বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ রাজধানীর প্রাইম ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের ছাত্র মো. বাকি বিল্লাহ’র (২৪) উপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মহিপুর থানা শাখা বিএনপি।

আজ রবিবার (১২ জানুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে পরিবারের খোঁজ খবর নেন থানা বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ। এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবী জানান।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে ঢাকা থেকে কলেজ ছুটিতে বাড়িতে আসেন বাকি বিল্লাহ। বাড়িতে এসে প্রতিবেশীর হামলার শিকার হন তিনি। গত বুধবার (৮ জানুয়ারি) প্রতিবেশীর কবুতরের খাঁচা নিখোঁজকে কেন্দ্র করে তাকে বেধড়ক মারধর করেন।

এসময় তার বাম হাতে কুপিয়েছেন প্রতিবেশী হুমায়ুন, জাহানারা ও ফেরদৌস গংরা। এ সময় গুরুত্বর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে-ই বাংলা হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তিনি এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে।

জানা যায়, গত ১৮ জুলাই দেশব্যাপী যখন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুরো দেশ চাঙা হয়ে ওঠে, তখন বাকি বিল্লাহ ঢাকার রামপুরায় অবস্থান করছিলেন। সহপাঠীদের সঙ্গে তিনিও নেমে পড়েন সেই আন্দোলনে। আন্দোলনে বাম হাত এবং পায়ে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। তিনি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. ইমাম হোসেনের বড় ছেলে।

এসময় মহিপুর থানা বিএনপি সভাপতি আ: জলিল হাওলাদার, মহিপুর সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো: মিজানুর রহমান হাওলাদার, থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক তানজিল আলম, ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোফাচ্ছেল হক হিরোসহ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

থানা বিএনপি’র সভাপতি আঃ জলিল হাওলাদার বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার একজন যোদ্ধার উপর এমন বর্বর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হয়।

এ বিষয়ে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: তরিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।