ঢাকা ১০:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ঘন ঘন বৈরী আবহাওয়ায় হুমকিতে মৎস্য পেশা Logo ঋণ বাতিল করে জলবায়ু অর্থায়নের দাবিতে কলাপাড়ায় মানববন্ধন সাইকেল শোভাযাত্রা Logo ‎মির্জাগঞ্জে দাদীর সাথে অভিমানে স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা Logo তিন বছর ধরে ঝুঁলে আছে আয়রণ ব্রিজ, ভোগান্তি চরমে  Logo মৎস্যজীবী দল নেতাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিএনপির মহাসচিবের নিন্দা Logo বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে, উত্তাল সমুদ্রে মাতোয়ারা হাজারো পর্যটক Logo মির্জাগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় বাদী শ্রীঘরে Logo কুয়াকাটায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ, ছাত্রলীগ নেতার ভাইয়ের আঘাতে জেলের মৃত্যু Logo মির্জাগঞ্জে ইউসিবি ব্যাংক পিএলসি’র ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন Logo মহিপুরে পাওনা টাকার জেরে জেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

শিববাড়িয়া নদীর দখল দূষণ বন্ধে উপকারভোগীদের নিয়ে সমন্বয় সভা 

কলাপাড়া প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৪:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৩৯৫ বার পড়া হয়েছে

শিববাড়িয়া নদীর দখল দূষণ এবং বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে উপকারভোগীদের সাথে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বেলা ১১ টায় কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) এ সভার আয়োজন করে।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম। পরিবেশকর্মী মেজবাহউদ্দিন মাননুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া প্রেসক্লাব সভাপতি মোঃ হুমায়ুন কবির।

শিববাড়িয়া নদীর সমস্যা ও বিরাজমান পরিস্থিতি বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেলা’র বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়কারী লিঙ্কন বায়েন।

এক সময়ে ১২০ মিটার প্রশস্ত শিববাড়িয়া নদীটি দখল দূষণে বর্তমানে ২০-৩০ মিটারে এসে নেমেছে। এ নদীর দুই তীরে আলীপুর ও মহিপুর মৎস্য বন্দরের কয়েকশ ব্যবসায়ী তাদের মৎস্য বর্জ্য নদীতে ফেলছে। এছাড়া নদীর দুই তীরে গড়ে উঠেছে শত শত পাকা স্থাপনা। এ কারণে নদীর প্রবেশ পথ সংকুচিত হয়ে যাওয়ায় নদীতে ভাটার সময় ট্রলার চলাচল করতে পারছে না। তাই এ নদীর দখল ও দূষণ বন্ধে সরকারি সহায়তা কামনা করেন নদী তীরের বাসিন্দা ও পরিবেশ কর্মীরা।

সভায় অংশগ্রহণকারী উপকারভোগীরা বলেন, এস রেকর্ড অনুযায়ী নদীর পাড় পরিমাপ করে সীমানা নির্ধারণের মাধ্যমে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদসহ নদী মোহনা খনন করে পানি প্রবাহ সচল রাখার আহবান জানান।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও রবিউল ইসলাম বলেন, নদীর উপকারভোগিরাই নদীর পার দখল করছে। পলিথিন ও বর্জ ফেলে পরিবেশ দূষণ করছে। এতে ক্ষতি উপকারভোগীদেরই। নদী ও খালে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকারের বিষয়ে তিনি বলেন, তিনি ৯ মাসে অর্ধশত বদ্ধ খালের বাঁধ কেটে পানি প্রবাহ সচল করেছেন।

এসময় তিনি নদী দখল রোধে অংশীজন ও সুধীজনদের নিয়ে একটি কমিটি করার আহবান জানান। কমিটি গঠন হলে এলাকা ভিত্তিক দখল দূষণ রোধে ওই কমিটি কাজ করবে। এতে দখল দূষণ হবে বলে তিনি জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

শিববাড়িয়া নদীর দখল দূষণ বন্ধে উপকারভোগীদের নিয়ে সমন্বয় সভা 

আপডেট সময় : ০৭:৩৪:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

শিববাড়িয়া নদীর দখল দূষণ এবং বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে উপকারভোগীদের সাথে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বেলা ১১ টায় কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) এ সভার আয়োজন করে।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম। পরিবেশকর্মী মেজবাহউদ্দিন মাননুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া প্রেসক্লাব সভাপতি মোঃ হুমায়ুন কবির।

শিববাড়িয়া নদীর সমস্যা ও বিরাজমান পরিস্থিতি বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেলা’র বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়কারী লিঙ্কন বায়েন।

এক সময়ে ১২০ মিটার প্রশস্ত শিববাড়িয়া নদীটি দখল দূষণে বর্তমানে ২০-৩০ মিটারে এসে নেমেছে। এ নদীর দুই তীরে আলীপুর ও মহিপুর মৎস্য বন্দরের কয়েকশ ব্যবসায়ী তাদের মৎস্য বর্জ্য নদীতে ফেলছে। এছাড়া নদীর দুই তীরে গড়ে উঠেছে শত শত পাকা স্থাপনা। এ কারণে নদীর প্রবেশ পথ সংকুচিত হয়ে যাওয়ায় নদীতে ভাটার সময় ট্রলার চলাচল করতে পারছে না। তাই এ নদীর দখল ও দূষণ বন্ধে সরকারি সহায়তা কামনা করেন নদী তীরের বাসিন্দা ও পরিবেশ কর্মীরা।

সভায় অংশগ্রহণকারী উপকারভোগীরা বলেন, এস রেকর্ড অনুযায়ী নদীর পাড় পরিমাপ করে সীমানা নির্ধারণের মাধ্যমে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদসহ নদী মোহনা খনন করে পানি প্রবাহ সচল রাখার আহবান জানান।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও রবিউল ইসলাম বলেন, নদীর উপকারভোগিরাই নদীর পার দখল করছে। পলিথিন ও বর্জ ফেলে পরিবেশ দূষণ করছে। এতে ক্ষতি উপকারভোগীদেরই। নদী ও খালে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকারের বিষয়ে তিনি বলেন, তিনি ৯ মাসে অর্ধশত বদ্ধ খালের বাঁধ কেটে পানি প্রবাহ সচল করেছেন।

এসময় তিনি নদী দখল রোধে অংশীজন ও সুধীজনদের নিয়ে একটি কমিটি করার আহবান জানান। কমিটি গঠন হলে এলাকা ভিত্তিক দখল দূষণ রোধে ওই কমিটি কাজ করবে। এতে দখল দূষণ হবে বলে তিনি জানান।