অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘটে ভোগান্তিতে পর্যটকসহ সাধারণ মানুষ

- আপডেট সময় : ০৩:৪৯:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৪৪০ বার পড়া হয়েছে
কুয়াকাটা-ঢাকা মহাসড়কে চলছে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস ধর্মঘট। বুধবার (২৯ জানুয়ারী) সকাল থেকে অভ্যন্তরীন ও দুরপাল্লাসহ সকল রুটের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বরিশালে বাস ভাংচুরের প্রতিবাদে এ ধর্মঘটের ডাক দেয় পটুয়াখালী-বরিশাল-ঢাকা রুটের বাস মালিক সমিতি। সকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন কুয়াকাটায় আগত পর্যটকসহ দূরপাল্লার যাত্রীরা। এছাড়া প্রতিদিন যাতায়াতের জন্য নির্ভরশীল অফিসগামী কর্মজীবী মানুষ ও শিক্ষার্থীরাও পড়েছেন বিপাকে।
কুয়াকাটা বাসস্ট্যান্ডে দাড়িয়ে থাকা পর্যটক কায়সার রায়ান ও তানজিলা দম্পত্তি বলেন, গতকাল সকালে খুলনা থেকে কুয়াকাটায় এসেছি। দু’দিন থাকার ইচ্ছে ছিলো। কিন্তু রাতে খবর পেয়েছি আমাদের এক আত্মীয় অনেক অসুস্থ। তাই সকালে হোটেল থেকে বাসস্ট্যান্ডে এসে দাড়িয়েছি। এখন পর্যন্ত একটি বাসও ছাড়েনি। এখানে কাউন্টারে যারা রয়েছে তারাও নিশ্চিত বলতে পারছে না কখন বাস ছাড়বে।
অপর এক পর্যটক হাসান মাহমুদ বলেন, দুই দিনের জন্য কুয়াকাটা ঘুরতে এসেছি। আজ সকাল সাড়ে দশটায় কুয়াকাটা বাসস্ট্যান্ডে এসে জানতে পারি ধর্মঘট চলছে। কখনো ধর্মঘট ছাড়বে তার কোন নিশ্চয়তা পাচ্ছিনা। তাই হোটেলে ফিরে যাচ্ছি, রুম নিয়ে অপেক্ষা করব। ধর্মঘট ছাড়লেই চলে যাবে।
পটুয়াখালী-কুয়াকাটা রুটের হাসান এন্টারপ্রাইজ নামের বাসের চালক মিজানুর রহমান বিডি কাগজকে বলেন, রাস্তায় কোন ধরনের কথার কাটাকাটি হলেই ছাত্ররা গাড়ি ভাঙচুর সংযোগ করে। বাস কর্মচারীদের উপর হামলা চালায়। আমাদের জান মালের কোন নিরাপত্তা নেই। আমরা চাই যে কোন সমস্যা সৃষ্টি হলে তার টেবিলে সমাধান হোক, রাস্তায় ভাঙচুর ও হামলার মধ্যে দিয়ে নয়।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাসির খন্দকার গণমাধ্যমকে বলেন, গতকাল বিভাগীয় পর্যায়ের বাস মালিক সমিতির সঙ্গে প্রশাসনের বৈঠক হয়েছে। কিন্তু কোন সমাধান হয়নি। বিভাগীয় পর্যায়ে নির্দেশনা পেলেই আমরা বাস চলাচল শুরু করবো।