির মাধ্যমে মির্জাগঞ্জ ফাউন্ডেশনের  কার্যক্রম শুধু মির্জাগঞ্জই নয়, এটা জেলা থেকে বিভাগীয় শহর এমনকি কেন্দ্রীয় পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবো বলে আমার বিশ্বাস। তাই সকল সদস্যকে একযোগে কাজ করতে হবে এবং এই সংগঠনটি সমাজের কাছে পরিচিতি লাভ করতে পারে।

‎ইউজি/কেএস

নিউজটি শেয়ার করুন

মির্জাগঞ্জ ফাউন্ডেশন” এর পরিচিতি সভা ও বনভোজন অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় : ০৩:২১:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

অনেকে বলেন “মন যার সুন্দর তার নাকি ঘরও সুন্দর হয়”। তেমনি উপজেলা সদর থেকে তিন থেকে চার কিলোমিটার দূরে পায়রা নদী তীরবর্তী “দত্তের চর” এত সুন্দর তা হয় তো অনেকেই জানে না। তাই এ সংগঠনের সদস্যরা দূরে কোথাও না গিয়ে বাড়ির কাছেই সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে টাই চয়েস করেছেন। যেখানে প্রকৃতি, পাখির কলতান। এর প্রাকৃতিক পরিবেশ সবসময় প্রকৃতিপ্রেমী মানুষদের আকর্ষণ করে। ভ্রমণপিপাসুরা প্রতি দিনই  এখানে ঘুরতে আসেন। যে কেউ সহজেই নদীর তীরে মোটরসাইকেল কিংবা বড় গাড়ি নিয়েও আসতে পারেন।

‎আমাদের এ কমিটির পরিচিত সভা ও বনভোজনের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাস্তবিক জ্ঞান অর্জন, এলাকা সম্পর্কে জানা ও চিত্তবিনোদন। পায়রা নদীর তীরবর্তী এখানকার অধিকাংশ মানুষ জেলে। মাছ শিকারই তাদের প্রধান পেশা। বনভোজন স্পষ্ট থেকে খানিকটা পূর্ব দিকে নদীর তীরে দেখা গেছে অনেকগুলো মাছ আহরণের নৌকা বা ট্রলার। এই চর বর্ষা মৌসুমে পানিতে প্লাবিত হয়। যাতে জেলেদের মাছ আহরণ করতে পারেন।

‎ “মির্জাগঞ্জ ফাউন্ডেশন” এর নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভা ও বনভোজন অনুষ্ঠান করার জন্য ফাউন্ডেশনের সদস্যরা এই পায়রা নদীর দত্তের চরকে বেছে নেয়। আমিও ছিলাম কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে উপস্থিত ছিলাম। এ ফাউন্ডেশনের প্রায় একশত সদস্যের একটি টিম মঙ্গলবার (১৮ ফ্রব্রুয়ারী) সকাল আটটায় উপজেলা সদরস্থ সুবিদখালী কলেজ রোড এলাকা থেকে রওনা হয়ে বনভোজন স্থলে পৌঁছায়। যে যার মতো করে দশ থেকে পনেরো মিনিটে মধ্যে পৌঁছে শুরু হয় নাস্তা ও টিশার্ট বিতরণ। সকাল এগারোটায় শুরু হয় আলোচনা ও পরিচিত পর্ব। এরপরে একে একে ছোট শিশুদের দৌড় প্রতিযোগীতা, মহিলাদের বল পাসিং খেলা, চোখ বেঁধে কপালে টিপ পড়ানো, হাড়ি ভাংগা, মজার বিষয় হচ্ছে পায়রা নদীতে এই স্রোতের মধ্যে হাঁস ধরা। তবে কোন বিপদ ছাড়াই অনেক সময় ব্যয় করে হাঁস ধরতে সক্ষম হয় সদস্যরা। যারা পায়রা নদীতে হাঁস ধরতে সাহসীকতা দেখিয়েছেন। এরপরে দুপুর আড়াইটার দিকে শুরু হয় খানা-পিনা। সূর্য যখন আস্তে আস্তে পশ্চিম দিকে হেলে পড়ছে তখনই শুরু হয় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ পর্ব। তবে বাদ যায়নি কমিটির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও। তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় মহামূল্যবান সম্মাননা স্বারক।

‎”আমরাই গড়বো আগামীর মির্জাগঞ্জ “এ প্রতিপাদ্যেকে সামনে রেখে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ” মির্জাগঞ্জ ফাউন্ডেশন” এর নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভা ও বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল দশটায় অনুষ্ঠিত কমিটির পরিচিতি সভায় অতিরিক্ত করেন সভাপতিত্ব করেন মির্জাগঞ্জ ফাউন্ডেশন এর সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মিয়াদুল ইসলাম মাহিন (হাদি)। কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ অয়ালী উল্লাহ এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, মির্জাগঞ্জ ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা সহকারী অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন, মোঃ কামরুজ্জামান বাঁধন, উত্তম গোলদার, ডাঃ জহিরুল ইসলাম, এম.ইউ.খান, মির্জাগঞ্জ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান হাওলাদার,  সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফিরোজা আলম জুয়েল ও সহ- সম্পাদক মোঃ রাব্বি মল্লিকসহ অতিথিবৃন্দ। অনুষ্ঠানের শুরুতেই মির্জাগঞ্জ ফাউন্ডেশন এর কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ সংগঠনটি একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। ২০১৯ সালের প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ সংগঠনের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ১৪০০ জন রোগীকে বিনামূল্যে রক্ত দিয়ে সেবা দেওয়া হয়েছে। কভিট-১৯ এর সময় বিনামূল্যে সেবা, বিভিন্ন সময়ে দুঃস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র, পঙ্গু রোগীদের হুইল চেয়ার বিতরণ, ঘূর্ণিঝড়ের সময় বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষদের সচেতন করা সহ নানা সামাজিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে এ সংগঠনের মাধ্যমে।

‎মির্জাগঞ্জ ফাউন্ডেশন এর সাবেক সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান বাঁধন তার বক্তব্যে বলেন, ‘এই ফাউন্ডেশনটি নিঃস্বার্থভাবে মানবতার সেবায় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আমরা এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সামাজিকমূলক কাজ করে যাচ্ছি।’

‎সমাজে পিছিয়ে পড়া হতদরিদ্রদের সচেতন করতে এবং আর্থসামাজিকভাবে সচ্ছল করতে সংগঠন কাজ শুরু করা হয়। সবার সার্বিক সহযোগিতায় সমাজের হতদরিদ্র মানুষকে প্রতিষ্ঠা করা এবং তাদের কর্মক্ষেত্র তৈরি করাই সংগঠনের কাজ। আজ আমি সভাপতি নেই, কিন্তু উপদেষ্টা হয়ে আছি  তার মানে এই নয় যে আমাদের কার্যক্রম থেমে যাবে। এই সংগঠনের কার্যক্রম গতিশীল করতে সমাজের তরুণদের অগ্রধিকার দেয়া হয়েছে। তাই এই নতুন কমিটির মাধ্যমে মির্জাগঞ্জ ফাউন্ডেশনের  কার্যক্রম শুধু মির্জাগঞ্জই নয়, এটা জেলা থেকে বিভাগীয় শহর এমনকি কেন্দ্রীয় পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবো বলে আমার বিশ্বাস। তাই সকল সদস্যকে একযোগে কাজ করতে হবে এবং এই সংগঠনটি সমাজের কাছে পরিচিতি লাভ করতে পারে।

‎ইউজি/কেএস