আমরা স্বাধীনতার ৯ মাস যুদ্ধ করেছি, কিন্তু স্যারেন্ডার হয়েছে ভারতের কাছে-এবিএম মোশাররফ হোসেন

- আপডেট সময় : ০৪:১৯:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৪০৪ বার পড়া হয়েছে
স্বাধীনতার ৯ মাস যুদ্ধ করেছি আমরা, কিন্তু চুক্তি-স্যারেন্ডার হয়েছে ভারতের কাছে। সেখানে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ দেখানো হয়েছে, বাংলাদেশের কোন নাম নাই। জেনারেল নিয়াজীর স্যারেন্ডার অনুষ্ঠানে আমাদের মুক্তিযোদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গনি ওসমানিকে সেখানে আসতে দেওয়া হয়নি। জেনারেল নিয়াজির অন্যতম একটা শর্ত ছিল যে আমরা ভারতের কাছে স্যারেন্ডার করেছি আমাদেরকে ভারতে নিয়ে যেতে হবে। যার জন্য দেখবেন ৯৩ হাজার যুদ্ধবন্দী ভারতে নিয়ে গেছে একজনও কিন্তু বাংলাদেশে রাখেনি। ৯৩ হাজার লোককে ভারতে ওই সময় ভরণপোষণে মারাত্মক সমস্যা দেখা দিয়েছিল। কোথায় তারা থাকবে-খাবে। জাতিসংঘের ঘোষণা অনুযায়ী তারা কিন্তু যুদ্ধবন্দী ছিল। নিয়াজি বলেছিলো, আমরা স্যারেন্ডার করবো তা হবে জাতিসংঘের অধীনে। জাতিসংঘের অনুমোদন হয়েছে তারপরই জেনারেল নিয়াজি আত্মসমর্পণ করেছে। তখন ভারতের যুদ্ধবন্দী ফেরত নেওয়ার জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছিল পাকিস্তানে।মঙ্গলবার রাত ৮টায় রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে মতবিনিময়ে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি’র প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারফ হোসেন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সাংবাদিক জাতির দর্পন। সততার সাথে লিখনের মাধ্যমে সমাজের অসঙ্গতি তুলে ধরতে হবে। তাহলে দেশ ও জাতির উন্নতি হবে।
মতবিনিময় সভার শুরুতে প্রধান অতিথিকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। কলাপাড়া রিপোর্টার্স ইউনিটির দপ্তর সম্পাদক মাওলানা ফোরকানুল ইসলামের কোরআন তেলোয়াতের মধ্যে দিয়ে ইউনিটির সভাপতি রাসেল কবির মুরাদের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেনের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি জাহিদ রিপন। এছাড়াও বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী হুমায়ুন সিকদার, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. জাফরুজ্জামান খোকন, পৌর বিএনপির সভাপতি গাজী মো. ফারুক।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শহীদ মাতুব্বর, সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম শিকদার, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান কাজল তালুকদার, তারেক আনাম সুমন, চম্পাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি প্রভাষক মাসুম বিল্লাহ ও ইউনিটির সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন।