পটুয়াখালীর মহিপুরে স্বামীর ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে প্রেমিকার হাত ধরে উধাও হয়েছে সুমাইয়া (৩১) নামের এক গৃহবধূ।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে মহিপুর থানার ৩নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) এ ঘটনায় স্বামী বনি-আমিন হাওলাদার বাদী হয়ে স্ত্রী’র প্রেমিক জাহাঙ্গীর ও স্ত্রীকে বিবাদী করে মহিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৪ বছর পূর্বে মহিপুর সদর ইউনিয়নের সুধীরপুর গ্রামের এছাহাক জোমাদ্দারের মেয়ে সুমাইয়া বেগমের সাথে একই ইউনিয়নের বনি আমিন হাওলাদারের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক বছর তিনি প্রবাসে চলে যান। প্রবাস থেকে বিভিন্ন সময় স্ত্রী’র নামে টাকা পাঠাতেন বনি আমিন। স্বামী বিদেশে থাকা অবস্থায় মহিপুর উপ-স্বাস্হ্য কেন্দ্রের পাশে অবস্থিত গ্রীন লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে (ল্যাব) কর্মরত টেকনোলোজিস্ট জাহাঙ্গীর আলম (৩২) নামের এক যুবকের সঙ্গে তার স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে বনি আমিন দেশে চলে আসেন। সেই সুযোগে তার স্ত্রী বুধবার (৮ জানুয়ারী) বিকেল আনুমানিক ৩ টার দিকে স্বামীর নগদ ৯ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা ও গলার চেইন, কানের দুল, হাতের বালা সহ প্রায় ৯ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার এবং তার ১২ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। এ বিষয়টি আজ (শুক্রবার ১০ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্নরকম পোস্টের মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। কেউ কেউ তাদের ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মহিপুরে গ্রীন লাইফ ডায়াগনস্টিক ল্যাব’র টেকনোলজিস্ট জাহাঙ্গীর আলম প্রেমিকার মাকে মা ডেকে সম্পর্কের শুরু করেন। সম্পর্কের খাতিরে বাসায় আসা যাওয়া শুরু করেন জাহাঙ্গীর। আসা যাওয়ার এক পর্যায়ে প্রবাসী বনি আমিনের স্ত্রী (মায়ের মেয়ে) এক সন্তানের জননী সুমাইয়া আক্তারের সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে যান জাহাঙ্গীর। ধীরে ধীরে সম্পর্ক গভীর হলে গত ৮ ডিসেম্বর বিকেলে স্বামীর টাকা পয়সা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে জাহাঙ্গীরের সাথে পালিয়ে যান। স্বামী বনি আমিন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শেষে না পেয়ে মহিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বনি আমিন বলেন, আমি দীর্ঘ ১১ বছর প্রবাসে ছিলাম সেই সুবাধে আমার সব টাকা পয়সা এবং স্বর্ণালংকার আত্মসাৎ করে আমার স্ত্রী তার পরকীয়া প্রেমিকের সাথে পালিয়েছেন। আমি আমার টাকা পয়সা এবং মেয়েকে ফেরত চাই।

এ বিষয়ে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: তরিকুল ইসলাম বলেন, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিবাদীদের মোবাইল নম্বর ট্রাকিং ও সংশ্লিষ্ট থানায় যোগাযোগ করে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।