ঢাকা ০৬:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ঘন ঘন বৈরী আবহাওয়ায় হুমকিতে মৎস্য পেশা Logo ঋণ বাতিল করে জলবায়ু অর্থায়নের দাবিতে কলাপাড়ায় মানববন্ধন সাইকেল শোভাযাত্রা Logo ‎মির্জাগঞ্জে দাদীর সাথে অভিমানে স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা Logo তিন বছর ধরে ঝুঁলে আছে আয়রণ ব্রিজ, ভোগান্তি চরমে  Logo মৎস্যজীবী দল নেতাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিএনপির মহাসচিবের নিন্দা Logo বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে, উত্তাল সমুদ্রে মাতোয়ারা হাজারো পর্যটক Logo মির্জাগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় বাদী শ্রীঘরে Logo কুয়াকাটায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ, ছাত্রলীগ নেতার ভাইয়ের আঘাতে জেলের মৃত্যু Logo মির্জাগঞ্জে ইউসিবি ব্যাংক পিএলসি’র ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন Logo মহিপুরে পাওনা টাকার জেরে জেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও রাখাইনদেন ঐক্যের বিকল্প নেই -ধর্ম উপদেষ্টা

কুয়াকাটা প্রতিনিধি।।
  • আপডেট সময় : ০৯:২২:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৪০৮ বার পড়া হয়েছে

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় জামি’য়া মহিউসসুন্নাহ কমপ্লেক্সে বিভিন্ন ধর্ম ও শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময়কালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা, বিশিষ্ট আলেম ও শিক্ষাবিদ আল্লামা ড. আ ফ ম খালিদ হোসাইন বলেছেন, “মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও রাখাইনদের ঐক্যের বিকল্প নেই।”

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে কুয়াকাটার জামি’য়া মহিউসসুন্নাহ মাদ্রাসার মিলনায়তনে ফি সাবীলিল্লাহ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ধর্ম উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি রাখাইন, হিন্দু, খ্রিস্টান ও সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফি সাবীলিল্লাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুফতি হাবিবুর রহমান মিসবাহ।

শীতবস্ত্র হাতে পেয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ আনন্দে উচ্ছ্বসিত। বৃদ্ধ আবুল হোসেন ও রাখাইন সম্প্রদায়ের মংখেন জানান, “প্রতিবছর ফি সাবীলিল্লাহ ফাউন্ডেশন থেকে আমাদের শীতের সময় এবং ঈদে উপহার দেওয়া হয়। আমরা খুবই আনন্দিত। যে হুজুর উপহার দিয়েছেন, তার জন্য সারাজীবন দোয়া করব।”

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসাইন তার বক্তব্যে বলেন, “৫ আগস্টের পর কিছু দুর্বৃত্ত বিভিন্ন জায়গায় লুট, হামলা ও ভাঙচুর করেছে। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর এ পর্যন্ত ৯২ জনকে গ্রেফতার করেছি এবং ৭০টিরও বেশি মামলা হয়েছে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।”

অনুষ্ঠানে মুফতি হাবিবুর রহমান মিসবাহ বলেন, “ফি সাবীলিল্লাহ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এলাকার শতাধিক গরিব ও অসহায় মুসলিম, হিন্দু, রাখাইনদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। মাননীয় ধর্ম উপদেষ্টা উপস্থিত থেকে নিজ হাতে এসব উপহার তুলে দিয়েছেন।”

এই আয়োজন এলাকার মানুষের জন্য নতুন আশার আলো জ্বালিয়েছে এবং সব ধর্মের মধ্যে সৌহার্দ্য ও ঐক্যের মেলবন্ধন আরও দৃঢ় করতে ভূমিকা রাখবে বলে মত প্রকাশ করেন আয়োজকরা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও রাখাইনদেন ঐক্যের বিকল্প নেই -ধর্ম উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ০৯:২২:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় জামি’য়া মহিউসসুন্নাহ কমপ্লেক্সে বিভিন্ন ধর্ম ও শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময়কালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা, বিশিষ্ট আলেম ও শিক্ষাবিদ আল্লামা ড. আ ফ ম খালিদ হোসাইন বলেছেন, “মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও রাখাইনদের ঐক্যের বিকল্প নেই।”

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে কুয়াকাটার জামি’য়া মহিউসসুন্নাহ মাদ্রাসার মিলনায়তনে ফি সাবীলিল্লাহ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ধর্ম উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি রাখাইন, হিন্দু, খ্রিস্টান ও সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফি সাবীলিল্লাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুফতি হাবিবুর রহমান মিসবাহ।

শীতবস্ত্র হাতে পেয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ আনন্দে উচ্ছ্বসিত। বৃদ্ধ আবুল হোসেন ও রাখাইন সম্প্রদায়ের মংখেন জানান, “প্রতিবছর ফি সাবীলিল্লাহ ফাউন্ডেশন থেকে আমাদের শীতের সময় এবং ঈদে উপহার দেওয়া হয়। আমরা খুবই আনন্দিত। যে হুজুর উপহার দিয়েছেন, তার জন্য সারাজীবন দোয়া করব।”

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসাইন তার বক্তব্যে বলেন, “৫ আগস্টের পর কিছু দুর্বৃত্ত বিভিন্ন জায়গায় লুট, হামলা ও ভাঙচুর করেছে। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর এ পর্যন্ত ৯২ জনকে গ্রেফতার করেছি এবং ৭০টিরও বেশি মামলা হয়েছে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।”

অনুষ্ঠানে মুফতি হাবিবুর রহমান মিসবাহ বলেন, “ফি সাবীলিল্লাহ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এলাকার শতাধিক গরিব ও অসহায় মুসলিম, হিন্দু, রাখাইনদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। মাননীয় ধর্ম উপদেষ্টা উপস্থিত থেকে নিজ হাতে এসব উপহার তুলে দিয়েছেন।”

এই আয়োজন এলাকার মানুষের জন্য নতুন আশার আলো জ্বালিয়েছে এবং সব ধর্মের মধ্যে সৌহার্দ্য ও ঐক্যের মেলবন্ধন আরও দৃঢ় করতে ভূমিকা রাখবে বলে মত প্রকাশ করেন আয়োজকরা।