সংবাদ শিরোনাম
বোরো চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন উপকুলের কৃষকরা

কলাপাড়া প্রতিনিধি
- আপডেট সময় : ০২:৪৭:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৪২৪ বার পড়া হয়েছে
উপকুলের কৃষকেরা বোরো আবাদের দিকে ঝুঁকছেন তাই ব্যস্ত সময় পার করছেন । গত দুই বছরে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও দাম ভালো পাওয়ায় ধানের চাষাবাদ বাড়ছে।তাই এবার কোনো জমি অনাবাদি না রেখে বোরো ধান আবাদ করেছেন কৃষকরা। সরকার কৃষকের দিকে তাকিয়ে সামনে খরচ অনুযায়ী ধানের দাম আরও বাড়িয়ে দিলে কৃষক বাঁচবে। কৃষক বাঁচলে দেশে খাদ্য সংকট না হওয়ার আশা এখানকার চাষিদের। এবং লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আবাদের আশা করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
কলাপাড়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলার দুইটি পৌরসভা ও ১১ টি ইউনিয়নে ২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। যা গত বছরের চেয়ে চার গুণ বেশি।ইতিমধ্যে প্রায় ১ হাজার ৬ শত হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ করা হয়েছে। বাকি জমিতে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আবাদ শেষ হওয়ার আশা করে উপজেলা কৃষি বিভাগ। দুই বছর আগেও কৃষকেরা লোকসানের কারণে ধান আবাদ বাদ দিয়ে জমিতে অন্য ফসল করতেন। এ বছর আমন ধানে লাভ হওয়ায় অন্য ফসল বাদ দিয়ে আবারও বোরো ধান চাষে আগ্রহী হচ্ছেন চাষিরা। যেখানেই মিষ্টি পানির ব্যবস্থা আছে সেখানেই বোরো ধান চাষে আগ্রহী হচ্ছে কৃষকরা।
লতাচাপলী ইউনিয়নের আছালত পাড়া গ্রামের কৃষক রিয়াজ বলেন, এবার ধানের দাম ভালো পাওয়া গেছে। এতে চাষিরা খুবই খুশি। সার-কীটনাশকের দামও ছিল নাগালের মধ্যে। দাম ভালো পাওয়ায় বোরো ধান চাষে আগ্রহ বাড়ছে। আগে ধান চাষ করে লোকসান হতো। ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত ছিল চাষিরা। কিন্তু গত দুই বছর ধরে প্রতি মণ ধানে তিন-চার শ টাকা লাভ হচ্ছে। সামনে ধানের দাম এমন থাকলে লোকসান না হওয়ার আশা করেন তিনি।
কুয়াকাটার কৃষক জাহাঙ্গীর বলেন, ‘গত বছর এক একর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করি। দাম ভালো পেয়েছি। তাই চলতি বছর দুই একর জমিতে বোরো আবাদ করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এখন জমি প্রস্তুত করার কাজ চলছে।
কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন বলেন, আগে দাম কম পাওয়ায় কৃষকেরা ধান বাদ দিয়ে সূর্যমুখী ফসলের চাষ করত। এ বছরে প্রযুক্তিগত সুবিধার পাশাপাশি আমন ধানের দাম ভালো পাওয়ায় বোরো ধানের চাষাবাদ বাড়ছে। গতবছরের চেয়ে এ বছর বোরো ধানের চাষাবাদ চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবার বেশি আবাদের আশা করছেন তিনি।