ঢাকা ১০:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ঘন ঘন বৈরী আবহাওয়ায় হুমকিতে মৎস্য পেশা Logo ঋণ বাতিল করে জলবায়ু অর্থায়নের দাবিতে কলাপাড়ায় মানববন্ধন সাইকেল শোভাযাত্রা Logo ‎মির্জাগঞ্জে দাদীর সাথে অভিমানে স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা Logo তিন বছর ধরে ঝুঁলে আছে আয়রণ ব্রিজ, ভোগান্তি চরমে  Logo মৎস্যজীবী দল নেতাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিএনপির মহাসচিবের নিন্দা Logo বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে, উত্তাল সমুদ্রে মাতোয়ারা হাজারো পর্যটক Logo মির্জাগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় বাদী শ্রীঘরে Logo কুয়াকাটায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ, ছাত্রলীগ নেতার ভাইয়ের আঘাতে জেলের মৃত্যু Logo মির্জাগঞ্জে ইউসিবি ব্যাংক পিএলসি’র ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন Logo মহিপুরে পাওনা টাকার জেরে জেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

গ্রামাঞ্চলে মানুষিক রোগীর মানবেতর জীবনযাপন

বাউফল প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৩:২৫:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৩৫০ বার পড়া হয়েছে

গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন রাস্তাঘাটে ছেড়া ময়লা জামা কাপড় পরিহিত কিংবা উলাঙ্গিত অবস্থায় মানুষিক রোগী দেখা গেছে।শারীরিকভাবে ভালো থাকলেও মানুষিক ভারসাম্যহীন। ঠিকমতো খাবার, পোশাক পরিচ্ছেদ নেই। নেই নাগরিক সেবা পাওয়ার অধিকার। যথাযথ চিকিৎসার অভাবে সুস্থ হয়ে উঠছে না। করছে মানবেতর জীবনযাপন।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বাউফল উপজেলার উপজেলার কালাইয়া, বাউফল, কনকদিয়া, বগা, নওমালা কালিশুরী বন্দরে ৩০ জন পাগল ঘুরে বেড়াচ্ছে। বেশির ভাগ কালাইয়া বগা, কালিশুরী বিলবিলাস বন্দরে ঘুরতে দেখা গেছে। যাদের পরনে ভালো কাপড় নেই। রাস্তার পাশে ঘুমিয়ে থাকে। কালাইয়া লঞ্চঘাট দেখা গেছে, ৫ ফুট বেশি লম্বার স্বাস্থ্যবান, ছেড়া প্যান্ড পড়া মুখে দাড়ি আছে। কারো কাছে খাবার চায় না। কেউ কিছু ইচ্ছে করে দিলে খায়। প্রায় ১০ বছর যাবৎ এখানে অবস্থান করছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছে।

কোথায় বাড়ি ঠিকানা তা কেউ বলতে পারেনি। বাজারের মধ্যে ২৩/২৪ বছর বয়সী এক নারী। দোকানে দোকানে সামনে ঘুরছে। মুখে আবল তাবল বলে বেড়াচ্ছে। খিদে পেলে দোকানদার কাছে খাবার চেয়ে খায়।

বাউফল কলেজ সামনে ৫৫ বয়সি এক নারী ঘুরে বেড়াচ্ছে। ছেড়া ময়লা কাপড় পড়ে থাকে। উপজেলার বিলবিলাস বাজারে মাঝ বয়সি এক নারী। পরনে সেলেয়ার কামিজ। ছেড়া পাটের চট দিয়ে পেছানো। সারদিন ডাক চিৎকার করে বেড়াচ্ছে। মাঝে মধ্যে ২/১ জন রুটি দিয়ে থাকে। সাড়ে তিন বছর এ বন্দরে অবস্থান করছে। উপজেলার গোসিংগা গ্রামে আ: ছালাম চৌকিদার। জন্মগতভাবে পাগল। তার পরিবারের সবাই এ রোগে ভুগছে।

জানাগেছে, মানুষিক বা পাগল এর জন্য সরকারি কোনো নিবন্ধন নেই। নেই ভোটার তালিকায় নাম। মানুষিক রোগীর চিকিৎসার জন্য উপজেলা পর্যায় কোনো ডাক্তার নেই। পাবনা শহরেসহ বিভাগীয় পর্যায় চিকিৎসা দেওয়া হলো ব্যয়বহুল। এ কারণে অনেকে শেষ পর্যন্ত চিকিৎসা নিতে পারে না। উপজেলায় পরিসংখ্যান বিভাগে মানুষিক রোগীর সংখ্যার কোনো তথ্য নেই।

পাগল সমন্ধে বিজ্ঞদের মতামত হচ্ছে, মানুষিক রোগী বৃদ্ধির কারণ হচ্ছে, পরিবারের বড় কোন শোকের কারণ ভারসাম্য হারিয়ে থাকে। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা করলেও এরা সম্পূর্ণ রুপে সুস্থ হয়ে উঠে না।

