বাউফলে পদত্যাগে বাধ্য করতে প্রধান শিক্ষিকাকে লাঞ্ছিত

- আপডেট সময় : ০৮:০৯:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৪০২ বার পড়া হয়েছে
পটুয়াখালীর বাউফলে পদত্যাগে বাধ্য করতে এক প্রধান শিক্ষিকাকে শারিরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই শিক্ষিকার নাম মোসা. পারভীন বেগম (৫৪)। তিনি উপজেলার বাজেমহল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। মঙ্গলবার রাতে প্রধান শিক্ষক আহত অবস্থায় বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ভর্তি হয়েছেন। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে ওই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের তিন সহকারী শিক্ষকসহ চারজনকে অভিযুক্ত করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষিকা। গত চার মাসে আগেও তাকে মারধর করে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয় অভিযুক্তরা।
ভুক্তভোগী শিক্ষিকা বলেন, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সংকর দাস, মুশফিকা জাহান নুপুরসহ একটি চক্র আমাকে প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে পদত্যাগ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। আমি পদত্যাগ না করায় তারা আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে এবং আমার পরিবারের সদস্যদের প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। গত ১৯ আগস্ট শিব সংকর, মুশফিকা জাহানসহ অজ্ঞাত ১৫/২০ জন দুষ্কৃতকারী আমার অফিস কক্ষে ঢুকে আমাকে পদত্যাগ করতে বলপ্রয়োগ করেন। আমাকে শারিরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে। পরে তারা জোর করে একাধিক সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে আমার অফিস কক্ষ তালা দেন। এ ঘটনার পর থেকে আমাকে শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে দেয় না। বিদ্যালয়ে যেতেও বাঁধা দেয়। গতকাল (৩১শে ডিসেম্বর) আমি বিদ্যালয়ে গেলে সহকারী শিক্ষক শিব সংকর, মুশফিকা জাহান, ফিরোজ আলম ও নৈশ প্রহরী শাহজাহান আমাকে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করেন। খবর পেয়ে আমার মেয়ে ও স্বামী এসে আমাকে রক্ষা করেন। এ সময় অভিযুক্তরা প্রধান শিক্ষকের কক্ষের আলমারী থেকে যাবতীয় কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয় বলেও অভিযোগে বলা হয়।
প্রধান শিক্ষিকা পারভীন বেগম আরও বলেন, আমাকে পদত্যাগ করতে চাপ সৃষ্টি করে। পদত্যাগ না করায় তারা আমাকে বার বার শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী শিক্ষক শিব সংকর বলেন, সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট । আমরা তাকে মারধর করিনি। তিনি (প্রধান শিক্ষক) হয়রানি করার জন্য আমাদেন বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসআই/কেএস