ঢাকা ১০:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ঘন ঘন বৈরী আবহাওয়ায় হুমকিতে মৎস্য পেশা Logo ঋণ বাতিল করে জলবায়ু অর্থায়নের দাবিতে কলাপাড়ায় মানববন্ধন সাইকেল শোভাযাত্রা Logo ‎মির্জাগঞ্জে দাদীর সাথে অভিমানে স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা Logo তিন বছর ধরে ঝুঁলে আছে আয়রণ ব্রিজ, ভোগান্তি চরমে  Logo মৎস্যজীবী দল নেতাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিএনপির মহাসচিবের নিন্দা Logo বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে, উত্তাল সমুদ্রে মাতোয়ারা হাজারো পর্যটক Logo মির্জাগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় বাদী শ্রীঘরে Logo কুয়াকাটায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ, ছাত্রলীগ নেতার ভাইয়ের আঘাতে জেলের মৃত্যু Logo মির্জাগঞ্জে ইউসিবি ব্যাংক পিএলসি’র ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন Logo মহিপুরে পাওনা টাকার জেরে জেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

কুয়াকাটার সাবেক পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে বিএনপির সংবাদ সম্মেলন

কুয়াকাটা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৬:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৩৬০ বার পড়া হয়েছে

কুয়াকাটা পৌর বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গত ১০ ডিসেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার ও মানহানীর অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে পৌর বিএনপি। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে পৌর বিএনপির নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর সাবেক পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার জাতীয় পার্টি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করে বিএনপি নেতা কর্মীদের হয়রানি ও লুটপাট চালিয়ে এখন তিনি সুশীল সেজেছে।
জমির দালালী করে জেলে পেশা থেকে তিনি কোটিপতি হয়েছে। অবৈধ টাকার পাহাড় গড়েছে। তার বিরুদ্ধে পৌরসভার কাজ নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। যা দুদক তদন্ত করছে।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, কুয়াকাটা পৌর বিএনপি সিনিয়র সহ সভাপতি জসিম উদ্দিন বাবুল ভূইয়া বাদী হয়ে ফ্যাসিবাদদের দোসরদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। যা দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক হয়েছে।
এই মামলা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগে আনোয়ার হাওলাদার ও তার পরিবারের সদস্যরা বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস দেন। এতে পৌর বিএনপির নেতাকর্মীসহ দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি আনোয়ার হাওলাদারের সকল অপকর্ম তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বিএনপির নেতৃবৃন্দ জানান, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেনসহ নেতাকর্মীরা ঈদ পরবর্তী ভ্রমণে আসেন। এসময় কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আঃ বারেক মোল্লার নির্দেশে এবিএম মোশাররফ হোসেন, কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সভাপতি আঃ আজিজ মুসুল্লির উপর হামলা করেন। এতে এক ডজনেরও বেশি নেতাকর্মী আহত হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এ বিষয়ে থানায় মামলা করতে গেলে দলীয় প্রভাবের কারণে তখন তারা মামলা করতে পারেনি। ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর আমরা দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত ৯ ডিসেম্বর মামলা করা হয়।

এ মামলায় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আঃ বারেক মোল্লা, সাবেক পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার, পৌর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও কাউন্সলির আবুল হোসেন ফরাজি, শ্রমিক লীগ সভাপতি আব্বাস কাজী, যুবলীগ আহবায়ক ইসাহাক শেখসহ ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১২০ জন অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

এনিয়ে কুয়াকাটার সাবেক পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদারসহ তার পরিবারের সদস্যরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্টাটাস দেন। ওই স্ট্যাটাসে তিনি এ মামলাকে মিথ্যা ও হয়রানি মুলক মামলা হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
পৌর মেয়রের এমন স্ট্যাটাসকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা সমালোচনার ঝড় তোলে। এরই প্রেক্ষিতে পৌর বিএনপি এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

এবিষয়ে কুয়াকাটা পৌরসভার সাবেক মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, ২০১৭ সালে তিনি আওয়ামী রাজনীতির সাথে জরিত ছিলেন না। ২০২০ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি আঃ বারেক মোল্লার নৌকা প্রতীকের বিপরীতে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে মেয়র নির্বাচিত হই। আমি মেয়র নির্বাচিত হবার পর বিএনপির নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ খুব শান্তিতে বসবাস করেছে। তার সাথে কোন ব্যক্তি কিংবা দলের কোন বিরোধ নেই।

তিনি দাবি করেন, রাজনৈতিকভাবে তাকে মাইনাস করতেই তার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। তিনি আরো অভিযোগ করেন, মামলার বাদীর ভাই পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনির আহমেদ ভূইয়া, তার দুই ছেলে সোহাগ, সবুজ এবং ভাতিজা ছিদ্দিক ভূঁইয়া আওয়ামী রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত। অথচ তাদের কাউকেই মামলার আসামী করা হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় জসিম উদ্দিন বাবুল ভাইদের ছত্র ছায়ায় ব্যবসা বাণিজ্য করেছে।

