ঢাকা ০৭:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ঘন ঘন বৈরী আবহাওয়ায় হুমকিতে মৎস্য পেশা Logo ঋণ বাতিল করে জলবায়ু অর্থায়নের দাবিতে কলাপাড়ায় মানববন্ধন সাইকেল শোভাযাত্রা Logo ‎মির্জাগঞ্জে দাদীর সাথে অভিমানে স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা Logo তিন বছর ধরে ঝুঁলে আছে আয়রণ ব্রিজ, ভোগান্তি চরমে  Logo মৎস্যজীবী দল নেতাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিএনপির মহাসচিবের নিন্দা Logo বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে, উত্তাল সমুদ্রে মাতোয়ারা হাজারো পর্যটক Logo মির্জাগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় বাদী শ্রীঘরে Logo কুয়াকাটায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ, ছাত্রলীগ নেতার ভাইয়ের আঘাতে জেলের মৃত্যু Logo মির্জাগঞ্জে ইউসিবি ব্যাংক পিএলসি’র ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন Logo মহিপুরে পাওনা টাকার জেরে জেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

আমনের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৩:০৮:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৬৫ বার পড়া হয়েছে
পটুয়াখালীর উপকূলে এবার আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসলে মাঠ জুড়ে সোনালী ধানে দুলছে হাজারো কৃষকের রঙিন স্বপ্ন। দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষা ও পরিশ্রমের ফল অবশেষে দেখতে পেয়েছেন কৃষকরা। ফলে কৃষকদের মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক।
কলাপাড়া উপজেলাটি প্রধানত উপকূলীয় এলাকা। যেখানে লবণাক্ততা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কৃষিকাজ অনেক সময় ঝুঁকির মধ্যে থাকে। এ বছর বর্ষা মৌসুমে যথাসময়ে বৃষ্টি থাকায় ভালো ফসল উৎপাদন হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, এবছর উপজেলায় আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ হাজার ৭০০ হেক্টর। ইতিমধ্যে ২৫ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদ শেষে অনেক জায়গায় ধান কাটা শুরু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ’রেমাল’ পরবর্তী কিছু প্রয়োজনে ২০২৩-২৪ কর্মসূচীর আওতায় উপকূলের ১ হাজার ৮ শ’ ৯০ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে জন প্রতি ৫ কেজি ধানবীজ ও ২০ কেজি রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে।
কৃষক শাহেদ আলী বলেন, এবার যে পরিমাণ ফলন হয়েছে, তা গত কয়েক বছরের চেয়ে অনেক বেশি। এই বাম্পার ফলন আমাদের জীবনমানের উন্নতি ঘটাবে এবং পরবর্তী মৌসুমে আরো বেশি আত্মবিশ্বাস নিয়ে চাষাবাদ করতে পারবো। আরেক কৃষক খলিল সিকদার বলেন, এবার ফসল অনেক ভাল হয়েছে । এখন ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত হলে কৃষকেরাই সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন বলেন, এবছর আবহাওয়া অনুকূলে ছিল এবং আমরা সময়মতো সঠিক পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করেছি। নতুন প্রযুক্তি এবং উন্নত জাতের বীজ ব্যবহারের ফলে এবার আমনের ফলন অনেক বেশি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এবছর কলাপাড়ার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ধান বিক্রি করে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ঘটাতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে। স্থানীয় বাজারে সোনালী আমন ধানের চাহিদা বেড়েছে, যা কৃষকদের জন্য একটি বড় সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আমনের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক

আপডেট সময় : ০৩:০৮:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
পটুয়াখালীর উপকূলে এবার আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসলে মাঠ জুড়ে সোনালী ধানে দুলছে হাজারো কৃষকের রঙিন স্বপ্ন। দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষা ও পরিশ্রমের ফল অবশেষে দেখতে পেয়েছেন কৃষকরা। ফলে কৃষকদের মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক।
কলাপাড়া উপজেলাটি প্রধানত উপকূলীয় এলাকা। যেখানে লবণাক্ততা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কৃষিকাজ অনেক সময় ঝুঁকির মধ্যে থাকে। এ বছর বর্ষা মৌসুমে যথাসময়ে বৃষ্টি থাকায় ভালো ফসল উৎপাদন হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, এবছর উপজেলায় আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ হাজার ৭০০ হেক্টর। ইতিমধ্যে ২৫ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদ শেষে অনেক জায়গায় ধান কাটা শুরু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ’রেমাল’ পরবর্তী কিছু প্রয়োজনে ২০২৩-২৪ কর্মসূচীর আওতায় উপকূলের ১ হাজার ৮ শ’ ৯০ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে জন প্রতি ৫ কেজি ধানবীজ ও ২০ কেজি রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে।
কৃষক শাহেদ আলী বলেন, এবার যে পরিমাণ ফলন হয়েছে, তা গত কয়েক বছরের চেয়ে অনেক বেশি। এই বাম্পার ফলন আমাদের জীবনমানের উন্নতি ঘটাবে এবং পরবর্তী মৌসুমে আরো বেশি আত্মবিশ্বাস নিয়ে চাষাবাদ করতে পারবো। আরেক কৃষক খলিল সিকদার বলেন, এবার ফসল অনেক ভাল হয়েছে । এখন ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত হলে কৃষকেরাই সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন বলেন, এবছর আবহাওয়া অনুকূলে ছিল এবং আমরা সময়মতো সঠিক পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করেছি। নতুন প্রযুক্তি এবং উন্নত জাতের বীজ ব্যবহারের ফলে এবার আমনের ফলন অনেক বেশি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এবছর কলাপাড়ার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ধান বিক্রি করে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ঘটাতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে। স্থানীয় বাজারে সোনালী আমন ধানের চাহিদা বেড়েছে, যা কৃষকদের জন্য একটি বড় সুযোগ সৃষ্টি করেছে।