ঢাকা ০৭:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ঘন ঘন বৈরী আবহাওয়ায় হুমকিতে মৎস্য পেশা Logo ঋণ বাতিল করে জলবায়ু অর্থায়নের দাবিতে কলাপাড়ায় মানববন্ধন সাইকেল শোভাযাত্রা Logo ‎মির্জাগঞ্জে দাদীর সাথে অভিমানে স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা Logo তিন বছর ধরে ঝুঁলে আছে আয়রণ ব্রিজ, ভোগান্তি চরমে  Logo মৎস্যজীবী দল নেতাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিএনপির মহাসচিবের নিন্দা Logo বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে, উত্তাল সমুদ্রে মাতোয়ারা হাজারো পর্যটক Logo মির্জাগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় বাদী শ্রীঘরে Logo কুয়াকাটায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ, ছাত্রলীগ নেতার ভাইয়ের আঘাতে জেলের মৃত্যু Logo মির্জাগঞ্জে ইউসিবি ব্যাংক পিএলসি’র ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন Logo মহিপুরে পাওনা টাকার জেরে জেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

শীতকালীন সবজিতে অস্বস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০২:৫০:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৮৭ বার পড়া হয়েছে

পটুয়াখালীর উপকূলের হাট বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজিতে সয়লাব হয়ে গেছে। তবুও সবজি কিনতে পারছেন না সাধারণ ক্রেতারা। ৭০ টাকা ৮০ টাকার নিচে নামছে না কোন সবজির দাম। ফলে চরম বেকায়দায় পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।

সবজির বাজারে গিয়ে দেখা যায়,  শীতকালীন নানা সবজিতে বাজারে সয়লাব হয়ে গেছে। থরে থরে টাটকা সবজি সাজিয়ে রাখা আছে।  ফুলকপি,বাঁধাকপি,লাউ, সিম, বেগুনসহ নানা সবজি দেখা গেছে খুচরা ও পাইকারি বাজারে। তবে তুলনামূলক ক্রেতাদের উপস্থিতি কম। কিছুদিন ধরে শীত পড়া শুরু হয়েছে। শীতকালীন সবজিও সব বাজারে উঠে গেছে।  কিন্তু কোন সবজির দামই কমতির দিকে নেই।
চাকুরীজীবী এক ক্রেতা বলেন, ৩০০ টাকার সবজি একদিনেই শেষ হয়ে যায়। আমরা সাধারণ মানুষ কি খেয়ে বাঁচব? চাল, পিয়াজ, আলুর দামও নাগালের বাইরে। দাম কমানোর ব্যবস্থা না হলে মানুষের কষ্টের শেষ থাকবে না।

অন্য আরেকজন ক্রেতা আল আমিন বলেন, ৫০০ টাকা দিয়ে সবজি আর মাছ ক্রয় করছি। যা দিয়ে ১  দিন পার হবে। মাসের ১৫ দিনেই বেতন শেষ হয়ে যায়। বাকী দিন ধারদেনা করে কাটাতে হয়।

খুচরা ব্যবসায়ী মো. আবু তালেব বলেন, আজ বেগুন ৭০ টাকা, করল্লা ৭০ টাকা,পাতাকপি ৬০ টাকা, ফুলকপি ৭০, লাউ ৩০টাকা, মিস্টিকুমড়া ৩৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা, সিম ৯০ টাকা, ঢেড়শ ৫০ টাকা, কাঁচাকলা ৪০ টাকা হালি ক্রয় করেছি। প্রতি আইটেমে যদি ১০ টাকা বাড়তি ধরি তাইলেই ক্রেতারা রাগ হয়ে যায়। আমাদের বেশি দাম দিয়ে ক্রয় করতে হয়। আমরা যদি ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা বেশি বিক্রি না করি তাহলে সংসার চলবে কি করে?