সাংবাদিক সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন, কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি জসিম উদ্দিন বাবুল, সহ সভাপতি আঃ মান্নান চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন ঘরামী, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান সোহেল, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফারুক, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিরন, ছাত্রদল সভাপতি জোবায়ের আহমেদ রিয়াজসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

কুয়াকাটার সাবেক পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে বিএনপির সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : ০৮:৪৬:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

কুয়াকাটা পৌর বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গত ১০ ডিসেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার ও মানহানীর অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে পৌর বিএনপি। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে পৌর বিএনপির নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর সাবেক পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার জাতীয় পার্টি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করে বিএনপি নেতা কর্মীদের হয়রানি ও লুটপাট চালিয়ে এখন তিনি সুশীল সেজেছে।
জমির দালালী করে জেলে পেশা থেকে তিনি কোটিপতি হয়েছে। অবৈধ টাকার পাহাড় গড়েছে। তার বিরুদ্ধে পৌরসভার কাজ নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। যা দুদক তদন্ত করছে।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, কুয়াকাটা পৌর বিএনপি সিনিয়র সহ সভাপতি জসিম উদ্দিন বাবুল ভূইয়া বাদী হয়ে ফ্যাসিবাদদের দোসরদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। যা দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক হয়েছে।
এই মামলা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগে আনোয়ার হাওলাদার ও তার পরিবারের সদস্যরা বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস দেন। এতে পৌর বিএনপির নেতাকর্মীসহ দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি আনোয়ার হাওলাদারের সকল অপকর্ম তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বিএনপির নেতৃবৃন্দ জানান, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেনসহ নেতাকর্মীরা ঈদ পরবর্তী ভ্রমণে আসেন। এসময় কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আঃ বারেক মোল্লার নির্দেশে এবিএম মোশাররফ হোসেন, কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সভাপতি আঃ আজিজ মুসুল্লির উপর হামলা করেন। এতে এক ডজনেরও বেশি নেতাকর্মী আহত হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এ বিষয়ে থানায় মামলা করতে গেলে দলীয় প্রভাবের কারণে তখন তারা মামলা করতে পারেনি। ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর আমরা দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত ৯ ডিসেম্বর মামলা করা হয়।

এ মামলায় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আঃ বারেক মোল্লা, সাবেক পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার, পৌর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও কাউন্সলির আবুল হোসেন ফরাজি, শ্রমিক লীগ সভাপতি আব্বাস কাজী, যুবলীগ আহবায়ক ইসাহাক শেখসহ ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১২০ জন অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

এনিয়ে কুয়াকাটার সাবেক পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদারসহ তার পরিবারের সদস্যরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্টাটাস দেন। ওই স্ট্যাটাসে তিনি এ মামলাকে মিথ্যা ও হয়রানি মুলক মামলা হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
পৌর মেয়রের এমন স্ট্যাটাসকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা সমালোচনার ঝড় তোলে। এরই প্রেক্ষিতে পৌর বিএনপি এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

এবিষয়ে কুয়াকাটা পৌরসভার সাবেক মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, ২০১৭ সালে তিনি আওয়ামী রাজনীতির সাথে জরিত ছিলেন না। ২০২০ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি আঃ বারেক মোল্লার নৌকা প্রতীকের বিপরীতে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে মেয়র নির্বাচিত হই। আমি মেয়র নির্বাচিত হবার পর বিএনপির নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ খুব শান্তিতে বসবাস করেছে। তার সাথে কোন ব্যক্তি কিংবা দলের কোন বিরোধ নেই।

তিনি দাবি করেন, রাজনৈতিকভাবে তাকে মাইনাস করতেই তার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। তিনি আরো অভিযোগ করেন, মামলার বাদীর ভাই পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনির আহমেদ ভূইয়া, তার দুই ছেলে সোহাগ, সবুজ এবং ভাতিজা ছিদ্দিক ভূঁইয়া আওয়ামী রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত। অথচ তাদের কাউকেই মামলার আসামী করা হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় জসিম উদ্দিন বাবুল ভাইদের ছত্র ছায়ায় ব্যবসা বাণিজ্য করেছে।

সাংবাদিক সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন, কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি জসিম উদ্দিন বাবুল, সহ সভাপতি আঃ মান্নান চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন ঘরামী, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান সোহেল, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফারুক, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিরন, ছাত্রদল সভাপতি জোবায়ের আহমেদ রিয়াজসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।