সন্ধ্যায় বাস চলাচল স্বাভাবিক, স্বস্তি ফিরল পর্যটকদের

- আপডেট সময় : ০৯:৩১:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৪৩২ বার পড়া হয়েছে
হামলা-ভাঙচুর, ধর্মঘট ও অবরোধের পর অবশেষে স্বাভাবিক হলো বাস চলাচল। বুধবার সন্ধ্যায় বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ছাত্র প্রতিনিধি, বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের বৈঠক শেষে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়। এর ফলে বরিশাল, পটুয়াখালী, কুয়াকাটা ও ঢাকাসহ সকল রুটে বাস চলাচল শুরু হয়। এতে কুয়াকাটায় আটকা পড়া পর্যটকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে।
এর আগে, নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে বরিশাল রূপাতলী বাস টার্মিনাল থেকে ১৫টি রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করে পরিবহন-মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। বুধবার সকাল থেকে বরিশালে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। কুয়াকাটা থেকে বরিশাল ও ঢাকামুখী পর্যটকরাও আটকা পড়েন, ফলে তাদের বিকল্প ব্যবস্থায় অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হয়।
পরিবহন ধর্মঘটের সূত্রপাত হয় মঙ্গলবার বিকেলে, যখন বরিশালের রূপাতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের এক ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগ ওঠে বাস শ্রমিকদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভের একপর্যায়ে একটি বাসে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে। এর জেরে শ্রমিকরা নিরাপত্তার দাবিতে ১৫টি রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেন। এতে সাধারণ যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন।
ধর্মঘট চলাকালে বরিশাল, পটুয়াখালী ও কুয়াকাটা থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। ফলে কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা হাজারো পর্যটক আটকা পড়েন। তারা গন্তব্যে ফিরতে ব্যর্থ হয়ে হোটেলগুলোর সামনে বাসের অপেক্ষায় থাকেন। কেউ কেউ অতিরিক্ত ভাড়া গুনে ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল কিংবা সিএনজি অটোরিকশায় বিকল্প উপায়ে রওনা দেন।
এ অবস্থায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বুধবার সন্ধ্যায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, শিক্ষার্থী ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ নেবে এবং শ্রমিকদেরও নিরাপত্তা দেবে। এর পরপরই ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা আসে এবং রাত থেকেই বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ধর্মঘট প্রত্যাহারের পর পর্যটকদের মধ্যে স্বস্তি নেমে এসেছে। কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে আসা এক পর্যটক বলেন, ‘ভ্রমণের সময় এমন ধর্মঘটে আটকা পড়ার অভিজ্ঞতা খুবই কষ্টকর ছিল। অবশেষে বাস চলাচল শুরু হওয়ায় আমরা নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারব।’