এ বিষয়ে পাইকারি ব্যবসায়ী মনজুরুল ইসলাম বলেন, শীতকালীন সবজি বাজারে উঠলেও দাম কমেনি। দেশের বিভিন্ন যায়গা থেকে ব্যবসায়ীরা এসে সবজি ক্রয় করে নেয়। চাহিদা বাড়ছে কিন্তু সে হিসেবে যোগান বাড়েনি। তাই শীতকালীন সবজির দাম চড়া।

সবজি উৎপাদনকারী মো. বাবুল মিয়া বলেন, এখনো পুরোপুরি সবজি আসেনি। আগাম শীতকালীন সবজিতে আমরা দাম ভালো পাই। তবে আগামী সপ্তাহে সব সবজি বাজারে উঠলে দাম কমে যাবে।

কলাপাড়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আরাফাত হোসাইন বলেন, শীতকালীন সকল সবজি এখনো বাজারে আসেনি। বাজারে আগাম শীতকালীন সবজির উপস্থিতি বেশি। তাই দাম কমতি নেই। এ সপ্তাহের শেষে হয়ত দাম নাগালের মধ্যে চলে আসবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

শীতকালীন সবজিতে অস্বস্তি

আপডেট সময় : ০২:৫০:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

পটুয়াখালীর উপকূলের হাট বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজিতে সয়লাব হয়ে গেছে। তবুও সবজি কিনতে পারছেন না সাধারণ ক্রেতারা। ৭০ টাকা ৮০ টাকার নিচে নামছে না কোন সবজির দাম। ফলে চরম বেকায়দায় পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।

সবজির বাজারে গিয়ে দেখা যায়,  শীতকালীন নানা সবজিতে বাজারে সয়লাব হয়ে গেছে। থরে থরে টাটকা সবজি সাজিয়ে রাখা আছে।  ফুলকপি,বাঁধাকপি,লাউ, সিম, বেগুনসহ নানা সবজি দেখা গেছে খুচরা ও পাইকারি বাজারে। তবে তুলনামূলক ক্রেতাদের উপস্থিতি কম। কিছুদিন ধরে শীত পড়া শুরু হয়েছে। শীতকালীন সবজিও সব বাজারে উঠে গেছে।  কিন্তু কোন সবজির দামই কমতির দিকে নেই।
চাকুরীজীবী এক ক্রেতা বলেন, ৩০০ টাকার সবজি একদিনেই শেষ হয়ে যায়। আমরা সাধারণ মানুষ কি খেয়ে বাঁচব? চাল, পিয়াজ, আলুর দামও নাগালের বাইরে। দাম কমানোর ব্যবস্থা না হলে মানুষের কষ্টের শেষ থাকবে না।

অন্য আরেকজন ক্রেতা আল আমিন বলেন, ৫০০ টাকা দিয়ে সবজি আর মাছ ক্রয় করছি। যা দিয়ে ১  দিন পার হবে। মাসের ১৫ দিনেই বেতন শেষ হয়ে যায়। বাকী দিন ধারদেনা করে কাটাতে হয়।

খুচরা ব্যবসায়ী মো. আবু তালেব বলেন, আজ বেগুন ৭০ টাকা, করল্লা ৭০ টাকা,পাতাকপি ৬০ টাকা, ফুলকপি ৭০, লাউ ৩০টাকা, মিস্টিকুমড়া ৩৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা, সিম ৯০ টাকা, ঢেড়শ ৫০ টাকা, কাঁচাকলা ৪০ টাকা হালি ক্রয় করেছি। প্রতি আইটেমে যদি ১০ টাকা বাড়তি ধরি তাইলেই ক্রেতারা রাগ হয়ে যায়। আমাদের বেশি দাম দিয়ে ক্রয় করতে হয়। আমরা যদি ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা বেশি বিক্রি না করি তাহলে সংসার চলবে কি করে?

এ বিষয়ে পাইকারি ব্যবসায়ী মনজুরুল ইসলাম বলেন, শীতকালীন সবজি বাজারে উঠলেও দাম কমেনি। দেশের বিভিন্ন যায়গা থেকে ব্যবসায়ীরা এসে সবজি ক্রয় করে নেয়। চাহিদা বাড়ছে কিন্তু সে হিসেবে যোগান বাড়েনি। তাই শীতকালীন সবজির দাম চড়া।

সবজি উৎপাদনকারী মো. বাবুল মিয়া বলেন, এখনো পুরোপুরি সবজি আসেনি। আগাম শীতকালীন সবজিতে আমরা দাম ভালো পাই। তবে আগামী সপ্তাহে সব সবজি বাজারে উঠলে দাম কমে যাবে।

কলাপাড়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আরাফাত হোসাইন বলেন, শীতকালীন সকল সবজি এখনো বাজারে আসেনি। বাজারে আগাম শীতকালীন সবজির উপস্থিতি বেশি। তাই দাম কমতি নেই। এ সপ্তাহের শেষে হয়ত দাম নাগালের মধ্যে চলে আসবে।