প্রত্যক্ষদর্শী মন্তব্য হচ্ছে,পাগল বেওয়ারিশ। মানুষিক রোগীর সেবা অধিকার নিশ্চিত করার জন্য কয়েকজন সুপারিশ হচ্ছে, মানুষিক (পাগল) রোগীর তালিকা তৈরি করে একজন অবিভাবক নির্ধারণ করে শর্তে সাপেক্ষে দেখাশুনার দায়িত্ব অর্পর করা। সরকারিভাবে এ অভিভাবককে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা। সকলের সচেতন থাকা প্রয়োজন। মানুষিক রোগীর সেবা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

নিউজটি শেয়ার করুন

গ্রামাঞ্চলে মানুষিক রোগীর মানবেতর জীবনযাপন

আপডেট সময় : ০৩:২৫:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪

গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন রাস্তাঘাটে ছেড়া ময়লা জামা কাপড় পরিহিত কিংবা উলাঙ্গিত অবস্থায় মানুষিক রোগী দেখা গেছে।শারীরিকভাবে ভালো থাকলেও মানুষিক ভারসাম্যহীন। ঠিকমতো খাবার, পোশাক পরিচ্ছেদ নেই। নেই নাগরিক সেবা পাওয়ার অধিকার। যথাযথ চিকিৎসার অভাবে সুস্থ হয়ে উঠছে না। করছে মানবেতর জীবনযাপন।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বাউফল উপজেলার উপজেলার কালাইয়া, বাউফল, কনকদিয়া, বগা, নওমালা কালিশুরী বন্দরে ৩০ জন পাগল ঘুরে বেড়াচ্ছে। বেশির ভাগ কালাইয়া বগা, কালিশুরী বিলবিলাস বন্দরে ঘুরতে দেখা গেছে। যাদের পরনে ভালো কাপড় নেই। রাস্তার পাশে ঘুমিয়ে থাকে। কালাইয়া লঞ্চঘাট দেখা গেছে, ৫ ফুট বেশি লম্বার স্বাস্থ্যবান, ছেড়া প্যান্ড পড়া মুখে দাড়ি আছে। কারো কাছে খাবার চায় না। কেউ কিছু ইচ্ছে করে দিলে খায়। প্রায় ১০ বছর যাবৎ এখানে অবস্থান করছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছে।

কোথায় বাড়ি ঠিকানা তা কেউ বলতে পারেনি। বাজারের মধ্যে ২৩/২৪ বছর বয়সী এক নারী। দোকানে দোকানে সামনে ঘুরছে। মুখে আবল তাবল বলে বেড়াচ্ছে। খিদে পেলে দোকানদার কাছে খাবার চেয়ে খায়।

বাউফল কলেজ সামনে ৫৫ বয়সি এক নারী ঘুরে বেড়াচ্ছে। ছেড়া ময়লা কাপড় পড়ে থাকে। উপজেলার বিলবিলাস বাজারে মাঝ বয়সি এক নারী। পরনে সেলেয়ার কামিজ। ছেড়া পাটের চট দিয়ে পেছানো। সারদিন ডাক চিৎকার করে বেড়াচ্ছে। মাঝে মধ্যে ২/১ জন রুটি দিয়ে থাকে। সাড়ে তিন বছর এ বন্দরে অবস্থান করছে। উপজেলার গোসিংগা গ্রামে আ: ছালাম চৌকিদার। জন্মগতভাবে পাগল। তার পরিবারের সবাই এ রোগে ভুগছে।

জানাগেছে, মানুষিক বা পাগল এর জন্য সরকারি কোনো নিবন্ধন নেই। নেই ভোটার তালিকায় নাম। মানুষিক রোগীর চিকিৎসার জন্য উপজেলা পর্যায় কোনো ডাক্তার নেই। পাবনা শহরেসহ বিভাগীয় পর্যায় চিকিৎসা দেওয়া হলো ব্যয়বহুল। এ কারণে অনেকে শেষ পর্যন্ত চিকিৎসা নিতে পারে না। উপজেলায় পরিসংখ্যান বিভাগে মানুষিক রোগীর সংখ্যার কোনো তথ্য নেই।

পাগল সমন্ধে বিজ্ঞদের মতামত হচ্ছে, মানুষিক রোগী বৃদ্ধির কারণ হচ্ছে, পরিবারের বড় কোন শোকের কারণ ভারসাম্য হারিয়ে থাকে। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা করলেও এরা সম্পূর্ণ রুপে সুস্থ হয়ে উঠে না।

প্রত্যক্ষদর্শী মন্তব্য হচ্ছে,পাগল বেওয়ারিশ। মানুষিক রোগীর সেবা অধিকার নিশ্চিত করার জন্য কয়েকজন সুপারিশ হচ্ছে, মানুষিক (পাগল) রোগীর তালিকা তৈরি করে একজন অবিভাবক নির্ধারণ করে শর্তে সাপেক্ষে দেখাশুনার দায়িত্ব অর্পর করা। সরকারিভাবে এ অভিভাবককে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা। সকলের সচেতন থাকা প্রয়োজন। মানুষিক রোগীর সেবা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।